লোকসভায় তাক্ষণিক তিন তালাকবিরোধী বিল পাস, বিরোধীদের ওয়াকআউট
৩ তালাক বিল বিরোধী বিক্ষোভ (ফাইল ফটো) |
কংগ্রেস,
তৃণমূলসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা সত্ত্বেও ভারতের লোকসভায় পাস
হয়েছে বহুল আলোচিত তিন তালাক নিষিদ্ধের বিল। গত বৃহস্পতিবার দিনভর বিতর্ক
ও বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যে কণ্ঠভোটে এ বিলটি পাস হয়। কণ্ঠভোটে খারিজ হয়ে
যায় অলইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) প্রধান আসাদউদ্দিন
ওয়াইসির আনা সংশোধনীও। বিলের পক্ষে ৩০২টি ও বিপক্ষে পড়ে ৭৮টি ভোট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লোকসভায় পাস হলেও বিলটিকে এবার রাজ্যসভা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেখানেও পাস হলে তবেই কার্যকর হবে তিন তালাকের মাধ্যমে মুসলমানদের তাৎক্ষণিক বিবাহ বিচ্ছেদ নিষিদ্ধের এ আইন।
নতুন এ আইনে, কোনো মুসলমান পুরুষ শুধু মুখে তিন তালাক বলেই বিবাহ বিচ্ছেদ করলে তার কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
তবে, এ আইনকে অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে কঠোর সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। বিল পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। এমনকি, এ বিলের বিরোধিতা করছে বিজেপি জোটের অন্যতম শরিক জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। তাদের দাবি, এ আইন সমাজে পারস্পরিক বিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করবে।
ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি তিন তালাকবিরোধী বিলের সমালোচনা করে বলেন, “আপনারা বলছেন, কেউ তিন তালাক দিলে তাঁকে ৩ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হবে। তাহলে ওই সময়ে মহিলার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কে নেবে? ওই মহিলাই তো উলটে বিপদে পড়বেন!”
তিনি বলেন, এমন আইন এনে মুসলিম মহিলাদের উপরে অত্যাচার করছেন। কেউ পুরুষের বিরুদ্ধে প্রমাণ দেবে না। গ্রেফতার করলে খোরপোষ দিতে পারবেন না স্বামী। তিন বছর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকতে হবে স্ত্রীকে।”
সনাতনী সংস্কৃতির বিয়ের সঙ্গে ইসলামের বিয়ের ফারাক রয়েছে মন্তব্য করে তিনি “ইসলামে বিয়ে জন্ম-জন্মান্তরের সম্পর্ক নয়। এটাকে তেমন বানানোর চেষ্টা করবেন না। বরং বিবাহ একটা জন্মের চুক্তি।”
তবে সরকার পক্ষ জানিয়েছে, ভারতে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে আইনটি আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিল উত্থাপনের সময় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “মালয়েশিয়া-পাকিস্তানসহ বিশ্বের ২০টি মুসলিম দেশ তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ করেছে। তাহলে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত কেন করবে না? এ কাজের জন্য শাস্তির বিধানে সমস্যা কোথায়? হিন্দু ও মুসলমানদের যৌতুক বা পারিবারিক নির্যাতনের জন্য কারও জেল হলে, তখন তো কেউ অভিযোগ জানায় না।”
তিনি বলেন, দুই বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাককে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলার পরও এ প্রথা চলছেই। তখন থেকে এ পর্যন্ত কয়েকশ’ মামলা হয়েছে।
তবে, হঠাৎ করেই তিন তালাক নিষিদ্ধের বিল লোকসভায় তোলায় ‘সরকারের বাজে মতলব আছে’ বলে দাবি করেছেন বিরোধী নেতারা।
কংগ্রেসের চিফ হুইপ কে, সুরেশ বার্তা সংস্থা এএনআই’কে বলেন, “গতকাল রাতে তিন তালাক বিলটি আজকের এজেন্ডায় যোগ করা হয়েছে। আর বিরোধীদের না জানিয়েছেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল ও ডিএনএ টেকনোলজি রেগুলেশন বিল উত্থাপন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা এ বিলের বিষয়টি গোপন রাখছে কেন?”
তেলুগু দেশম পার্টির জয়দেব গাল্লার প্রশ্ন, “হিন্দু আইনে বিবাহ-বিচ্ছেদ ফৌজদারি অপরাধ নয়, খ্রিস্ট ধর্মেও নয়, তাহলে শুধুমাত্র মুসলিম আইনেই কেন হবে।”
লোকসভায় পাস হওয়া বিলটি এবার যাবে রাজ্যসভায়। নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যসভায় এই বিলের বিরোধিতা করবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লোকসভায় পাস হলেও বিলটিকে এবার রাজ্যসভা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেখানেও পাস হলে তবেই কার্যকর হবে তিন তালাকের মাধ্যমে মুসলমানদের তাৎক্ষণিক বিবাহ বিচ্ছেদ নিষিদ্ধের এ আইন।
নতুন এ আইনে, কোনো মুসলমান পুরুষ শুধু মুখে তিন তালাক বলেই বিবাহ বিচ্ছেদ করলে তার কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
তবে, এ আইনকে অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে কঠোর সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। বিল পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। এমনকি, এ বিলের বিরোধিতা করছে বিজেপি জোটের অন্যতম শরিক জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। তাদের দাবি, এ আইন সমাজে পারস্পরিক বিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করবে।
ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি তিন তালাকবিরোধী বিলের সমালোচনা করে বলেন, “আপনারা বলছেন, কেউ তিন তালাক দিলে তাঁকে ৩ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হবে। তাহলে ওই সময়ে মহিলার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কে নেবে? ওই মহিলাই তো উলটে বিপদে পড়বেন!”
তিনি বলেন, এমন আইন এনে মুসলিম মহিলাদের উপরে অত্যাচার করছেন। কেউ পুরুষের বিরুদ্ধে প্রমাণ দেবে না। গ্রেফতার করলে খোরপোষ দিতে পারবেন না স্বামী। তিন বছর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকতে হবে স্ত্রীকে।”
সনাতনী সংস্কৃতির বিয়ের সঙ্গে ইসলামের বিয়ের ফারাক রয়েছে মন্তব্য করে তিনি “ইসলামে বিয়ে জন্ম-জন্মান্তরের সম্পর্ক নয়। এটাকে তেমন বানানোর চেষ্টা করবেন না। বরং বিবাহ একটা জন্মের চুক্তি।”
তবে সরকার পক্ষ জানিয়েছে, ভারতে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে আইনটি আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিল উত্থাপনের সময় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “মালয়েশিয়া-পাকিস্তানসহ বিশ্বের ২০টি মুসলিম দেশ তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ করেছে। তাহলে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত কেন করবে না? এ কাজের জন্য শাস্তির বিধানে সমস্যা কোথায়? হিন্দু ও মুসলমানদের যৌতুক বা পারিবারিক নির্যাতনের জন্য কারও জেল হলে, তখন তো কেউ অভিযোগ জানায় না।”
তিনি বলেন, দুই বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাককে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলার পরও এ প্রথা চলছেই। তখন থেকে এ পর্যন্ত কয়েকশ’ মামলা হয়েছে।
তবে, হঠাৎ করেই তিন তালাক নিষিদ্ধের বিল লোকসভায় তোলায় ‘সরকারের বাজে মতলব আছে’ বলে দাবি করেছেন বিরোধী নেতারা।
কংগ্রেসের চিফ হুইপ কে, সুরেশ বার্তা সংস্থা এএনআই’কে বলেন, “গতকাল রাতে তিন তালাক বিলটি আজকের এজেন্ডায় যোগ করা হয়েছে। আর বিরোধীদের না জানিয়েছেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল ও ডিএনএ টেকনোলজি রেগুলেশন বিল উত্থাপন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা এ বিলের বিষয়টি গোপন রাখছে কেন?”
তেলুগু দেশম পার্টির জয়দেব গাল্লার প্রশ্ন, “হিন্দু আইনে বিবাহ-বিচ্ছেদ ফৌজদারি অপরাধ নয়, খ্রিস্ট ধর্মেও নয়, তাহলে শুধুমাত্র মুসলিম আইনেই কেন হবে।”
লোকসভায় পাস হওয়া বিলটি এবার যাবে রাজ্যসভায়। নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যসভায় এই বিলের বিরোধিতা করবে।
ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ও রবিশঙ্কর প্রসাদ |
No comments