বিদ্যুৎ বিতরণ সম্প্রসারণে একনেকে দুটি প্রকল্প অনুমোদন
রাজশাহী
ও রংপুর বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন সমপ্রসারণের লক্ষ্যে একই ধরনের দুটি
প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি
(একনেক)। এই দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ২১৫ কোটি
১৭ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ৪ লাখ ১৫ হাজার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এই দুই প্রকল্পসহ মোট ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সভায় ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৬ হাজার ৪৩৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৬২০ কোটি ২৭ লাখ টাকা সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করবে। বাকি ২ লাখ ৫২৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে।
৯ প্রকল্পের মধ্যে ৫টি নতুন এবং ৪টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শিল্প ও কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের নিশ্চিত করতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে একটি জাতীয় নীতি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সব মিটার গেজ রেলওয়ে লাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তরের পরিকল্পনা তৈরিরও নির্দেশনা দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রেল, সড়ক ও নৌ পরিবহনের জন্য একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে এক টিকিটে সকল পরিবহনে যাতায়াত করা যায়। উন্নত দেশে এমন ব্যবস্থা চালু আছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী দেশব্যাপী বিদ্যুৎ সংযোগ সমপ্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কার্যক্রমে ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণ সমপ্রসারণের লক্ষে গৃহীত দুই প্রকল্প ২০২২ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে প্রকল্প এলাকায় শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় চলে আসবে। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের প্রতিটি মানুষ নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ পরিসেবা পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রংপুর বিভাগ বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্র সমপ্রসারণ এবং পুনর্বাসন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ১২৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রংপুর উপকেন্দ্রের বিদ্যুৎ সঞ্চালন সক্ষমতা ২২০ মেগাওয়াট বৃদ্ধি পাবে এবং রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৮০ হাজার নতুন সংযোগ দেয়া হবে।
এছাড়া বিদ্যুৎ বিতরণের লক্ষে অনুমোদিত অপর প্রকল্প ‘রাজশাহী বিভাগ বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্র সমপ্রসারণ এবং পুনর্বাসন’। এতে খরচ হবে ১ হাজার ৯১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে রাজশাহী উপকেন্দ্রের ৪৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন সক্ষমতা বাড়বে। পাশাপাশি রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৩৫ হাজার নতুন সংযোগ দেয়া হবে।
এছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘ডিজিটাল কানেকটিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ প্রকল্প; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সৈয়দপুর ১৫০ মেগাওয়াট ১০ শতাংশ সিম্পল সাইকেল (এইচএসডি ভিত্তিক) বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ’ এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন সমপ্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ (১৯.৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংস্থানসহ-১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সাড়ে ১৯ লাখ নতুন সংযোগ আমরা দিতে পারবো। এক সংযোগে পাঁচজন করে মানুষ ধরলেও গড়ে প্রায় এক কোটি মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাবেন।
অনুমোদন পাওয়া অপর প্রকল্পসমূহ হলো- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘৭০টি মিটার গেজ (এমজি) ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানকল্পে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড স্থাপন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কক্সবাজারের লিংক রোড-লাবণী মোড় সড়ক (এন-১১০) চারলেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘আরিচা (বরঙ্গাইল)-ঘিওর-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল সড়কের ৬ষ্ঠ কিলোমিটারে ১০৩.৪৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
প্রবৃদ্ধি-উৎপাদন বাড়ায় টাকা পাচার বেড়েছে: দেশে প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদন বাড়ায় টাকা পাচারের পরিমাণও বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গতকাল একনেক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমাদের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে, উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, টাকাও প্রচুর বেশি আগের তুলনায়। টাকা পাচারও বৃদ্ধি পেয়েছে লজিক্যালি আমার মনে হয়। এটা আমাদের নজরে আছে। আমার মনে হয়, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী চিন্তাভাবনা করছেন এটা নিয়ে। ব্যাংকগুলোর ওপরও নির্দেশনা আছে। নানাভাবে আমরা কাজ করছি।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এই দুই প্রকল্পসহ মোট ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সভায় ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৬ হাজার ৪৩৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৬২০ কোটি ২৭ লাখ টাকা সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করবে। বাকি ২ লাখ ৫২৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে।
৯ প্রকল্পের মধ্যে ৫টি নতুন এবং ৪টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শিল্প ও কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের নিশ্চিত করতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে একটি জাতীয় নীতি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়কে বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সব মিটার গেজ রেলওয়ে লাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তরের পরিকল্পনা তৈরিরও নির্দেশনা দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রেল, সড়ক ও নৌ পরিবহনের জন্য একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে এক টিকিটে সকল পরিবহনে যাতায়াত করা যায়। উন্নত দেশে এমন ব্যবস্থা চালু আছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী দেশব্যাপী বিদ্যুৎ সংযোগ সমপ্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কার্যক্রমে ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণ সমপ্রসারণের লক্ষে গৃহীত দুই প্রকল্প ২০২২ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে প্রকল্প এলাকায় শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় চলে আসবে। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের প্রতিটি মানুষ নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ পরিসেবা পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রংপুর বিভাগ বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্র সমপ্রসারণ এবং পুনর্বাসন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ১২৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রংপুর উপকেন্দ্রের বিদ্যুৎ সঞ্চালন সক্ষমতা ২২০ মেগাওয়াট বৃদ্ধি পাবে এবং রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৮০ হাজার নতুন সংযোগ দেয়া হবে।
এছাড়া বিদ্যুৎ বিতরণের লক্ষে অনুমোদিত অপর প্রকল্প ‘রাজশাহী বিভাগ বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্র সমপ্রসারণ এবং পুনর্বাসন’। এতে খরচ হবে ১ হাজার ৯১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে রাজশাহী উপকেন্দ্রের ৪৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন সক্ষমতা বাড়বে। পাশাপাশি রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৩৫ হাজার নতুন সংযোগ দেয়া হবে।
এছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘ডিজিটাল কানেকটিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ প্রকল্প; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সৈয়দপুর ১৫০ মেগাওয়াট ১০ শতাংশ সিম্পল সাইকেল (এইচএসডি ভিত্তিক) বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ’ এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন সমপ্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ (১৯.৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংস্থানসহ-১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সাড়ে ১৯ লাখ নতুন সংযোগ আমরা দিতে পারবো। এক সংযোগে পাঁচজন করে মানুষ ধরলেও গড়ে প্রায় এক কোটি মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাবেন।
অনুমোদন পাওয়া অপর প্রকল্পসমূহ হলো- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘৭০টি মিটার গেজ (এমজি) ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানকল্পে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড স্থাপন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কক্সবাজারের লিংক রোড-লাবণী মোড় সড়ক (এন-১১০) চারলেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘আরিচা (বরঙ্গাইল)-ঘিওর-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল সড়কের ৬ষ্ঠ কিলোমিটারে ১০৩.৪৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
প্রবৃদ্ধি-উৎপাদন বাড়ায় টাকা পাচার বেড়েছে: দেশে প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদন বাড়ায় টাকা পাচারের পরিমাণও বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গতকাল একনেক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমাদের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে, উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, টাকাও প্রচুর বেশি আগের তুলনায়। টাকা পাচারও বৃদ্ধি পেয়েছে লজিক্যালি আমার মনে হয়। এটা আমাদের নজরে আছে। আমার মনে হয়, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী চিন্তাভাবনা করছেন এটা নিয়ে। ব্যাংকগুলোর ওপরও নির্দেশনা আছে। নানাভাবে আমরা কাজ করছি।
No comments