মালিঙ্গার বিদায়ী ম্যাচে বাংলাদেশের বড় পরাজয়
মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান |
একদিনের
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে লাসিথ মালিঙ্গার বিদায়ী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে
৯১ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। ৩১৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২২৩ রানে
অলআউট হয় তামিম ইকবালের দল।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩১৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই আউট হন তামিম ইকবাল। মালিঙ্গার করা বলটি তামিমের ব্যাটের ফাঁক গলে লেগ স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত হানে। শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন তামিম।
দলীয় ৭.৩ ওভারে ৩০ রানে নুয়ান প্রদীপের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা মোহাম্মদ মিঠুন। প্রস্তুতি ম্যাচে ৯১ রান করা এ উইকেটেকিপার ব্যাটসম্যান ২১ বলে ১০ রানে ফেরেন।
এরপর কোনো রান যোগ করার আগেই মালিঙ্গার বলে স্ট্যাম্প উড়ে যায় সৌম্য সরকারের। ২২ বলে ১৫ রান করেন তিনি। ৩০ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লাহিরু কুমারার বাউন্সি বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার ঠিক কাছাকাছি ক্যাচে পরিণত হন রিয়াদ। তার বিদায়ে ১১.৫ ওভারে ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল।
সেই অবস্থা থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে খেলায় ফেরান মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান রুম্মন। তাদের ১১১ রানের অনবদ্য জুটিতে একটা সময়ে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৫০ রান। খেলার এমন অবস্থায় টাইগার সমর্থকদের অনেকেই জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন।
এরপর আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়। ২৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট পড়ে গেলে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় বাংলাদেশ। ৫৬ বলে সাত চারের সাহায্যে ৬০ রান করে ফেরেন সাব্বির। মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ডি সিলভার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
১৮৭ রানে ৭ উইকেট পড়ে গেলে মনোবল হারিয়ে ফেলেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া মুশফিকুর রহিমও। নুয়ান প্রদীপের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বাংলাদেশ দলের এ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। ৮৬ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৬৭ রান করে বিদায় নেন মুশফিক। মাত্র এক রানের ব্যবধানে ফেরেন শফিউল ইসলাম।
ইনিংসের শেষ দিকে মারমুখি ব্যাটিং করে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমান মোস্তাফিজুর রহমান। এই কাটারমাস্টার শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মালিঙ্গার তৃতীয় শিকার হলে ২২৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩২ মাস পর দলে ফিরেই শুভ সূচনা এনে দেন শফিউল ইসলাম। তার বলে ফাস্ট স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লংকান ওপেনার অভিস্কা ফার্নান্দো। দলীয় ১০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে শ্রীলংকার।
ভালো শুরুর রেশ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে দিমুথ করুনারত্নের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন কুশাল পেরেরা। তাদের জুটিতে প্রথম ১০ ওভারে শ্রীলংকা করে ১ উইকেটে ৭৭ রান। টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করে এই জুটিতে তারা যোগ করেন ৯৭ রান।
ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফ স্পিনে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লংকান অধিনায়ক করুনারত্নে। তার আগে ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।তার বিদায়ে ১৫ ওভারে ১০৭ রানে দুই উইকেট হারায় শ্রীলংকা।
এরপর কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে ফের ১০০ রানের জুটি গড়েন পেরেরা। এই জুটিতেই ৮২ বলে শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৯৯ বলে ১৭টি চার ও এক ছক্কায় ১১১ রান করেন পেরেরা।
অনবদ্য ব্যাটিং করে ফিফটির পথেই ছিলেন কুশল মেন্ডিস। তাকে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করেন রুবেল হোসেন। ৪৯ বলে ৪৩ রান করে ফেরেন মেন্ডিস। তার বিদায়ে ৩৪ ওভারে ২১২ রানে ৪ উইকেট হারায় শ্রীলংকা।
এরপর ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও লাহিরু থিরিমান্নে। ৩০ বলে ২৫ রান করা থিরিমান্নেকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। তবে ব্যাটিং চালিয়ে যান ম্যাথিউস। ইনিংস শেষ হওয়ার ৯ বল আগে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মোস্তাফিজের বলে সাব্বিরের ক্যাচে পরিণত হন লংকান সাবেক অধিনায়ক ম্যাথিউস। তার আগে ৫২ বলে তিন চারে ৪৮ রান করেন তিনি।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩১৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই আউট হন তামিম ইকবাল। মালিঙ্গার করা বলটি তামিমের ব্যাটের ফাঁক গলে লেগ স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত হানে। শূন্য রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন তামিম।
দলীয় ৭.৩ ওভারে ৩০ রানে নুয়ান প্রদীপের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা মোহাম্মদ মিঠুন। প্রস্তুতি ম্যাচে ৯১ রান করা এ উইকেটেকিপার ব্যাটসম্যান ২১ বলে ১০ রানে ফেরেন।
এরপর কোনো রান যোগ করার আগেই মালিঙ্গার বলে স্ট্যাম্প উড়ে যায় সৌম্য সরকারের। ২২ বলে ১৫ রান করেন তিনি। ৩০ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লাহিরু কুমারার বাউন্সি বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার ঠিক কাছাকাছি ক্যাচে পরিণত হন রিয়াদ। তার বিদায়ে ১১.৫ ওভারে ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল।
সেই অবস্থা থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে খেলায় ফেরান মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান রুম্মন। তাদের ১১১ রানের অনবদ্য জুটিতে একটা সময়ে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৫০ রান। খেলার এমন অবস্থায় টাইগার সমর্থকদের অনেকেই জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন।
এরপর আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়। ২৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট পড়ে গেলে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় বাংলাদেশ। ৫৬ বলে সাত চারের সাহায্যে ৬০ রান করে ফেরেন সাব্বির। মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ডি সিলভার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
১৮৭ রানে ৭ উইকেট পড়ে গেলে মনোবল হারিয়ে ফেলেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া মুশফিকুর রহিমও। নুয়ান প্রদীপের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বাংলাদেশ দলের এ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। ৮৬ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৬৭ রান করে বিদায় নেন মুশফিক। মাত্র এক রানের ব্যবধানে ফেরেন শফিউল ইসলাম।
ইনিংসের শেষ দিকে মারমুখি ব্যাটিং করে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমান মোস্তাফিজুর রহমান। এই কাটারমাস্টার শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মালিঙ্গার তৃতীয় শিকার হলে ২২৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩২ মাস পর দলে ফিরেই শুভ সূচনা এনে দেন শফিউল ইসলাম। তার বলে ফাস্ট স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লংকান ওপেনার অভিস্কা ফার্নান্দো। দলীয় ১০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে শ্রীলংকার।
ভালো শুরুর রেশ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে দিমুথ করুনারত্নের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন কুশাল পেরেরা। তাদের জুটিতে প্রথম ১০ ওভারে শ্রীলংকা করে ১ উইকেটে ৭৭ রান। টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করে এই জুটিতে তারা যোগ করেন ৯৭ রান।
ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফ স্পিনে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লংকান অধিনায়ক করুনারত্নে। তার আগে ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।তার বিদায়ে ১৫ ওভারে ১০৭ রানে দুই উইকেট হারায় শ্রীলংকা।
এরপর কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে ফের ১০০ রানের জুটি গড়েন পেরেরা। এই জুটিতেই ৮২ বলে শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৯৯ বলে ১৭টি চার ও এক ছক্কায় ১১১ রান করেন পেরেরা।
অনবদ্য ব্যাটিং করে ফিফটির পথেই ছিলেন কুশল মেন্ডিস। তাকে মুশফিকের ক্যাচে পরিণত করেন রুবেল হোসেন। ৪৯ বলে ৪৩ রান করে ফেরেন মেন্ডিস। তার বিদায়ে ৩৪ ওভারে ২১২ রানে ৪ উইকেট হারায় শ্রীলংকা।
এরপর ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও লাহিরু থিরিমান্নে। ৩০ বলে ২৫ রান করা থিরিমান্নেকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। তবে ব্যাটিং চালিয়ে যান ম্যাথিউস। ইনিংস শেষ হওয়ার ৯ বল আগে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মোস্তাফিজের বলে সাব্বিরের ক্যাচে পরিণত হন লংকান সাবেক অধিনায়ক ম্যাথিউস। তার আগে ৫২ বলে তিন চারে ৪৮ রান করেন তিনি।
No comments