আফগানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীনের ভূমিকা বাড়ছে by রহিমুল্লাহ ইউসুফজাই
আফগান
শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে চীনকে বেশ আগ্রহী দেখা গেছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে চীনকে দুবার অত্যন্ত সক্রিয় বলে মনে হয়েছে।
প্রথমত, তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র শান্তি আলোচনা, আন্তঃআফগান সংলাপ ও
আফগানিস্তানে সন্ত্রাস বন্ধে লড়াই প্রশ্নে রাশিয়া ও মার্কিন প্রয়াসে যোগ
দিয়েছে চীন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, আফগান সরকার ও তালেবানসহ সংশ্লিষ্ট সব
পক্ষকে নিয়ে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে আফগান সঙ্ঘাত অবসানে তাদের প্রকাশ্যে
ঘোষিত লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিন পরাশক্তির সাথে কাজ করতে পাকিস্তানকে সক্ষম
করতে ভূমিকা পালন করেছে।
এসব দেশের সবাই একমত যে কাবুলের আফগান সরকারের সাথে সরাসরি আলোচনায় না বসার অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য তারা তালেবানের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
অবশ্য আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ায় চীনকে আগেও গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। আফগানিস্তানের পাশাপাশি পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন হলো চার জাতি গ্রুপের (কিউসিজি) সদস্য। এই গ্রুপটি কয়েক মাস ধরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রয়াস চালাচ্ছে। আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে যে তালেবানকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য চীন তার ঘনিষ্ঠ মিত্র পাকিস্তানকে ভূমিকা রাখার কাজটি করতে পারবে। কিউসিজি কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়নি। তবে তবে আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখতে না পারায় এর প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে না।
আফগান-পাকিস্তান সম্পর্কের প্রেক্ষাপটেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছে চীন। আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয় দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার সুবিধা গ্রহণ করে চীন উভয় দেশকেই ভূখণ্ডগত বিরোধ মীমাংসায় রাজি করানোর চেষ্টা করছে। উভয় দেশকেই চীন আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো সুরাহা করতে বলছে।
এখন পর্যন্ত প্রতিটি আফগান শান্তি উদ্যোগকে সমর্থন করছে চীন। দেশটি কাতারের দোহায় তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র শান্তি আলোচনাকে সমর্থন করেছে, মস্কোতে রাশিয়ার আয়োজিত আন্তঃআফগান সম্মেলনকেও সমর্থন করেছে।
প্রতিবেশী আফগানিস্তানের ঘটনাবলীর প্রতি চীন দীর্ঘ দিন ধরে আগ্রহী হলেও ২০১৫ সালের প্রথম দিকে আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ায় প্রথমবারের মতো সক্রিয় হয় জিনজিয়াং প্রদেশের উরুমকিতে তালেবান ও আফগান সরকারের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক আয়োজন করে। এর রেশ ধরেইে একই বছরের জুলাইতে মারিতে আফগান সরকারি প্রতিনিধি ও তালেবান প্রতিনিধিদের মধ্যে সভা হয়। এক দিনের ওই সভায় চীনা ও মার্কিন কূটনীতিকরা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে আফগানিস্তানবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ করে দেঙ জিজুনকে। এতে বোঝা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের ঘটনাবলীর দিকে বিশেষভাবে নজর রাখছিল চীন। এর অন্যতম কারণ ছিল আফগানিস্তানভিত্তিক আফগান ও বিদেশী যোদ্ধাদের চীনা ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা। চীন আশঙ্কা করছে, আফগানিস্তান থেকে যাওয়া যোদ্ধারা চীনা মুসলিমদেরকে প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে আফগানিস্তান সীমান্তে টহল জোরদার করে চীন।
ইটিআইএম, আইএমইউ, আল-কায়েদা, আইএসআইএস ইত্যাদি ইসলামপন্থী গ্রুপগুলোকে প্রতিরোধ করার জন্য চীন সহযোগিতা চাচ্ছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও অন্যান্য প্রতিবেশীর। ইটিআইএমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে চীন। দেশটি বিতর্কিত চরমপন্থীবিরোধী কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে চীনা উইঘুর মুসলিমদেরকে পুনর্বাসন ও পুনঃশিক্ষা ক্যাম্পগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।
আফগান সরকার ও তালেবান উভয়ের সাথেই সম্পর্ক রক্ষা করার কাজ করছে চীন। আফগান সরকারকে সে অর্থনৈতিক সহায়তা ও হালকা অস্ত্র সরবরাহ করছে। এছাড়া তামা খনি, তেল ও গ্যাস খাতেও সহায়তা করছে আফগানিস্তানকে। আর ইটিআইএমকে দমনের জন্য চীনকে সহায়তা করছে আফগান সরকার। অন্যদিকে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) আফগানিস্তানে সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা করছে চীন।
আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আফগান তালেবানের সাথেও যোগাযোগে আগ্রহী চীন। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তালেবানের সাথে চীনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের ভূমিকা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালেবান আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর তালেবান শাসনের প্রায় ছয় বছর লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন। কিন্তু তিনি চীনা কূটনীতিকদের সাথে সাক্ষাত করতে রাজি হয়েছিলেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, তালেবানের সাথে চীনের যোগাযোগের মাত্রাটা কত ছিল।
আর চীন যখন আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ায় এগিয়ে আসে, তখন আফগান সরকার ও তালেবান উভয় পক্ষ একে স্বাগত জানায়।
সাম্প্রতিক সময়ে চীন স্বীকার করে যে তালেবানের একটি প্রতিনিধিদল বেইজিং সফর করেছে। অতীতে কয়েকবারই তালেবান প্রতিনিধিদল চীন সফর করলেও বেইজিং তা স্বীকার করেনি। তবে বর্তমানে ক্রমাগত বেশি বেশি রাষ্ট্র তালেবানের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা ও তাদেরকে তাদের দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাতে থাকায় চীনও এ ব্যাপারে প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছে। এই প্রেক্ষাপটেই কাতারভিত্তিক তালেবান রাজনৈতিক কমিশনের উপপ্রধান মোল্লা আবদুল ঘানি বারদারের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের তালেবান প্রতিনিধিদল চীন সফর করলে তা প্রকাশ করা হয়। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আন্তঃআফগান সংলাপের ব্যবস্থা করতেই হয়েছে এই সফর। সফরটি হয় মধ্য জুনে। আর তালেবান প্রতিনিধি দলের সিনিয়র সদস্য মোল্লা আবদুল সালাম হানাফি জানিয়েছেন, এই সফরে ব্যবহারের জন্য তাদেরকে একটি বিমান দিয়েছিল চীনা সরকার।
এতে স্পষ্ট যে আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করবে চীন। তবে কোনো একটি দেশ আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। শান্তিপ্রক্রিয়া একটি যৌথ দায়দায়িত্ব। তবে আফগানিস্তান শান্তিপ্রতিষ্ঠা করতে কাবুল ও তালেবানের ওপর তার প্রভাব ব্যবহার ও মিত্র পাকিস্তানকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে রাজি করানোর কাজ করতে পারে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনা সম্পর্ক উষ্ণ না হলেও আফগানিস্তান প্রশ্নে উভয় দেশের অবস্থান অভিন্ন। উভয় দেশই তাদের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসীদের জায়গা দিতে নারাজ।
এসব দেশের সবাই একমত যে কাবুলের আফগান সরকারের সাথে সরাসরি আলোচনায় না বসার অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য তারা তালেবানের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
অবশ্য আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ায় চীনকে আগেও গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। আফগানিস্তানের পাশাপাশি পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন হলো চার জাতি গ্রুপের (কিউসিজি) সদস্য। এই গ্রুপটি কয়েক মাস ধরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রয়াস চালাচ্ছে। আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে যে তালেবানকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য চীন তার ঘনিষ্ঠ মিত্র পাকিস্তানকে ভূমিকা রাখার কাজটি করতে পারবে। কিউসিজি কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়নি। তবে তবে আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখতে না পারায় এর প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে না।
আফগান-পাকিস্তান সম্পর্কের প্রেক্ষাপটেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছে চীন। আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয় দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার সুবিধা গ্রহণ করে চীন উভয় দেশকেই ভূখণ্ডগত বিরোধ মীমাংসায় রাজি করানোর চেষ্টা করছে। উভয় দেশকেই চীন আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো সুরাহা করতে বলছে।
এখন পর্যন্ত প্রতিটি আফগান শান্তি উদ্যোগকে সমর্থন করছে চীন। দেশটি কাতারের দোহায় তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র শান্তি আলোচনাকে সমর্থন করেছে, মস্কোতে রাশিয়ার আয়োজিত আন্তঃআফগান সম্মেলনকেও সমর্থন করেছে।
প্রতিবেশী আফগানিস্তানের ঘটনাবলীর প্রতি চীন দীর্ঘ দিন ধরে আগ্রহী হলেও ২০১৫ সালের প্রথম দিকে আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ায় প্রথমবারের মতো সক্রিয় হয় জিনজিয়াং প্রদেশের উরুমকিতে তালেবান ও আফগান সরকারের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক আয়োজন করে। এর রেশ ধরেইে একই বছরের জুলাইতে মারিতে আফগান সরকারি প্রতিনিধি ও তালেবান প্রতিনিধিদের মধ্যে সভা হয়। এক দিনের ওই সভায় চীনা ও মার্কিন কূটনীতিকরা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে আফগানিস্তানবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ করে দেঙ জিজুনকে। এতে বোঝা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের ঘটনাবলীর দিকে বিশেষভাবে নজর রাখছিল চীন। এর অন্যতম কারণ ছিল আফগানিস্তানভিত্তিক আফগান ও বিদেশী যোদ্ধাদের চীনা ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা। চীন আশঙ্কা করছে, আফগানিস্তান থেকে যাওয়া যোদ্ধারা চীনা মুসলিমদেরকে প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে আফগানিস্তান সীমান্তে টহল জোরদার করে চীন।
ইটিআইএম, আইএমইউ, আল-কায়েদা, আইএসআইএস ইত্যাদি ইসলামপন্থী গ্রুপগুলোকে প্রতিরোধ করার জন্য চীন সহযোগিতা চাচ্ছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও অন্যান্য প্রতিবেশীর। ইটিআইএমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে চীন। দেশটি বিতর্কিত চরমপন্থীবিরোধী কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে চীনা উইঘুর মুসলিমদেরকে পুনর্বাসন ও পুনঃশিক্ষা ক্যাম্পগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।
আফগান সরকার ও তালেবান উভয়ের সাথেই সম্পর্ক রক্ষা করার কাজ করছে চীন। আফগান সরকারকে সে অর্থনৈতিক সহায়তা ও হালকা অস্ত্র সরবরাহ করছে। এছাড়া তামা খনি, তেল ও গ্যাস খাতেও সহায়তা করছে আফগানিস্তানকে। আর ইটিআইএমকে দমনের জন্য চীনকে সহায়তা করছে আফগান সরকার। অন্যদিকে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) আফগানিস্তানে সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা করছে চীন।
আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আফগান তালেবানের সাথেও যোগাযোগে আগ্রহী চীন। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তালেবানের সাথে চীনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের ভূমিকা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালেবান আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর তালেবান শাসনের প্রায় ছয় বছর লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন। কিন্তু তিনি চীনা কূটনীতিকদের সাথে সাক্ষাত করতে রাজি হয়েছিলেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, তালেবানের সাথে চীনের যোগাযোগের মাত্রাটা কত ছিল।
আর চীন যখন আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ায় এগিয়ে আসে, তখন আফগান সরকার ও তালেবান উভয় পক্ষ একে স্বাগত জানায়।
সাম্প্রতিক সময়ে চীন স্বীকার করে যে তালেবানের একটি প্রতিনিধিদল বেইজিং সফর করেছে। অতীতে কয়েকবারই তালেবান প্রতিনিধিদল চীন সফর করলেও বেইজিং তা স্বীকার করেনি। তবে বর্তমানে ক্রমাগত বেশি বেশি রাষ্ট্র তালেবানের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা ও তাদেরকে তাদের দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাতে থাকায় চীনও এ ব্যাপারে প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছে। এই প্রেক্ষাপটেই কাতারভিত্তিক তালেবান রাজনৈতিক কমিশনের উপপ্রধান মোল্লা আবদুল ঘানি বারদারের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের তালেবান প্রতিনিধিদল চীন সফর করলে তা প্রকাশ করা হয়। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আন্তঃআফগান সংলাপের ব্যবস্থা করতেই হয়েছে এই সফর। সফরটি হয় মধ্য জুনে। আর তালেবান প্রতিনিধি দলের সিনিয়র সদস্য মোল্লা আবদুল সালাম হানাফি জানিয়েছেন, এই সফরে ব্যবহারের জন্য তাদেরকে একটি বিমান দিয়েছিল চীনা সরকার।
এতে স্পষ্ট যে আফগান শান্তিপ্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করবে চীন। তবে কোনো একটি দেশ আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। শান্তিপ্রক্রিয়া একটি যৌথ দায়দায়িত্ব। তবে আফগানিস্তান শান্তিপ্রতিষ্ঠা করতে কাবুল ও তালেবানের ওপর তার প্রভাব ব্যবহার ও মিত্র পাকিস্তানকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে রাজি করানোর কাজ করতে পারে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনা সম্পর্ক উষ্ণ না হলেও আফগানিস্তান প্রশ্নে উভয় দেশের অবস্থান অভিন্ন। উভয় দেশই তাদের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসীদের জায়গা দিতে নারাজ।
আব্দুল ঘানি বারদারের নেতৃত্বে (মাঝে) একটি তালেবান প্রতিনিধি দল সম্প্রতি চীন সফর করে |
No comments