সেনাপ্রণীত সংবিধান সংশোধনে আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নিলো সু চি’র দল
নোবেল
জয়ী অং সান সু চি’র নেতৃত্বাধীন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর
ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দেশটির সেনাবাহিনী প্রণীত সংবিধান সংশোধনের জন্য
পার্লামেন্টে প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। মঙ্গলবার পার্লামেন্টের স্পিকার এই
ঘোষণা দিয়েছেন। এনএলডি’র প্রস্তাবে সংবিধান সংশোধনের জন্য জয়েন্ট
পার্লামেন্টারি কমিটি গঠন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রায় তিন বছর আগে
ক্ষমতা গ্রহণ করার পর এই প্রথম সংবিধান সংশোধনের আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নিলো সু
চি’র দল। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এখবর জানিয়েছে।
কথিত গণতান্ত্রিক উত্তোরণের নামে মিয়ানমারে আদতে জারি রয়েছে সেনাশাসন। ২০০৮ সালে সামরিক শাসনামলে প্রণীত সংবিধান অগণতান্ত্রিক হিসেবে সমালোচনার মুখে পড়েছে। সংবিধান অনুযায়ী দেশটির পার্লামেন্টের এক চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং সীমান্তসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে। শক্তিশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের ১১টি আসনের মধ্যে ছয়টি আসনেও রয়েছেন সেনাবাহিনী মনোনীত ব্যক্তিরা। গণতান্ত্রিক সরকার বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে সেনা সংখ্যাগরিষ্ঠ এই পরিষদের। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব আনার ফলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) মধ্যে উত্তেজনা বাড়বে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে এনএলডি ঐতিহাসিক নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ার পর থেকেই এই সংবিধান নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে এনএলডি’র বিরোধ চলছে।
পার্লামেন্টের স্পিকার ইউ টি খুন মিয়াত মঙ্গলবার ঘোষণা দেন, কমিটি গঠনের প্রস্তাবটি দুপুরে পার্লামেন্টে উপস্থাপন করবেন এনএলডির আইনপ্রণেতা ইউ অং কুই নিয়ুন্ট।
স্পিকার প্রস্তাবটি থেকে উদ্ধৃত করে পার্লামেন্টে জানান, সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ যতদ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নের জন্য এই প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টকে উপযুক্ত সংখ্যক আইনপ্রণেতাদের নিয়ে একটি জয়েন্ট কমিটি গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আইনপ্রণেতারা প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করবেন।
স্পিকারের এই ঘোষণায় আপত্তি জানিয়েছেন পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি। তিনি এই প্রস্তাবের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি দাবি করেন, সংবিধান সংশোধনের কোনও প্রস্তাব পার্লামেন্টে উপস্থাপন করতে হলে সেটার খসড়ায় ন্যূনতম ২০ জন আইনপ্রণেতার স্বাক্ষর প্রয়োজন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাউং মাউং পার্লামেন্টে বলেন, স্পিকার শুধু জয়েন্ট কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন। ফলে কীভাবে এবং কী পরিবর্তন করা হবে তা সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণাই নেই।
জবাবে স্পিকার জানান, তিনি প্রস্তাবটি বিষয়ে শুধু পার্লামেন্টকে অবহিত করেছেন। বলেন, যখন প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য উন্মুক্ত হবে তখন আপনারা বিতর্ক করতে পারবেন। পার্লামেন্ট বহুদলীয় প্রতিষ্ঠান। তাই স্বচ্ছতার স্বার্থে আমরা দলের আইনপ্রণেতাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
কথিত গণতান্ত্রিক উত্তোরণের নামে মিয়ানমারে আদতে জারি রয়েছে সেনাশাসন। ২০০৮ সালে সামরিক শাসনামলে প্রণীত সংবিধান অগণতান্ত্রিক হিসেবে সমালোচনার মুখে পড়েছে। সংবিধান অনুযায়ী দেশটির পার্লামেন্টের এক চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং সীমান্তসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে। শক্তিশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের ১১টি আসনের মধ্যে ছয়টি আসনেও রয়েছেন সেনাবাহিনী মনোনীত ব্যক্তিরা। গণতান্ত্রিক সরকার বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে সেনা সংখ্যাগরিষ্ঠ এই পরিষদের। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব আনার ফলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) মধ্যে উত্তেজনা বাড়বে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে এনএলডি ঐতিহাসিক নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ার পর থেকেই এই সংবিধান নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে এনএলডি’র বিরোধ চলছে।
পার্লামেন্টের স্পিকার ইউ টি খুন মিয়াত মঙ্গলবার ঘোষণা দেন, কমিটি গঠনের প্রস্তাবটি দুপুরে পার্লামেন্টে উপস্থাপন করবেন এনএলডির আইনপ্রণেতা ইউ অং কুই নিয়ুন্ট।
স্পিকার প্রস্তাবটি থেকে উদ্ধৃত করে পার্লামেন্টে জানান, সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ যতদ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নের জন্য এই প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টকে উপযুক্ত সংখ্যক আইনপ্রণেতাদের নিয়ে একটি জয়েন্ট কমিটি গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আইনপ্রণেতারা প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করবেন।
স্পিকারের এই ঘোষণায় আপত্তি জানিয়েছেন পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি। তিনি এই প্রস্তাবের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি দাবি করেন, সংবিধান সংশোধনের কোনও প্রস্তাব পার্লামেন্টে উপস্থাপন করতে হলে সেটার খসড়ায় ন্যূনতম ২০ জন আইনপ্রণেতার স্বাক্ষর প্রয়োজন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাউং মাউং পার্লামেন্টে বলেন, স্পিকার শুধু জয়েন্ট কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন। ফলে কীভাবে এবং কী পরিবর্তন করা হবে তা সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণাই নেই।
জবাবে স্পিকার জানান, তিনি প্রস্তাবটি বিষয়ে শুধু পার্লামেন্টকে অবহিত করেছেন। বলেন, যখন প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য উন্মুক্ত হবে তখন আপনারা বিতর্ক করতে পারবেন। পার্লামেন্ট বহুদলীয় প্রতিষ্ঠান। তাই স্বচ্ছতার স্বার্থে আমরা দলের আইনপ্রণেতাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
No comments