ইউএনওদের কর্তৃত্বই বহাল থাকছে-উপজেলা বিল চূড়ান্ত
সরকারি কর্মকর্তাদের কর্তৃত্ব বহাল রেখে বহুল আলোচিত উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল চূড়ান্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের অধিকাংশ দাবি উপেক্ষা করলেও আদালত মামলা আমলে নিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের বিধান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজকালের মধ্যেই বিলটি পাস করা হবে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা বিলটি চূড়ান্ত করা হয়েছে গতকাল রবিবার অনেকটা আকস্মিকভাবেই। তড়িঘড়ি করে সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন ছাপতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সদস্য হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, সংসদীয় কমিটি বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের দাবি অনুযায়ী বিলে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাস হবে।
কমিটি সূত্রে জানা যায়, সংসদে উত্থাপিত উপজেলা পরিষদ (সংশোধনী) বিল নিয়ে সংসদীয় কমিটির অভ্যন্তরেই মতবিরোধ ছিল। যে কারণে প্রায় এক বছর বিলটি ঝুলে ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সংশোধনী ছাড়াই বিলটি চূড়ান্ত করার চাপ ছিল। সংসদীয় কমিটির অধিকাংশ সদস্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের মতামতকে বিবেচনায় নিয়ে সংশোধনী আনার পক্ষে ছিলেন। বিশেষ করে কমিটির সভাপতি রহমত আলী এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেন। যে কারণে এত দিন প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়নি।
কমিটির সভাপতি বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকার সুযোগে এক দিনের নোটিশে গতকাল বৈঠক ডেকে ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তিকরণ-সংক্রান্ত বিলের সঙ্গে এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সদস্য হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী।
জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা অনাস্থা প্রস্তাবের বিধান বাতিলের দাবি জানালেও কমিটি তা আমলে নেয়নি। বিলের ১৩/ক ধারায় অনাস্থা প্রস্তাবের বিধান রাখা হয়েছে। আর এটা কার্যকর হলে রাজনৈতিক হয়রানির সুযোগ থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন। কারণ উপজেলা পরিষদে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে তারা অন্যদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সুযোগ পাবে।
অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স রিপোর্টের (এপিআর) পরিবর্তে অ্যানুয়াল সিক্রেট রিপোর্ট (এসিআর) দেওয়ার ক্ষমতা দাবি করলেও কমিটি তা গ্রহণ করেনি। ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানরা এপিআর দেওয়ার ক্ষমতা পাবেন।
সংসদীয় কমিটির কাছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দাবি ছিল, ইউএনওর এসিআর লেখবেন জেলা প্রশাসক। তাহলেও তিনি কেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশ মানবেন? চেয়ারম্যানের কাছে এ ক্ষমতা দেওয়া হলে জনগণের কাছে ইউএনওর জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
সংশোধনী বিলে প্রস্তাবিত ইস্যুভিত্তিক ১২টি কমিটি থেকে বাড়িয়ে ১৭টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন করে বন ও পরিবেশ, মুক্তিযোদ্ধা, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা, সংস্কৃতি ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটি গঠনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিকে নিয়ে গঠন করা এই ১৭টি কমিটির প্রধান হবেন নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানরা।
উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ অধিকতর সংশোধনের জন্য গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সংসদে উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০১০ উত্থাপিত হয়। সংসদে এ বিল উত্থাপনকালে আপত্তি জানান ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তাঁদের আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি উত্থাপন হলে বেশ কিছু ধারা নিয়ে আপত্তি জানান উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা। বিল চূড়ান্ত করার আগে মতামত নেওয়ার জন্য একাধিকবার লিখিত আবেদন জানান তাঁরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ মার্চ কমিটির বৈঠকে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কমিটি তাঁদের দাবি আমলে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদ খান মেনন কালের কণ্ঠকে বলেন, সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন দেখার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সদস্য হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, সংসদীয় কমিটি বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের দাবি অনুযায়ী বিলে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাস হবে।
কমিটি সূত্রে জানা যায়, সংসদে উত্থাপিত উপজেলা পরিষদ (সংশোধনী) বিল নিয়ে সংসদীয় কমিটির অভ্যন্তরেই মতবিরোধ ছিল। যে কারণে প্রায় এক বছর বিলটি ঝুলে ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সংশোধনী ছাড়াই বিলটি চূড়ান্ত করার চাপ ছিল। সংসদীয় কমিটির অধিকাংশ সদস্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের মতামতকে বিবেচনায় নিয়ে সংশোধনী আনার পক্ষে ছিলেন। বিশেষ করে কমিটির সভাপতি রহমত আলী এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেন। যে কারণে এত দিন প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়নি।
কমিটির সভাপতি বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকার সুযোগে এক দিনের নোটিশে গতকাল বৈঠক ডেকে ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তিকরণ-সংক্রান্ত বিলের সঙ্গে এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সদস্য হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী।
জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা অনাস্থা প্রস্তাবের বিধান বাতিলের দাবি জানালেও কমিটি তা আমলে নেয়নি। বিলের ১৩/ক ধারায় অনাস্থা প্রস্তাবের বিধান রাখা হয়েছে। আর এটা কার্যকর হলে রাজনৈতিক হয়রানির সুযোগ থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন। কারণ উপজেলা পরিষদে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে তারা অন্যদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সুযোগ পাবে।
অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স রিপোর্টের (এপিআর) পরিবর্তে অ্যানুয়াল সিক্রেট রিপোর্ট (এসিআর) দেওয়ার ক্ষমতা দাবি করলেও কমিটি তা গ্রহণ করেনি। ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানরা এপিআর দেওয়ার ক্ষমতা পাবেন।
সংসদীয় কমিটির কাছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দাবি ছিল, ইউএনওর এসিআর লেখবেন জেলা প্রশাসক। তাহলেও তিনি কেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশ মানবেন? চেয়ারম্যানের কাছে এ ক্ষমতা দেওয়া হলে জনগণের কাছে ইউএনওর জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
সংশোধনী বিলে প্রস্তাবিত ইস্যুভিত্তিক ১২টি কমিটি থেকে বাড়িয়ে ১৭টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন করে বন ও পরিবেশ, মুক্তিযোদ্ধা, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা, সংস্কৃতি ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটি গঠনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিকে নিয়ে গঠন করা এই ১৭টি কমিটির প্রধান হবেন নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানরা।
উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ অধিকতর সংশোধনের জন্য গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সংসদে উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০১০ উত্থাপিত হয়। সংসদে এ বিল উত্থাপনকালে আপত্তি জানান ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তাঁদের আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি উত্থাপন হলে বেশ কিছু ধারা নিয়ে আপত্তি জানান উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা। বিল চূড়ান্ত করার আগে মতামত নেওয়ার জন্য একাধিকবার লিখিত আবেদন জানান তাঁরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ মার্চ কমিটির বৈঠকে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কমিটি তাঁদের দাবি আমলে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদ খান মেনন কালের কণ্ঠকে বলেন, সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন দেখার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।
No comments