ষাঁড়ের নাম ‘পালসার বাবু’, ক্রেতা পাবেন পালসার বাইক! by তৌহিদ জামান
পালসার বাবু |
আদর
করে ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘পালসার বাবু’। বাড়ির সবাই তাকে এই নামে ডাকেন।
বাজারে ষাঁড়টির দাম উঠেছে ১২ লাখ টাকা। আর যিনি এই ষাঁড় কিনবেন, উপহার
হিসেবে তাকে দেওয়া হবে একটি পালসার বাইক!
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ইত্যা গ্রামের বাসিন্দা ইয়াহিয়া মোল্যা গরু ব্যবসার পাশাপাশি শখ করে এই ষাঁড় পুষেছেন। তিন বছর ধরে পোষা ষাঁড়টি এবারের কোরবানিতে বিক্রি করতে চান। ক্রেতাকে পালসার উপহার দেওয়ার ঘোষণাও তার।
লোকমুখে এমন কথা শুনে ‘পালসার বাবু’কে দেখতে ইয়াহিয়ার বাড়িতে ভিড় জমছে। প্রতিনিয়ত খুলনা, পাইকগাছা, শার্শা, ঝিনাইদহ, যশোরসহ উপজেলার দূরদূরান্ত থেকে নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরীরা ভিড় জমাচ্ছে।
‘পালসার বাবু’কে দেখতে আসা মণিরামপুর উপজেলার ঘুঘুরাইল গ্রামের ইনতাজ আলী বলেন, ‘লোকমুখে শুনে আইছি। এতবড় গরু জীবনে এই প্রথম দেখলাম।’
ঘুঘুরাইল গ্রামের ইদ্রিস আলী বলেন, ‘১২ লাখ কেন ১৫ লাখেও এই গরু বিক্রি হতে পারে। মানুষ দাম দেখবে না, চেহারা দেখে এই গরু কিনবে।’
ইয়াহিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘রোজার ঈদের পর থেকে গরু দেখতে বাড়িতে লোকজন আসা শুরু করেছে। গত দশ দিন ধরে মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিকাল হলে উঠানে লোক ভরে যায়।’
ইয়াহিয়া বলেন, ‘আমি ক্ষুদ্র গরু ব্যবসায়ী। ১৯৯৬ সাল থেকে একটা করে বড়ান জাতের (শংকর) গরু পুষে আসছি। ৪৫ হাজার টাকায় তিন বছর আগে হলেস্টিয়ান জাতের এই গরুটা কেনা। শখ করে ওর নাম দিছি পালসার বাবু। গত বছর এর দাম সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা হইলো, বেচিনি। ঢাকার একটা পার্টি (গরু ব্যবসায়ী) সাড়ে আট লাখ দাম বলেছে। এবার গরুর দাম চাচ্ছি ১২ লাখ টাকা। ওই দামে বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাকে খুশি হয়ে পালসার মোটরসাইকেল উপহার দেবো।’
তিনি জানান, এখন পালসার বাবুর বয়স তিন বছর ১১ মাস। ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, প্রস্থ ৬ ফুট। এর ওজন প্রায় ২০ মণ। তারা ষাঁড়টির আলাদা করে বিশেষ কোনও যত্ন নেন না। কাঁচাঘাস, খৈল, গমের ভুসি এবং চালের পালিশ (ধান ভাঙানোর সময় চালের গায়ে থাকা ভিটামিনসমৃদ্ধ গুঁড়ো) নিয়মিত খাওয়ানো হয় এবং প্রতিদিন গোসল করানো হয়। এর পেছনে প্রতিদিন প্রায় দুইশ’ টাকার মতো খরচ হয়।
ইয়াহিয়া বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কোনও পরামর্শ ছাড়াই এটি আমি পুষছি। ছয় কাঠা জমিতে ঘাস লাগানো আছে। সেই ঘাস, খৈল ও ভুসি খাওয়াইয়ে গরু এত বড় করেছি।’
মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী বলেন, ‘কাশিমনগর ইউনিয়নে একটা বড় গরু আছে শুনেছি। কিন্তু আমি সেই গরু এখনও দেখিনি।’
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ইত্যা গ্রামের বাসিন্দা ইয়াহিয়া মোল্যা গরু ব্যবসার পাশাপাশি শখ করে এই ষাঁড় পুষেছেন। তিন বছর ধরে পোষা ষাঁড়টি এবারের কোরবানিতে বিক্রি করতে চান। ক্রেতাকে পালসার উপহার দেওয়ার ঘোষণাও তার।
লোকমুখে এমন কথা শুনে ‘পালসার বাবু’কে দেখতে ইয়াহিয়ার বাড়িতে ভিড় জমছে। প্রতিনিয়ত খুলনা, পাইকগাছা, শার্শা, ঝিনাইদহ, যশোরসহ উপজেলার দূরদূরান্ত থেকে নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরীরা ভিড় জমাচ্ছে।
‘পালসার বাবু’কে দেখতে আসা মণিরামপুর উপজেলার ঘুঘুরাইল গ্রামের ইনতাজ আলী বলেন, ‘লোকমুখে শুনে আইছি। এতবড় গরু জীবনে এই প্রথম দেখলাম।’
ঘুঘুরাইল গ্রামের ইদ্রিস আলী বলেন, ‘১২ লাখ কেন ১৫ লাখেও এই গরু বিক্রি হতে পারে। মানুষ দাম দেখবে না, চেহারা দেখে এই গরু কিনবে।’
ইয়াহিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘রোজার ঈদের পর থেকে গরু দেখতে বাড়িতে লোকজন আসা শুরু করেছে। গত দশ দিন ধরে মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিকাল হলে উঠানে লোক ভরে যায়।’
ইয়াহিয়া বলেন, ‘আমি ক্ষুদ্র গরু ব্যবসায়ী। ১৯৯৬ সাল থেকে একটা করে বড়ান জাতের (শংকর) গরু পুষে আসছি। ৪৫ হাজার টাকায় তিন বছর আগে হলেস্টিয়ান জাতের এই গরুটা কেনা। শখ করে ওর নাম দিছি পালসার বাবু। গত বছর এর দাম সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা হইলো, বেচিনি। ঢাকার একটা পার্টি (গরু ব্যবসায়ী) সাড়ে আট লাখ দাম বলেছে। এবার গরুর দাম চাচ্ছি ১২ লাখ টাকা। ওই দামে বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাকে খুশি হয়ে পালসার মোটরসাইকেল উপহার দেবো।’
তিনি জানান, এখন পালসার বাবুর বয়স তিন বছর ১১ মাস। ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, প্রস্থ ৬ ফুট। এর ওজন প্রায় ২০ মণ। তারা ষাঁড়টির আলাদা করে বিশেষ কোনও যত্ন নেন না। কাঁচাঘাস, খৈল, গমের ভুসি এবং চালের পালিশ (ধান ভাঙানোর সময় চালের গায়ে থাকা ভিটামিনসমৃদ্ধ গুঁড়ো) নিয়মিত খাওয়ানো হয় এবং প্রতিদিন গোসল করানো হয়। এর পেছনে প্রতিদিন প্রায় দুইশ’ টাকার মতো খরচ হয়।
ইয়াহিয়া বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কোনও পরামর্শ ছাড়াই এটি আমি পুষছি। ছয় কাঠা জমিতে ঘাস লাগানো আছে। সেই ঘাস, খৈল ও ভুসি খাওয়াইয়ে গরু এত বড় করেছি।’
মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী বলেন, ‘কাশিমনগর ইউনিয়নে একটা বড় গরু আছে শুনেছি। কিন্তু আমি সেই গরু এখনও দেখিনি।’
`পালসার বাবু`কে দেখতে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে |
No comments