মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকিতেও অটল তুরস্ক by এম কে ভদ্রকুমার
ইস্তাম্বুলে
সাম্প্রতিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীর কাছে প্রেসিডেন্ট
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দলের প্রার্থী হেরে যাওয়ার পর থেকে বহু আমেরিকান
ভাষ্যকার, বিশেষ করে ইসরাইলপন্থীরা একটা গুঞ্জন তোলার চেষ্টা করছেন যে,
এরদোয়ানের ১৭ বছরের দীর্ঘ আধিপত্যের ইতি ঘটতে চলেছে। ২০০২ সালের সাধারণ
নির্বাচনে চমক লাগানো বিজয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন এরদোয়ান।
ডুমসডে প্রেডিকশানের নামে যে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তার আসল উদ্দেশ্য হলো এরদোয়ানকে নাড়িয়ে দেয়া, তাকে দুর্বল করে দেয়া, তার কঠোর ইহুদিবাদ-বিরোধী অবস্থানকে টলিয়ে দেয়া এবং ফিলিস্তিনের প্রতি তার খোলামেলা সমর্থনের ইতি ঘটানো, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ঘোচানো ইত্যাদি – সার্বিকভাবে তার স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতির উপর আঘাত হানা। বিশেষ করে, রাশিয়ার কাছ থেকে এরদোয়ানের এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নেমেছে ওয়াশিংটন।
তবে, এস-৪০০ চুক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে বিস্মিত করেছেন এরদোয়ান, এবং প্রকাশ্যেই নিষেধাজ্ঞার হুমকিকে অগ্রাহ্য করেছেন তিনি। এই মিসাইলের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পাঁচ বছর আগে এবং প্রায় প্রতিদিনই রাশিয়ান সামরিক বিমান আঙ্কারাতে অবতরণ করছে এবং এস-৪০০ এবিএম সিস্টেমের বিভিন্ন চালান নিয়ে আসছে।
শুধু তাই নয়, এরদোয়ান এমনকি আমেরিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন যে, সাম্প্রতিক জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে জানিয়েছেন যে, মার্কিন কর্মকর্তারা যা-ই বলুক না কেন, কোন নিষেধাজ্ঞা তুরস্কের উপর দেয়া হবে না।
ব্লুমবার্গের মতে, ট্রাম্পের টিম একটি নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ তৈরি করেছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে অনুমোদনের পর সেটি ঘোষণার পরিকল্পনা নিয়েছে। অন্যদিকে, এরদোয়ান রোববার বলেছেন যে, ট্রাম্পের তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষমতা রয়েছে এবং “এটাই যখন বিষয়, তখন মধ্যবর্তী একটা অবস্থান খুঁজে বের করার দায়িত্বটা ট্রাম্পেরই”।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ওয়াশিংটন পোস্টকে এক সাক্ষাতকারে দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে, “আইন অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের দায়বদ্ধতা রয়েছে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আইন অনুযায়ী চলবো এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও আইন অনুযায়ী চলবেন”।
মনে হচ্ছে যেন এরদোয়ান বিপজ্জনক খেলায় নেমেছেন। গেলো সপ্তাহান্তে তিনি জানিয়েছেন যে, রাশিয়ান সিস্টেম মোতায়েন করা হবে এবং আগামী বছরের এপ্রিলে এটা পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। একই সাথে, তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন যে, তুরস্কে রাশিয়ান এই সিস্টেমটি যৌথভাবে তৈরি করা হতে পারে। তার ভাষায়, “আমাদের দেশে যারা হামলা করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এস-৪০০ সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইনশাআল্লাহ, আমরা রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে এটা তৈরি করবো, এবং সেটা অব্যাহত রাখবো”।
এটা নিশ্চিত যে, ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে দলের প্রার্থী হেরে যাওয়ায় এরদোয়ান এতটুকুও দমে যাননি। মার্কিন মিডিয়া ও থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানগুলো তার বিরুদ্ধে যে প্রচারণা চালাচ্ছে, তাকে তিনি পাত্তা দেননি। তার আচরণে এটাও প্রকাশিত হচ্ছে না যে, তিনি দৌড়ের উপর রয়েছেন।
সমস্ত বিষয়কে বিবেচনায় নিলে এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না যে, ট্রাম্প হয়তো নিষেধাজ্ঞা থেকে তুরস্ককে মুক্তি দিতে পারেন বা সেটা স্থগিত করতে পারেন, কারণ এই দেশটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে। তবে এটা নিশ্চিত যে কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো তার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাবেন এরদোয়ান।
এরদোয়ানের সামনে অনেকগুলো পথ রয়েছে – তুরস্ক থেকে মার্কিন সেনা ঘাঁটি সরিয়ে দেয়া (যেটার অধীনে ৬০টি পারমাণবিক বোমাও সরিয়ে নিতে হবে)। এছাড়া সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দীদের বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত সামরিক অভিযান শুরু করতে পারেন এরদোয়ান।
তুরস্ক যদি কুর্দি যোদ্ধাদের ধ্বংস করে দেয়, তাহলে সিরিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কোন পরোপক্ষ মিত্র থাকবে না এবং সে ক্ষেত্রে ইউফ্রেটিস অঞ্চলে যে কোন ধরনের আমেরিকান উপস্থিতি নিশ্চিত করাটা কঠিন হয়ে যাবে। সেটা নিশ্চিতভাবে ইসরাইলের স্বার্থের উপর বড় ধরনের আঘাত হানবে। পেন্টাগন এরই মধ্যে এটা নিয়ে অস্বস্তিতে আছে।
সমস্ত তথ্য প্রমাণে মনে হচ্ছে যে, এরদোয়ান একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন যে, তুরস্কের ভবিষ্যৎ নিহীত রয়েছে ইউরেশিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে এবং বর্তমান সঙ্ঘাতগুলো তারই একটা সূচনা মাত্র। সম্প্রতি জি২০ সম্মেলনের পর ওসাকাতে এবং পরে বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে তার বৈঠক এবং উইঘুরদের ব্যাপারে চীনা নীতির পক্ষে তার জোরালো সমর্থনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, তুরস্কের আগ্রহ প্রাচ্যের দিকে ঘুরে গেছে।
বিশেষ করে তুরস্কের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং পশ্চিমা চাপকে অগ্রাহ্য করার জন্য চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড কর্মসূচির মধ্যে তিনি একটা বিকল্প সুযোগ দেখতে পাচ্ছেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ট্যাবলয়েড পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসে বলা হয়েছে যে, চীনা নেতৃবৃন্দের সাথে এরদোয়ানের বৈঠকে “চীন ও তুরস্কের মধ্যে গভীর বোঝাপড়া ও ঐক্যমত্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীনের জিনজিয়াং নীতি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং অন্য কোন দেশের সেখানে হস্তক্ষেপের কোন অধিকার নেই। জিনজিয়াং নিয়ে এরদোয়ানের মন্তব্যের উপর ভিত্তি করেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি এগিয়ে গেছে”।
বেইজিং সফরের আগে গ্লোবাল টাইমসে একটা খোলা কলামে এরদোয়ান লিখেছিলেন, “তুরস্ক বিশ্ব শান্তির ব্যাপারে, বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়, বহুপাক্ষিকতার বিকাশে, এবং মুক্ত বাণিজ্যের নীতি উচ্চকিত রাখার ক্ষেত্রে চীনা দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে। বিশ্বের এখন একটা নতুন, বহুমেরুর ভারসাম্য প্রয়োজন। নতুন একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা দরকার যেখানে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে সমগ্র মানবজাতির স্বার্থ সংরক্ষিত হবে। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম সভ্যতা তুরস্ক ও চীনের এখানে নিজেদের ভূমিকা রাখার দায়িত্ব রয়েছে”।
ডুমসডে প্রেডিকশানের নামে যে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তার আসল উদ্দেশ্য হলো এরদোয়ানকে নাড়িয়ে দেয়া, তাকে দুর্বল করে দেয়া, তার কঠোর ইহুদিবাদ-বিরোধী অবস্থানকে টলিয়ে দেয়া এবং ফিলিস্তিনের প্রতি তার খোলামেলা সমর্থনের ইতি ঘটানো, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা ঘোচানো ইত্যাদি – সার্বিকভাবে তার স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতির উপর আঘাত হানা। বিশেষ করে, রাশিয়ার কাছ থেকে এরদোয়ানের এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নেমেছে ওয়াশিংটন।
তবে, এস-৪০০ চুক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে বিস্মিত করেছেন এরদোয়ান, এবং প্রকাশ্যেই নিষেধাজ্ঞার হুমকিকে অগ্রাহ্য করেছেন তিনি। এই মিসাইলের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পাঁচ বছর আগে এবং প্রায় প্রতিদিনই রাশিয়ান সামরিক বিমান আঙ্কারাতে অবতরণ করছে এবং এস-৪০০ এবিএম সিস্টেমের বিভিন্ন চালান নিয়ে আসছে।
শুধু তাই নয়, এরদোয়ান এমনকি আমেরিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন যে, সাম্প্রতিক জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে জানিয়েছেন যে, মার্কিন কর্মকর্তারা যা-ই বলুক না কেন, কোন নিষেধাজ্ঞা তুরস্কের উপর দেয়া হবে না।
ব্লুমবার্গের মতে, ট্রাম্পের টিম একটি নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ তৈরি করেছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে অনুমোদনের পর সেটি ঘোষণার পরিকল্পনা নিয়েছে। অন্যদিকে, এরদোয়ান রোববার বলেছেন যে, ট্রাম্পের তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষমতা রয়েছে এবং “এটাই যখন বিষয়, তখন মধ্যবর্তী একটা অবস্থান খুঁজে বের করার দায়িত্বটা ট্রাম্পেরই”।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ওয়াশিংটন পোস্টকে এক সাক্ষাতকারে দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে, “আইন অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের দায়বদ্ধতা রয়েছে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আইন অনুযায়ী চলবো এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও আইন অনুযায়ী চলবেন”।
মনে হচ্ছে যেন এরদোয়ান বিপজ্জনক খেলায় নেমেছেন। গেলো সপ্তাহান্তে তিনি জানিয়েছেন যে, রাশিয়ান সিস্টেম মোতায়েন করা হবে এবং আগামী বছরের এপ্রিলে এটা পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। একই সাথে, তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন যে, তুরস্কে রাশিয়ান এই সিস্টেমটি যৌথভাবে তৈরি করা হতে পারে। তার ভাষায়, “আমাদের দেশে যারা হামলা করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এস-৪০০ সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইনশাআল্লাহ, আমরা রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে এটা তৈরি করবো, এবং সেটা অব্যাহত রাখবো”।
এটা নিশ্চিত যে, ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে দলের প্রার্থী হেরে যাওয়ায় এরদোয়ান এতটুকুও দমে যাননি। মার্কিন মিডিয়া ও থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানগুলো তার বিরুদ্ধে যে প্রচারণা চালাচ্ছে, তাকে তিনি পাত্তা দেননি। তার আচরণে এটাও প্রকাশিত হচ্ছে না যে, তিনি দৌড়ের উপর রয়েছেন।
সমস্ত বিষয়কে বিবেচনায় নিলে এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না যে, ট্রাম্প হয়তো নিষেধাজ্ঞা থেকে তুরস্ককে মুক্তি দিতে পারেন বা সেটা স্থগিত করতে পারেন, কারণ এই দেশটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে। তবে এটা নিশ্চিত যে কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো তার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাবেন এরদোয়ান।
এরদোয়ানের সামনে অনেকগুলো পথ রয়েছে – তুরস্ক থেকে মার্কিন সেনা ঘাঁটি সরিয়ে দেয়া (যেটার অধীনে ৬০টি পারমাণবিক বোমাও সরিয়ে নিতে হবে)। এছাড়া সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দীদের বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত সামরিক অভিযান শুরু করতে পারেন এরদোয়ান।
তুরস্ক যদি কুর্দি যোদ্ধাদের ধ্বংস করে দেয়, তাহলে সিরিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কোন পরোপক্ষ মিত্র থাকবে না এবং সে ক্ষেত্রে ইউফ্রেটিস অঞ্চলে যে কোন ধরনের আমেরিকান উপস্থিতি নিশ্চিত করাটা কঠিন হয়ে যাবে। সেটা নিশ্চিতভাবে ইসরাইলের স্বার্থের উপর বড় ধরনের আঘাত হানবে। পেন্টাগন এরই মধ্যে এটা নিয়ে অস্বস্তিতে আছে।
সমস্ত তথ্য প্রমাণে মনে হচ্ছে যে, এরদোয়ান একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন যে, তুরস্কের ভবিষ্যৎ নিহীত রয়েছে ইউরেশিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে এবং বর্তমান সঙ্ঘাতগুলো তারই একটা সূচনা মাত্র। সম্প্রতি জি২০ সম্মেলনের পর ওসাকাতে এবং পরে বেইজিংয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে তার বৈঠক এবং উইঘুরদের ব্যাপারে চীনা নীতির পক্ষে তার জোরালো সমর্থনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, তুরস্কের আগ্রহ প্রাচ্যের দিকে ঘুরে গেছে।
বিশেষ করে তুরস্কের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং পশ্চিমা চাপকে অগ্রাহ্য করার জন্য চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড কর্মসূচির মধ্যে তিনি একটা বিকল্প সুযোগ দেখতে পাচ্ছেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ট্যাবলয়েড পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসে বলা হয়েছে যে, চীনা নেতৃবৃন্দের সাথে এরদোয়ানের বৈঠকে “চীন ও তুরস্কের মধ্যে গভীর বোঝাপড়া ও ঐক্যমত্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীনের জিনজিয়াং নীতি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং অন্য কোন দেশের সেখানে হস্তক্ষেপের কোন অধিকার নেই। জিনজিয়াং নিয়ে এরদোয়ানের মন্তব্যের উপর ভিত্তি করেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি এগিয়ে গেছে”।
বেইজিং সফরের আগে গ্লোবাল টাইমসে একটা খোলা কলামে এরদোয়ান লিখেছিলেন, “তুরস্ক বিশ্ব শান্তির ব্যাপারে, বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়, বহুপাক্ষিকতার বিকাশে, এবং মুক্ত বাণিজ্যের নীতি উচ্চকিত রাখার ক্ষেত্রে চীনা দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে। বিশ্বের এখন একটা নতুন, বহুমেরুর ভারসাম্য প্রয়োজন। নতুন একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা দরকার যেখানে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে সমগ্র মানবজাতির স্বার্থ সংরক্ষিত হবে। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম সভ্যতা তুরস্ক ও চীনের এখানে নিজেদের ভূমিকা রাখার দায়িত্ব রয়েছে”।
No comments