রেনুর দুই সন্তানের দায়িত্ব নেবেন স্বজনরা
রাজধানীর
বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর দুই শিশু
সন্তান মাহী ও তুবা দিনরাত খুঁজে ফিরছে মাকে। তাদের বাড়িতে আসা হাজারো
লোকের ভিড়ে যেন মাকেই খুঁজছে এ অবুঝ দুই শিশু। চার বছরের শিশুকন্যা তুবা
তেমন কিছু না বুঝলেও মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদছে ভাই মাহী।
এদিকে, দুই শিশু সন্তানের দায়িত্ব নিতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করলেও তার
স্বজনরা এতে নারাজ। তারা বলছেন, তাদের কাছে রেখে মানুষ করতে চান।
গত ৫ দিন ধরেই কত মানুষ আসছে নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর এলাকায়। বাড়িতে ছোট্ট তুবা এবং ১০ বছরের ছেলে তাসলিম আল মাহী মনের অজান্তেই যেন খুঁজছে তাদের মাকে। মায়ের একটু স্নেহ পেতে বারবারই ছুটে যায় কবরের কাছে।
পাশাপাশি শিশুকন্যা তুবা বারবার বলছে, মা নিচে গেছে ড্রেস আনতে- একথা বলে কান্না করছে। গতকাল সকালে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, রেনুর বড় ছেলে ৫ম শ্রেণির স্কুলছাত্র তাসলিম আল মাহী মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। আর বলছে, যারা মিথ্যা ছেলেধরা গুজব তুলে তার মাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের যেন বিচার হয়। আর শুধু চারদিকে তাকিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছে। পাশাপাশি ছোট্ট অবুঝ শিশু তুবাও চারদিকে শুধু মাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। দুপুরের দিকে খালাদের সঙ্গে রায়পুরের সোনাপুর গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসে চলে যায় তারা।
এদিকে, নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর বড় বোন নাজমুন নাহার ও দুলাভাই তোফাজ্জল হোসেন জানান, তুবা ও মাহী পড়াশোনাসহ সকল দায়িত্ব নিতে অনেকেই এগিয়ে আসতে চায়। বিশেষ করে বিচারক, অর্থশালী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাসহ বিত্তশালী ব্যক্তিরা। কিন্তু স্বজনরা এতে রাজি নয়। যে সমাজ ছেলেধরা গুজব তুলে এ অবুঝ দুই শিশুর মাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে, সেই সমাজে তাদের নিরাপদের কথা ভেবে নিজেদের কাছে রেখে মানুষ করতে চায় স্বজনরা। তবে যারা এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান স্বজনরা। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।
ভাগিনা ও মামলার বাদী নাসির উদ্দিন টিটু জানান, দুই সন্তানের লেখাপড়া-ভরণপোষণ করার মতো অবস্থা তাদের রয়েছে। যারা তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বিশেষ করে মিডিয়া প্রথম থেকে যেভাবে সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতেও যেন তাদের পাশে থাকে, সে অনুরোধ করেন তিনি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাসলিমা বেগম রেনুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মেয়েকে ভর্তির জন্য ওই স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে কথাবার্তায় সন্দেহ হলে গুজবেই লোকজন ছেলেধরা বলে পিটুনি দিলে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে ছেলে তাসলিম আল মাহী ফুফুর বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করছে। বর্তমানে সে লামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রামে রেনুর বাড়ি। তুবা এখন খালাদের সঙ্গে রয়েছে। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে শুরু হয় নিন্দার ঝড়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে সর্বস্তরের মানুষ।
গত ৫ দিন ধরেই কত মানুষ আসছে নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর এলাকায়। বাড়িতে ছোট্ট তুবা এবং ১০ বছরের ছেলে তাসলিম আল মাহী মনের অজান্তেই যেন খুঁজছে তাদের মাকে। মায়ের একটু স্নেহ পেতে বারবারই ছুটে যায় কবরের কাছে।
পাশাপাশি শিশুকন্যা তুবা বারবার বলছে, মা নিচে গেছে ড্রেস আনতে- একথা বলে কান্না করছে। গতকাল সকালে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, রেনুর বড় ছেলে ৫ম শ্রেণির স্কুলছাত্র তাসলিম আল মাহী মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। আর বলছে, যারা মিথ্যা ছেলেধরা গুজব তুলে তার মাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের যেন বিচার হয়। আর শুধু চারদিকে তাকিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছে। পাশাপাশি ছোট্ট অবুঝ শিশু তুবাও চারদিকে শুধু মাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। দুপুরের দিকে খালাদের সঙ্গে রায়পুরের সোনাপুর গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসে চলে যায় তারা।
এদিকে, নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর বড় বোন নাজমুন নাহার ও দুলাভাই তোফাজ্জল হোসেন জানান, তুবা ও মাহী পড়াশোনাসহ সকল দায়িত্ব নিতে অনেকেই এগিয়ে আসতে চায়। বিশেষ করে বিচারক, অর্থশালী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাসহ বিত্তশালী ব্যক্তিরা। কিন্তু স্বজনরা এতে রাজি নয়। যে সমাজ ছেলেধরা গুজব তুলে এ অবুঝ দুই শিশুর মাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে, সেই সমাজে তাদের নিরাপদের কথা ভেবে নিজেদের কাছে রেখে মানুষ করতে চায় স্বজনরা। তবে যারা এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান স্বজনরা। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।
ভাগিনা ও মামলার বাদী নাসির উদ্দিন টিটু জানান, দুই সন্তানের লেখাপড়া-ভরণপোষণ করার মতো অবস্থা তাদের রয়েছে। যারা তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বিশেষ করে মিডিয়া প্রথম থেকে যেভাবে সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতেও যেন তাদের পাশে থাকে, সে অনুরোধ করেন তিনি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাসলিমা বেগম রেনুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মেয়েকে ভর্তির জন্য ওই স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে কথাবার্তায় সন্দেহ হলে গুজবেই লোকজন ছেলেধরা বলে পিটুনি দিলে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে ছেলে তাসলিম আল মাহী ফুফুর বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করছে। বর্তমানে সে লামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর সোনাপুর গ্রামে রেনুর বাড়ি। তুবা এখন খালাদের সঙ্গে রয়েছে। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে শুরু হয় নিন্দার ঝড়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে সর্বস্তরের মানুষ।
No comments