অস্ট্রেলিয়ার ডার্লিং নদীতে আবারও ভেসে উঠলো কয়েক লাখ মৃত মাছ
অস্ট্রেলিয়ার
খরা কবলিত মেনিন্দি এলাকায় আবারও মারা গেছে কয়েক লাখ মাছ। পানিতে ভেসে ওঠা
মৃত মাছে ছেয়ে গেছে ডার্লিং নদী। জানুয়ারির শুরুর দিকে দশ লাখ মাছ মারা
যাওয়ার কয়েক সপ্তাহের মাথায় নতুন করে বিপুল সংখ্যক মাছের মারা গেলো। আগামী
কয়েকদিনে এভাবে গণহারে মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে
কর্তৃপক্ষ। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা
গেছে।
সম্প্রতি দীর্ঘমেয়াদী খরায় আক্রান্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলো। সেইসঙ্গে প্রচণ্ডরকমের তাপপ্রবাহ আবহাওয়াকে আরও বৈরি করে তুলেছে। উত্তরাঞ্চলীয় অস্ট্রেলিয়ায় বর্ষাকাল দেরি করে আসার কারণেও কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন রাজ্যে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত মুরে-ডার্লিং রিভার ব্যবস্থারই অংশ হলো ডার্লিং নদী। কয়েক সপ্তাহ আগে সেখানে ভেসে উঠেছিল প্রায় দশ লাখ মৃত মাছ। বিজ্ঞানীরা এর জন্য কম পানি, অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া ও বিষাক্ত শেওলার উপস্থিতিকে দায়ী করেছিলেন। ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই গত কয়েকদিনে ডার্লিং নদীতে নতুন করে বিপুলসংখ্যক মৃত মাছ ভেসে উঠেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের ডিপার্টমেন্ট অব প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিজের পরিদর্শকরা এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। এক বিবৃতিতে তারা নিশ্চিত করেছেন, ‘কয়েক লাখ মাছ মারা গেছে’। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ডার্লিং নদীতে আরও বেশি মাছের মৃত্যু হতে পারে। কারণ, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মাছকে নাজুক অবস্থায় দেখা গেছে।’ পরিদর্শকদের দাবি, উষ্ণ আবহাওয়া দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার পর তাপমাত্রার অস্বাভাবিকতার কারণে ‘অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেছে’। আর সেকারণেই ডার্লিং নদীর মাছের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃষ্টিপাত হওয়ার মতো কোনও পূর্বাভাসও নেই। এমন অবস্থায় আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতে আরও বেশি সংখ্যক মাছ মারা যাওয়ার ‘উচ্চ ঝুঁকি’ তৈরি হয়েছে।
এভাবে বিপুল সংখ্যক মাছের মৃত্যুর জন্য তীব্র খরাকে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয়দের দাবি, পদ্ধতিগত নিঃশ্বেষকরণ ও নদী দূষণ এর জন্য দায়ী।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) মেনিন্দি সফর করেছেন নিউ সাউথ ওয়েলস-এর আঞ্চলিক পানিমন্ত্রী নিয়াল ব্লেয়ার। অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এবিসিকে তিনি জানান, নদীগুলোতে অ্যারেটর (পানিতে অক্সিজের সরবরাহ বাড়ানোর যন্ত্র) স্থাপন করা ছাড়া তার সরকারের হাতে অন্য কোনও উপায় নেই। ‘কোনও কিছুতে অর্থ খরচ করতে না চাওয়ার মতো বিষয় নয় এটি। এখানে কেউ অন্য কোনও বিকল্প প্রস্তাবই দিতে পারেনি। ‘এ মুহূর্তে পরিস্থিতি সামলানোর একমাত্র উপায় হলো এ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে আসা। এ মুহূর্তে তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
উল্লেখ্য, গত বছর বড়দিনের আগেও ডার্লিং নদীতে মৃত মাছ ভেসে উঠেছিল।
সম্প্রতি দীর্ঘমেয়াদী খরায় আক্রান্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলো। সেইসঙ্গে প্রচণ্ডরকমের তাপপ্রবাহ আবহাওয়াকে আরও বৈরি করে তুলেছে। উত্তরাঞ্চলীয় অস্ট্রেলিয়ায় বর্ষাকাল দেরি করে আসার কারণেও কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন রাজ্যে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত মুরে-ডার্লিং রিভার ব্যবস্থারই অংশ হলো ডার্লিং নদী। কয়েক সপ্তাহ আগে সেখানে ভেসে উঠেছিল প্রায় দশ লাখ মৃত মাছ। বিজ্ঞানীরা এর জন্য কম পানি, অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া ও বিষাক্ত শেওলার উপস্থিতিকে দায়ী করেছিলেন। ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই গত কয়েকদিনে ডার্লিং নদীতে নতুন করে বিপুলসংখ্যক মৃত মাছ ভেসে উঠেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের ডিপার্টমেন্ট অব প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিজের পরিদর্শকরা এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। এক বিবৃতিতে তারা নিশ্চিত করেছেন, ‘কয়েক লাখ মাছ মারা গেছে’। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ডার্লিং নদীতে আরও বেশি মাছের মৃত্যু হতে পারে। কারণ, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মাছকে নাজুক অবস্থায় দেখা গেছে।’ পরিদর্শকদের দাবি, উষ্ণ আবহাওয়া দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার পর তাপমাত্রার অস্বাভাবিকতার কারণে ‘অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেছে’। আর সেকারণেই ডার্লিং নদীর মাছের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃষ্টিপাত হওয়ার মতো কোনও পূর্বাভাসও নেই। এমন অবস্থায় আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতে আরও বেশি সংখ্যক মাছ মারা যাওয়ার ‘উচ্চ ঝুঁকি’ তৈরি হয়েছে।
এভাবে বিপুল সংখ্যক মাছের মৃত্যুর জন্য তীব্র খরাকে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয়দের দাবি, পদ্ধতিগত নিঃশ্বেষকরণ ও নদী দূষণ এর জন্য দায়ী।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) মেনিন্দি সফর করেছেন নিউ সাউথ ওয়েলস-এর আঞ্চলিক পানিমন্ত্রী নিয়াল ব্লেয়ার। অস্ট্রেলিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এবিসিকে তিনি জানান, নদীগুলোতে অ্যারেটর (পানিতে অক্সিজের সরবরাহ বাড়ানোর যন্ত্র) স্থাপন করা ছাড়া তার সরকারের হাতে অন্য কোনও উপায় নেই। ‘কোনও কিছুতে অর্থ খরচ করতে না চাওয়ার মতো বিষয় নয় এটি। এখানে কেউ অন্য কোনও বিকল্প প্রস্তাবই দিতে পারেনি। ‘এ মুহূর্তে পরিস্থিতি সামলানোর একমাত্র উপায় হলো এ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে আসা। এ মুহূর্তে তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
উল্লেখ্য, গত বছর বড়দিনের আগেও ডার্লিং নদীতে মৃত মাছ ভেসে উঠেছিল।
অস্ট্রেলিয়ার ডার্লিং নদীতে আবারও ভেসে উঠেছে কয়েক লাখ মৃত মাছ |
No comments