আসিয়া বিবির সকল বাধা জয়
ব্লাসফেমি
বা ধর্মাবমাননার অভিযোগ থেকে আসিয়া বিবিকে অব্যাহতি দেয়ার রায় বহাল রেখেছে
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত। এর পূর্বে তাকে বেকসুর খালাসের রায় প্রদান
করলে তীব্র বিক্ষোভ গড়ে তোলে কট্টরপন্থি দলগুলো। এতে পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে
পড়ে সহিংসতা, অচল হয়ে পড়ে বড় বড় শহরগুলো। এ ছাড়া আসিয়া বিবি ও তার
আইনজীবীকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এতে তারা তখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য
হন। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
মঙ্গলবার, ইসলামাবাদে অবস্থিত পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে করা রিভিউ পিটিশন বাতিল করে দেয়। এর আগে তিনি ৮ বছর মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিয়ে কারাগারে আটক ছিলেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে তাকে অব্যাহতি দেয় দেশটির আদালত।
কিন্তু মুক্তি লাভ করলেও কট্টরপন্থি দলগুলো তাকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় ও আসিয়া বিবির নিরাপত্তার জন্য মুক্তির পরও তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। আসিয়া বিবি যাতে পাকিস্তান ছেড়ে না যেতে পারে সে জন্যও আন্দোলন করতে থাকে কট্টরপন্থিরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি এখন পুরোপুরি মুক্ত। এখন কানাডায় তার সন্তানদের কাছে পৌঁছানোর পথে আর কোনো বাধাই থাকলো না। বর্তমানে পাকিস্তান সরকারের হেফাজতে গোপন স্থানে রয়েছেন তিনি। এর আগে, ২০০৯ সালে ৫৪ বছর বয়সী এই নারীকে ধর্মাবমাননার অভিযোগে আটক করা হয়। ঘটনার দিন পাঞ্জাব রাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় একটি গ্রামের মাঠে দুই মুসলিম নারীর সঙ্গে কাজ করছিলেন আসিয়া বিবি। তিনি খ্রিষ্টান বলে ওই দুই নারী একই পাত্র থেকে পানি খেতে অস্বীকার জানায় আর এ নিয়ে তাদের সঙ্গে তর্ক হয় আসিয়া বিবির। ওই দুই নারী পরবর্তীতে গ্রামে গিয়ে দাবি করে যে, আসিয়া বিবি ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে। এতে আসিয়া বিবির পরিবারের ওপর হামলা হয় ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই মামলা নিয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠে পাকিস্তানের কট্টরদলগুলো। আসিয়া বিবির পক্ষে কথা বলার জন্য পাঞ্জাবের তৎকালীন গভর্নর সালমান তাসিরকে হত্যা করা হয়। তিনি ব্লাসফেমি আইনের সংস্কারেরও দাবিও তুলেছিলেন। তার এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয় চরমপন্থিরা। ২০১১ সালে ইসলামাবাদে নিজের দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন তাসির। একই বছর ব্লাসফেমি আইনের আরেক সমালোচক তৎকালীন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টিও বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে পাকিস্তানি অধিকারকর্মী হাফিজ বলেন, ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী আসিয়া বিবিকে হত্যা করতে হবে। তাই দেশ ছাড়লেও আসিয়া বিবি নিরাপদ নন। তিনি আরো বলেন, যদি আসিয়া বিবি বিদেশ চলেও যান, সেখানে কি মুসলিম নেই? সেখানেও তাকে হত্যা করা হতে পারে। উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে সেনাশাসক জেনারেল জিয়াউল হক ব্লাসফেমি আইন চালু করে। পাকিস্তানি অধিকারকর্মীরা বলছেন, অনেকক্ষেত্রেই এই আইনকে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা মেটানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। খ্রিষ্টান, হিন্দু, এমনকি ইসলামের সংখ্যালঘু গোত্র আহমাদিয়াদের বিরুদ্ধেও এই আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়।
মঙ্গলবার, ইসলামাবাদে অবস্থিত পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে করা রিভিউ পিটিশন বাতিল করে দেয়। এর আগে তিনি ৮ বছর মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিয়ে কারাগারে আটক ছিলেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে তাকে অব্যাহতি দেয় দেশটির আদালত।
কিন্তু মুক্তি লাভ করলেও কট্টরপন্থি দলগুলো তাকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় ও আসিয়া বিবির নিরাপত্তার জন্য মুক্তির পরও তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। আসিয়া বিবি যাতে পাকিস্তান ছেড়ে না যেতে পারে সে জন্যও আন্দোলন করতে থাকে কট্টরপন্থিরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি এখন পুরোপুরি মুক্ত। এখন কানাডায় তার সন্তানদের কাছে পৌঁছানোর পথে আর কোনো বাধাই থাকলো না। বর্তমানে পাকিস্তান সরকারের হেফাজতে গোপন স্থানে রয়েছেন তিনি। এর আগে, ২০০৯ সালে ৫৪ বছর বয়সী এই নারীকে ধর্মাবমাননার অভিযোগে আটক করা হয়। ঘটনার দিন পাঞ্জাব রাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় একটি গ্রামের মাঠে দুই মুসলিম নারীর সঙ্গে কাজ করছিলেন আসিয়া বিবি। তিনি খ্রিষ্টান বলে ওই দুই নারী একই পাত্র থেকে পানি খেতে অস্বীকার জানায় আর এ নিয়ে তাদের সঙ্গে তর্ক হয় আসিয়া বিবির। ওই দুই নারী পরবর্তীতে গ্রামে গিয়ে দাবি করে যে, আসিয়া বিবি ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে। এতে আসিয়া বিবির পরিবারের ওপর হামলা হয় ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই মামলা নিয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠে পাকিস্তানের কট্টরদলগুলো। আসিয়া বিবির পক্ষে কথা বলার জন্য পাঞ্জাবের তৎকালীন গভর্নর সালমান তাসিরকে হত্যা করা হয়। তিনি ব্লাসফেমি আইনের সংস্কারেরও দাবিও তুলেছিলেন। তার এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয় চরমপন্থিরা। ২০১১ সালে ইসলামাবাদে নিজের দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন তাসির। একই বছর ব্লাসফেমি আইনের আরেক সমালোচক তৎকালীন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টিও বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে পাকিস্তানি অধিকারকর্মী হাফিজ বলেন, ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী আসিয়া বিবিকে হত্যা করতে হবে। তাই দেশ ছাড়লেও আসিয়া বিবি নিরাপদ নন। তিনি আরো বলেন, যদি আসিয়া বিবি বিদেশ চলেও যান, সেখানে কি মুসলিম নেই? সেখানেও তাকে হত্যা করা হতে পারে। উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে সেনাশাসক জেনারেল জিয়াউল হক ব্লাসফেমি আইন চালু করে। পাকিস্তানি অধিকারকর্মীরা বলছেন, অনেকক্ষেত্রেই এই আইনকে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা মেটানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। খ্রিষ্টান, হিন্দু, এমনকি ইসলামের সংখ্যালঘু গোত্র আহমাদিয়াদের বিরুদ্ধেও এই আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়।
No comments