এক লাখ বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ by নূর মোহাম্মদ
চলতি
বছর আরো ১ লাখ বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের সব
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ পূরণের জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ইতিমধ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্য
পদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই তালিকা ধরে এখন নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া
শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
সম্প্রতি জাতীয় মেধায় প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পর ১৫ এবং ১৬তম
নিবন্ধনের মাধ্যমে এ পদগুলোতে নিয়োগ দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য
জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন মানবজমিনকে বলেন, চলতি বছর এক লাখ বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার টার্গেট আছে। ইতিমধ্যে জাতীয় মেধায় প্রায় ৪০ হাজার নিয়োগের সুপারিশ করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ৬০ হাজার পদ ফাঁকা হবে।
জাতীয় মেধা তালিকার পর আরও চলতি বছর আরও দুটি নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে এ ৬০ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য জাতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৮ই ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শিক্ষক পদে ৩১ লাখ আবেদন জমা পড়ে। এ জাতীয় মেধায় প্রকাশের পর যাদের বয়স ৩৫ বছর হয়েছে তারা আর কোনো নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন না। এদিকে ১৫তম নিবন্ধন পরীক্ষার তারিখ শিগগিরই প্রকাশ করবে এবং ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা বলেন, সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে দুই দফা তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৯ হাজার ৫৩৫টি শূন্য পদের চাহিদার বিপরীতে জাতীয় মেধা তালিকায় আবেদন সংগ্রহ করে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য তালিকা প্রকাশ করে সুপারিশ করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমসের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগে চাহিদা দিতো না। দিলেও ভুলবাল দিতো। এনটিআরসিএ ছাড়াও এখন সরাসরি নিয়োগ দেয়া সম্ভব না হওয়ায় বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদা দেয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে জেলা শিক্ষা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে সেই তালিকা যাচাইবাছাই করে সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত তথ্যমতে চলতি বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ৬০ হাজার পদ ফাঁকা হবে। এসব পদের নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্মকর্তাদের অভিযোগ, একটি গ্রুপ এ নিয়োগ আটকে দিতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আটকাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের দারস্থ হয়। সম্প্রতি জাতীয় মেধা তালিকায় নিয়োগ আটকাতে দেড়’শ মতো মামলা হয়েছে। যার প্রতিটি মামলাই ধরন হুবহু এক। শুধু তারিখ ও হাইকোর্টে বেঞ্চ বদল করা।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন বলেন, এনটিআরসিএ যখনই নিয়োগের উদ্যোগ নেয় তখনই মামলা। কারণ নিয়োগ আটকাতে হবে। তিনি বলেন, কোর্টে জয়ী মামলাগুলো রেফারেন্স হিসেবে দেখানোর পর একসঙ্গে সব মামলা খারিজ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যত বাধাই আসুক নিয়োগপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাবোই। সারা দেশে শূন্য পদের চাহিদা প্রায় পেয়ে গেছি। জাতীয় মেধার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। চলতি বছর আরও দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার কাজ শুরু করবো।
এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা জানান, সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শরীরচর্চা শিক্ষক পদের জন্য শুধু মহিলা প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বিষয়ভিত্তিক নিবন্ধিতদের ই-বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের বিপরীতে সব প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। তবে এক ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদে আবেদন করলে পছন্দের ক্রম উল্লেখ করতে হবে। আবেদনকারীর পছন্দের ক্রমানুসারে ও মেধাক্রম অনুসারে মাত্র একটি পদের বিপরীতে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী কর্মরত আছেন তারাও অনলাইনে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তাদের নিয়োগের আবেদনসমূহ অন্যান্য প্রার্থীদের ন্যায় জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক নিষ্পত্তি করা হবে।
আগে বেসরকারি স্কুল, মাদরাসা ও কলেজের প্রধান এবং ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষক নিয়োগ দিতেন। এ নিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালে প্রথম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা চালু করা হয়। এরপরে ১২টি পরীক্ষা নেয়া হয়। এতে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৩ জন পাস করে। এর মধ্যে চাকরি পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩২২ জন। এনটিআরসিএ শুধু পরীক্ষা নিয়ে সনদ দিতো। আর চাকরি দেয়ার ক্ষমতা আগের মতোই ম্যানেজিং কমিটির হাতে থাকায় নিয়োগ বাণিজ্য অব্যাহত ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের ২২শে অক্টোবর এনটিআরসিএ আইন সংশোধন করে মেধা তালিকার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ চালু করে। ২০১৬ সালের ৯ই অক্টোবর প্রথমবারের মতো জাতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
১ম থেকে ১২তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করেও চাকরি না পেয়ে বঞ্চিতরা আদালতে অর্ধশতাধিক রিট আবেদন করেন। মামলার কারণে গত দুই বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ আটকে ছিল। আদালত নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করাদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের রায় দিয়েছেন। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এনটিআরসিএ ৬ লাখ চার হাজার ৬৮৫ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করে। জেলা ভিত্তিক মেধা তালিকার পরিবর্তে এবার জাতীয় মেধা তালিকার মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে এক জেলার নিবন্ধিতরা অন্য জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
এদিকে গত মাসে এনটিআরসিএ’র পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এবিএম শওকত ইকবাল শাহিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আগামী বছর দুটি শিক্ষক নিবন্ধ পরীক্ষার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ১৫তম নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ১৫তম পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ করে ১৬তম পরীক্ষা নেয়া হবে। সেজন্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে যেসব পদ শূন্য হবে তার বিষয়ভিত্তিক তালিকার আগামী ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন মানবজমিনকে বলেন, চলতি বছর এক লাখ বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার টার্গেট আছে। ইতিমধ্যে জাতীয় মেধায় প্রায় ৪০ হাজার নিয়োগের সুপারিশ করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ৬০ হাজার পদ ফাঁকা হবে।
জাতীয় মেধা তালিকার পর আরও চলতি বছর আরও দুটি নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে এ ৬০ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য জাতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৮ই ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শিক্ষক পদে ৩১ লাখ আবেদন জমা পড়ে। এ জাতীয় মেধায় প্রকাশের পর যাদের বয়স ৩৫ বছর হয়েছে তারা আর কোনো নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন না। এদিকে ১৫তম নিবন্ধন পরীক্ষার তারিখ শিগগিরই প্রকাশ করবে এবং ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা বলেন, সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে দুই দফা তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৯ হাজার ৫৩৫টি শূন্য পদের চাহিদার বিপরীতে জাতীয় মেধা তালিকায় আবেদন সংগ্রহ করে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য তালিকা প্রকাশ করে সুপারিশ করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমসের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগে চাহিদা দিতো না। দিলেও ভুলবাল দিতো। এনটিআরসিএ ছাড়াও এখন সরাসরি নিয়োগ দেয়া সম্ভব না হওয়ায় বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদা দেয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে জেলা শিক্ষা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে সেই তালিকা যাচাইবাছাই করে সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত তথ্যমতে চলতি বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ৬০ হাজার পদ ফাঁকা হবে। এসব পদের নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্মকর্তাদের অভিযোগ, একটি গ্রুপ এ নিয়োগ আটকে দিতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আটকাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের দারস্থ হয়। সম্প্রতি জাতীয় মেধা তালিকায় নিয়োগ আটকাতে দেড়’শ মতো মামলা হয়েছে। যার প্রতিটি মামলাই ধরন হুবহু এক। শুধু তারিখ ও হাইকোর্টে বেঞ্চ বদল করা।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন বলেন, এনটিআরসিএ যখনই নিয়োগের উদ্যোগ নেয় তখনই মামলা। কারণ নিয়োগ আটকাতে হবে। তিনি বলেন, কোর্টে জয়ী মামলাগুলো রেফারেন্স হিসেবে দেখানোর পর একসঙ্গে সব মামলা খারিজ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যত বাধাই আসুক নিয়োগপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাবোই। সারা দেশে শূন্য পদের চাহিদা প্রায় পেয়ে গেছি। জাতীয় মেধার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। চলতি বছর আরও দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার কাজ শুরু করবো।
এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা জানান, সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শরীরচর্চা শিক্ষক পদের জন্য শুধু মহিলা প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বিষয়ভিত্তিক নিবন্ধিতদের ই-বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের বিপরীতে সব প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। তবে এক ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদে আবেদন করলে পছন্দের ক্রম উল্লেখ করতে হবে। আবেদনকারীর পছন্দের ক্রমানুসারে ও মেধাক্রম অনুসারে মাত্র একটি পদের বিপরীতে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী কর্মরত আছেন তারাও অনলাইনে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে তাদের নিয়োগের আবেদনসমূহ অন্যান্য প্রার্থীদের ন্যায় জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক নিষ্পত্তি করা হবে।
আগে বেসরকারি স্কুল, মাদরাসা ও কলেজের প্রধান এবং ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষক নিয়োগ দিতেন। এ নিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালে প্রথম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা চালু করা হয়। এরপরে ১২টি পরীক্ষা নেয়া হয়। এতে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৩ জন পাস করে। এর মধ্যে চাকরি পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩২২ জন। এনটিআরসিএ শুধু পরীক্ষা নিয়ে সনদ দিতো। আর চাকরি দেয়ার ক্ষমতা আগের মতোই ম্যানেজিং কমিটির হাতে থাকায় নিয়োগ বাণিজ্য অব্যাহত ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের ২২শে অক্টোবর এনটিআরসিএ আইন সংশোধন করে মেধা তালিকার মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ চালু করে। ২০১৬ সালের ৯ই অক্টোবর প্রথমবারের মতো জাতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
১ম থেকে ১২তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করেও চাকরি না পেয়ে বঞ্চিতরা আদালতে অর্ধশতাধিক রিট আবেদন করেন। মামলার কারণে গত দুই বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ আটকে ছিল। আদালত নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করাদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের রায় দিয়েছেন। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এনটিআরসিএ ৬ লাখ চার হাজার ৬৮৫ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করে। জেলা ভিত্তিক মেধা তালিকার পরিবর্তে এবার জাতীয় মেধা তালিকার মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে এক জেলার নিবন্ধিতরা অন্য জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
এদিকে গত মাসে এনটিআরসিএ’র পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এবিএম শওকত ইকবাল শাহিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আগামী বছর দুটি শিক্ষক নিবন্ধ পরীক্ষার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ১৫তম নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ১৫তম পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ করে ১৬তম পরীক্ষা নেয়া হবে। সেজন্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে যেসব পদ শূন্য হবে তার বিষয়ভিত্তিক তালিকার আগামী ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
No comments