রথিশ হত্যায় স্ত্রীর ফাঁসি
চাঞ্চল্যকর
অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবু সোনা হত্যা মামলায় তার স্ত্রী
স্নিগ্ধা ভৌমিকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার রায় নিয়ে সন্তোষ
প্রকাশ করেছেন বাবু সোনার পরিবার ও সহকর্মীরা। চাঞ্চল্যকর বাবু সোনা
হত্যাকাণ্ডের রায়কে ঘিরে গতকাল সকাল থেকে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তার
ব্যবস্থা করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রংপুর জেলা ও
দায়রা জজ আদালতে আনা হয় হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বাবু সোনার স্ত্রী
স্নিগ্ধা ভৌমিককে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালত চত্বরে উৎসুক মানুষের ভিড়
বাড়তে থাকে। বাবু সোনার সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন, বিভিন্ন ধর্মীয়, রাজনৈতিক,
সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা রায় জানতে সকাল থেকে ভিড় জমান আদালত পাড়ায়।
বেলা পৌনে ১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নেয়া হয় স্নিগ্ধা ভৌমিককে। বিচার কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাবু সোনার আইনজীবী, তার ভাই সুশান্ত ভৌমিক ও বাবু সোনার ছেলে দীপ্ত ভৌমিক।
অপরদিকে, স্নিগ্ধা ভৌমিকের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্র নিযুক্ত) আইনজীবী বসুনিয়া মো. আরিফুল ইসলাম স্বপন উপস্থিত ছিলেন না। আদালতে তিন পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায় পড়েন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবিএম নিজামুল হক। রায়ে ঐতিহ্যগতভাবে পরিবার ও সমাজকে আঘাত করা হয়েছে উল্লেখ করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দেন।
ফাঁসির রায় ঘোষণার পর বাবু সোনার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক সুবল বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। পুলিশ প্রশাসন যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছেন এবং বিজ্ঞ আদালত অতি দ্রুত পর্যায়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যে রায় ঘোষণা করেছেন আমি বাদী হিসেবে এবং পরিবার হিসেবে সন্তোষ প্রকাশ করছি। এ রায়কে আমরা খুশি বলবো না, কারণ আমার দাদাকে তো আর ফিরে পাব না। আমাদের মধ্যমণি ছিল তিনি, আমাদের মাথা ছিলেন তিনি। সেজন্য রায়ে আমরা খুশি কিন্তু তাকে ফেরত না পাওয়ার যে বেদনা সেটাতে অনেক অনেক মর্মাহত।
পূজা উদ্যাপন কমিটির জেলা সম্পাদক ধীমান ভট্টাচার্য বলেন, আসামি পক্ষ যদি পরবর্তীতে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে, তাহলে বিচারকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে এই রায় যেন বহাল থাকে।
সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের বন্ধু অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিককে পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল, এই মামলার আজ রায় প্রকাশ হলো। এই মামলায় স্ত্রীর প্রতি যে স্বামীর অগাধ বিশ্বাস সেই বিশ্বাসে আসামি কুঠারাঘাত করেছে। তার অনৈতিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। পরিকল্পিতভাবে অন্যের প্ররোচনায়, অন্যের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে বাবু সোনাকে হত্যার জন্য বিজ্ঞ আদালত স্নিগ্ধা ভৌমিককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। আমরা মনে করি এই রায় যুক্তিযুক্ত, ন্যায়সঙ্গত ও এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
গত বছরের ৩০শে মার্চ নিখোঁজ হন জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও, মাজারের খাদের হত্যা মামলার পিপি এবং যুদ্ধাপরাধী মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষী ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা। নিখোঁজের ঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই মাঠে নামে র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা প্রথমেই পরকীয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্তে মাঠে নামে। পুলিশ বাবু সোনার স্ত্রী তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা স্নিগ্ধা ভৌমিক ও তার প্রেমিক একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলামের মোবাইল ফোনের কললিস্ট বের করে। ওই কললিস্ট দেখে সন্দেহ হলে নগরীর রাধাবল্লভস্থ বাড়ি থেকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে কামরুল মাস্টারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের তথ্য জানায় কামরুল। পুলিশকে সে তথ্য দেয়, ২৯শে মার্চ রাতে অ্যাডভোকেট বাবু সোনাকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে স্ত্রী সিগ্ধা ও প্রেমিক কামরুল। তাকে কোট-প্যান্ট, জুতা পরিয়ে পাশের রুমে আলমারিতে লাশ লুকিয়ে রাখা হয়। পরদিন সকালে তাজহাটে কামরুলের বড় ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির মেঝেতে বাবু সোনার লাশ মাটিতে গর্ত খুঁড়ে চাপা দিয়ে রাখে কামরুল।
এরপর র্যাব বাবু পাড়ার রথিশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে স্নিগ্ধা ভৌমিককে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেয়া তথ্য পেয়ে র্যাব গত বছরের ৪ঠা এপ্রিল রাত সোয়া ১টার দিকে বাবু সোনার বাবুপাড়ার বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মোল্লাপাড়ায় কামরুল মাস্টারের ভাই খাদেমুল ইসলাম জাফরীর নির্মাণাধীন বাড়ির মেঝে থেকে লাশ উদ্ধার করে। এরপর রথিশ চন্দ্র ভৌমিকের ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক, রংপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু ও অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান লাশ শনাক্তের জন্য। লাশটি ফুলে ফেঁপে যাওয়ায় চিনতে পারা যাচ্ছিল না। এরপর সুশান্ত ভৌমিক ও জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন খুন হওয়া রথিশ চন্দ্র ভৌমিকের পায়ের জুতা দেখে লাশ শনাক্ত করেন।
কামরুল ও স্নিগ্ধার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুসারে এ মামলায় বাবু সোনার সহকারী মিলন মহন্ত ও বাবু সোনাকে চাপা দিতে গর্ত খুঁড়তে সহযোগিতা করায় কামরুল মাস্টারের দুই ছাত্র সবুজ ইসলাম ও রোকনুজ্জামানকে আসামি করা হয়। দুই ছাত্র কিশোর হওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়ে কিশোর শোধনাগারে পাঠানো হয়। মিলন মহন্ত কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিচারকার্য চলাকালীন গত বছরের ১০ই নভেম্বর ভোরের দিকে চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কামরুল মাস্টার। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। গত বছরের ২১শে অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয় এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ৩০শে অক্টোবর থেকে। ৩৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল এ হত্যাকাণ্ডের রায় দেয়া হয়।
বেলা পৌনে ১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নেয়া হয় স্নিগ্ধা ভৌমিককে। বিচার কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাবু সোনার আইনজীবী, তার ভাই সুশান্ত ভৌমিক ও বাবু সোনার ছেলে দীপ্ত ভৌমিক।
অপরদিকে, স্নিগ্ধা ভৌমিকের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্র নিযুক্ত) আইনজীবী বসুনিয়া মো. আরিফুল ইসলাম স্বপন উপস্থিত ছিলেন না। আদালতে তিন পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায় পড়েন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবিএম নিজামুল হক। রায়ে ঐতিহ্যগতভাবে পরিবার ও সমাজকে আঘাত করা হয়েছে উল্লেখ করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দেন।
ফাঁসির রায় ঘোষণার পর বাবু সোনার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক সুবল বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। পুলিশ প্রশাসন যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছেন এবং বিজ্ঞ আদালত অতি দ্রুত পর্যায়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যে রায় ঘোষণা করেছেন আমি বাদী হিসেবে এবং পরিবার হিসেবে সন্তোষ প্রকাশ করছি। এ রায়কে আমরা খুশি বলবো না, কারণ আমার দাদাকে তো আর ফিরে পাব না। আমাদের মধ্যমণি ছিল তিনি, আমাদের মাথা ছিলেন তিনি। সেজন্য রায়ে আমরা খুশি কিন্তু তাকে ফেরত না পাওয়ার যে বেদনা সেটাতে অনেক অনেক মর্মাহত।
পূজা উদ্যাপন কমিটির জেলা সম্পাদক ধীমান ভট্টাচার্য বলেন, আসামি পক্ষ যদি পরবর্তীতে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে, তাহলে বিচারকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে এই রায় যেন বহাল থাকে।
সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের বন্ধু অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিককে পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল, এই মামলার আজ রায় প্রকাশ হলো। এই মামলায় স্ত্রীর প্রতি যে স্বামীর অগাধ বিশ্বাস সেই বিশ্বাসে আসামি কুঠারাঘাত করেছে। তার অনৈতিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। পরিকল্পিতভাবে অন্যের প্ররোচনায়, অন্যের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে বাবু সোনাকে হত্যার জন্য বিজ্ঞ আদালত স্নিগ্ধা ভৌমিককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। আমরা মনে করি এই রায় যুক্তিযুক্ত, ন্যায়সঙ্গত ও এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
গত বছরের ৩০শে মার্চ নিখোঁজ হন জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও, মাজারের খাদের হত্যা মামলার পিপি এবং যুদ্ধাপরাধী মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষী ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা। নিখোঁজের ঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই মাঠে নামে র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা প্রথমেই পরকীয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্তে মাঠে নামে। পুলিশ বাবু সোনার স্ত্রী তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা স্নিগ্ধা ভৌমিক ও তার প্রেমিক একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলামের মোবাইল ফোনের কললিস্ট বের করে। ওই কললিস্ট দেখে সন্দেহ হলে নগরীর রাধাবল্লভস্থ বাড়ি থেকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে কামরুল মাস্টারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের তথ্য জানায় কামরুল। পুলিশকে সে তথ্য দেয়, ২৯শে মার্চ রাতে অ্যাডভোকেট বাবু সোনাকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে স্ত্রী সিগ্ধা ও প্রেমিক কামরুল। তাকে কোট-প্যান্ট, জুতা পরিয়ে পাশের রুমে আলমারিতে লাশ লুকিয়ে রাখা হয়। পরদিন সকালে তাজহাটে কামরুলের বড় ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির মেঝেতে বাবু সোনার লাশ মাটিতে গর্ত খুঁড়ে চাপা দিয়ে রাখে কামরুল।
এরপর র্যাব বাবু পাড়ার রথিশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে স্নিগ্ধা ভৌমিককে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেয়া তথ্য পেয়ে র্যাব গত বছরের ৪ঠা এপ্রিল রাত সোয়া ১টার দিকে বাবু সোনার বাবুপাড়ার বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মোল্লাপাড়ায় কামরুল মাস্টারের ভাই খাদেমুল ইসলাম জাফরীর নির্মাণাধীন বাড়ির মেঝে থেকে লাশ উদ্ধার করে। এরপর রথিশ চন্দ্র ভৌমিকের ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক, রংপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু ও অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান লাশ শনাক্তের জন্য। লাশটি ফুলে ফেঁপে যাওয়ায় চিনতে পারা যাচ্ছিল না। এরপর সুশান্ত ভৌমিক ও জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন খুন হওয়া রথিশ চন্দ্র ভৌমিকের পায়ের জুতা দেখে লাশ শনাক্ত করেন।
কামরুল ও স্নিগ্ধার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুসারে এ মামলায় বাবু সোনার সহকারী মিলন মহন্ত ও বাবু সোনাকে চাপা দিতে গর্ত খুঁড়তে সহযোগিতা করায় কামরুল মাস্টারের দুই ছাত্র সবুজ ইসলাম ও রোকনুজ্জামানকে আসামি করা হয়। দুই ছাত্র কিশোর হওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়ে কিশোর শোধনাগারে পাঠানো হয়। মিলন মহন্ত কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিচারকার্য চলাকালীন গত বছরের ১০ই নভেম্বর ভোরের দিকে চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কামরুল মাস্টার। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। গত বছরের ২১শে অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয় এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ৩০শে অক্টোবর থেকে। ৩৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল এ হত্যাকাণ্ডের রায় দেয়া হয়।
No comments