মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে রগরগে যৌনতার অভিযোগ, পরিবারের অস্বীকার
কিং অব পপ বা পপ সঙ্গীতের রাজা প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসনকে কেন্দ্র করে তুমুল
বিতর্ক পশ্চিমা দুনিয়ায়। সেই বিতর্ক এখন মিডিয়ার কল্যাণে ছড়িয়ে পড়েছে
বিশ্বময়। মাইকেল জ্যাকসনের জীবনীভিত্তিক একটি ডকুমেন্টারি নিয়ে এই বিতর্কের
সূত্রপাত। ওই ডকুমেন্টারিতে মাইকেল জ্যাকসনকে দেখানো হয়েছে একজন যৌন
নির্যাতনকারী হিসেবে। তিনি ছোট ছোট ছেলেদের সঙ্গে ‘ওরাল সেক্সে’ মেতে উঠতেন
বলে বলা হয়েছে। আর এমন সম্পর্কের কথা তিনি বেমালুম গোপন করে রাখতেন। এমন
নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ওয়াডে রবসন (৩৬) এবং জেমস সেফচাক (৪০)। তারাই
প্রয়াত শিল্পীর বিরুদ্ধে এমন সব নোংরা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন ‘লিভিং
নেভারল্যান্ড’ নামের ওই ডকুমেন্টারিতে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা’তে সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভাবে ৪ ঘন্টার এই ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা’তে সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভাবে ৪ ঘন্টার এই ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।
বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ লিখেছে, এ সময় দর্শকদের মধ্যে একরকম আর্তনাদ শোনা গেছে।
প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে ওই দুই যুবক যেসব অভিযোগ এনেছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে মাইকেল পরিবার ও তার এস্টেট। তারা এমন ডকুমেন্টারিকে মাইকেলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যমুলক একটি কর্মকান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মাইকেলের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার একটি বর্ণনা রয়েছে এতে। রবসন বলেছেন, তার বয়স তখন ৫ বছর। ওই সময়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৮৭ সালে মাইকেলের ব্যাড শীর্ষক সফরে ড্যান্সে বিজয়ী হন। এ সময়ে মাইকেলের সঙ্গে তার পরিচয়। তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। রবসন দাবি করেছেন, তার বয়স যখন মাত্র ৭ বছর তখন তাকে পর্নো ছবি এবং এলকোহল ধরিয়ে দেন মাইকেল জ্যাকসন। আর এর মধ্য দিয়ে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। রবসন আরো গুরুত্বর অভিযোগ এনেছেন। বলেছেন, মাইকেলের বেডরুমে পিটার প্যানের একটি কার্ডবোর্ডের অংশবিশেষ ছিল। তার আড়ালে মাইকেল জ্যাকসন ‘মাস্টারবেট’ করতেন। আর তা দেখতে হতো রবসনকে।
অন্যদিকে সেফচাক অভিযোগ করেছেন, তখন তার বয়স ১০ বছর। এ সময়ে মাইকেলের সঙ্গে পেপসির বাণিজ্যিক একটি কার্যক্রমে অংশ নেন তিনি। আর এতেই তাদের মধ্যে তীব্র ঘনিষ্ঠ এক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেফচাক বলেন, এক পর্যায়ে আমার বিছানায় ঘুমাতে শুরু করলেন মাইকেল। পরে মাইকেল তাকে বলেছেন, সেফচাক যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তখন তার ওপর ‘ওরাল সেক্স’ প্রয়োগ করেছেন তিনি। সেফচাক বলেন, মাইকেল জ্যাকসন আমাকে বলতেন, তার এ ধরনের যৌন অভিজ্ঞতায় আমিই প্রথম। এ ছাড়া মাইকেলই আমাকে ‘মাস্টারবেশন’ বিষয়টিতে পরিচিত করিয়ে তোলেন। আর দ্রুত তা সংক্রমিত হয়। এরপর মাইকেলের নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চে যখনই সময় হতো তারা যৌন কর্মকান্ডে লিপ্ত হতেন। এসব ঘটতো প্রাসাদে, সুইমিং পুলে, চিলেকোঠায় এমন কি নেভারল্যান্ডের ভিতরকার ট্রেন স্টেশনে। সেফচাক অভিযোগ করেছেন, এসব ঘটনা ঘটতো প্রতিদিনই।
শুনতে খুব খারাপ লাগে, যখন আপনি কারো সঙ্গে প্রথম ডেটিং করতে যাবেন তখন আপনি প্রচুর তৃপ্তি নিয়ে ফিরতে চাইবেন। সেফচাকের মতে, নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চে ছিল অনেক গোপন বিছানা। গোপন আস্তানা। যেমন একটি তালাবদ্ধ প্রাইভেট বক্স। তার একদিকে তার ছবি সম্বলিত গ্লাস। এখানেই তিনি যৌন নির্যাতন চালাতেন।
রবসন ওই ডকুমেন্টারিতে দাবি করেছেন, মাইকেল জ্যাকসন তার নাম পাল্টে দিয়েছিলেন। রবসনকে তিনি ডাকতেন ‘লিটল ওয়ান’ অথবা ‘ডু ডু’ নামে। এ সময়ে তাকে নিজের ভালবাসা বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ডিজনিল্যান্ড প্যােিস মাইকেলের সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছিল মাইকেল জ্যাকোস-হ্যাগেনের। তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর। তিনি বলেছেন, তাকে মাইকেল ডাকতেন ‘রুব্বা রুব্বা’ নামে। কারণ, মাইকেল তাকে বিছানায় কাছে টেনে শরীর মন্থন করতেন।
মাইকেল জ্যাকোস-হ্যাগেন বলেছেন, যখন আমি মাইকেল জ্যাকসনের বিছানায় ঘুমাতাম তখন তিনি শুধু একটি বক্সার শর্টস পরতেন। তার বাহু দিয়ে আমাকে বেষ্টন করতেন এবং তার শরীর আমার শরীরের সঙ্গে চেপে ধরতেন, যেন আমি তার গার্লফ্রেন্ড। আমার মাথায় ও চিবুকে চুমু দিতেন। ঘুমের ভিতর আমি অনেকবার জেগে উঠেছি। দেখি তার হাত আমার শরীরের ওপর। অন্য হাত আমার দু’পায়ের সংযোগস্থলের ওপরে। এতে আমি স্বস্তি বোধ করতাম না। মনে হতো তাকে বাধাও দিতে পারবো না। যখন সেখানে কারো বয়স ১৪ বছর হয় এবং সে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেগাস্টারের শিকারে পরিণত তখন সে না বলতে পারে না। মাইকেল জ্যাকোস-হ্যাগেন বলেন, তিনি কখনো আমার ওপর অতিরঞ্জিত যৌন আচরণ করেন নি। তবে যা করেছেন তার উদ্দেশ্য যৌনতাভিত্তিক। আমার এখন মনে হয়, তিনি আমাকে পরীক্ষা করছিলেন, দেখছিলেন তিনি কতদূর যেতে পারেন।
প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে ওই দুই যুবক যেসব অভিযোগ এনেছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে মাইকেল পরিবার ও তার এস্টেট। তারা এমন ডকুমেন্টারিকে মাইকেলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যমুলক একটি কর্মকান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মাইকেলের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার একটি বর্ণনা রয়েছে এতে। রবসন বলেছেন, তার বয়স তখন ৫ বছর। ওই সময়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৮৭ সালে মাইকেলের ব্যাড শীর্ষক সফরে ড্যান্সে বিজয়ী হন। এ সময়ে মাইকেলের সঙ্গে তার পরিচয়। তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। রবসন দাবি করেছেন, তার বয়স যখন মাত্র ৭ বছর তখন তাকে পর্নো ছবি এবং এলকোহল ধরিয়ে দেন মাইকেল জ্যাকসন। আর এর মধ্য দিয়ে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। রবসন আরো গুরুত্বর অভিযোগ এনেছেন। বলেছেন, মাইকেলের বেডরুমে পিটার প্যানের একটি কার্ডবোর্ডের অংশবিশেষ ছিল। তার আড়ালে মাইকেল জ্যাকসন ‘মাস্টারবেট’ করতেন। আর তা দেখতে হতো রবসনকে।
অন্যদিকে সেফচাক অভিযোগ করেছেন, তখন তার বয়স ১০ বছর। এ সময়ে মাইকেলের সঙ্গে পেপসির বাণিজ্যিক একটি কার্যক্রমে অংশ নেন তিনি। আর এতেই তাদের মধ্যে তীব্র ঘনিষ্ঠ এক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেফচাক বলেন, এক পর্যায়ে আমার বিছানায় ঘুমাতে শুরু করলেন মাইকেল। পরে মাইকেল তাকে বলেছেন, সেফচাক যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তখন তার ওপর ‘ওরাল সেক্স’ প্রয়োগ করেছেন তিনি। সেফচাক বলেন, মাইকেল জ্যাকসন আমাকে বলতেন, তার এ ধরনের যৌন অভিজ্ঞতায় আমিই প্রথম। এ ছাড়া মাইকেলই আমাকে ‘মাস্টারবেশন’ বিষয়টিতে পরিচিত করিয়ে তোলেন। আর দ্রুত তা সংক্রমিত হয়। এরপর মাইকেলের নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চে যখনই সময় হতো তারা যৌন কর্মকান্ডে লিপ্ত হতেন। এসব ঘটতো প্রাসাদে, সুইমিং পুলে, চিলেকোঠায় এমন কি নেভারল্যান্ডের ভিতরকার ট্রেন স্টেশনে। সেফচাক অভিযোগ করেছেন, এসব ঘটনা ঘটতো প্রতিদিনই।
শুনতে খুব খারাপ লাগে, যখন আপনি কারো সঙ্গে প্রথম ডেটিং করতে যাবেন তখন আপনি প্রচুর তৃপ্তি নিয়ে ফিরতে চাইবেন। সেফচাকের মতে, নেভারল্যান্ড র্যাঞ্চে ছিল অনেক গোপন বিছানা। গোপন আস্তানা। যেমন একটি তালাবদ্ধ প্রাইভেট বক্স। তার একদিকে তার ছবি সম্বলিত গ্লাস। এখানেই তিনি যৌন নির্যাতন চালাতেন।
রবসন ওই ডকুমেন্টারিতে দাবি করেছেন, মাইকেল জ্যাকসন তার নাম পাল্টে দিয়েছিলেন। রবসনকে তিনি ডাকতেন ‘লিটল ওয়ান’ অথবা ‘ডু ডু’ নামে। এ সময়ে তাকে নিজের ভালবাসা বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ডিজনিল্যান্ড প্যােিস মাইকেলের সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছিল মাইকেল জ্যাকোস-হ্যাগেনের। তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর। তিনি বলেছেন, তাকে মাইকেল ডাকতেন ‘রুব্বা রুব্বা’ নামে। কারণ, মাইকেল তাকে বিছানায় কাছে টেনে শরীর মন্থন করতেন।
মাইকেল জ্যাকোস-হ্যাগেন বলেছেন, যখন আমি মাইকেল জ্যাকসনের বিছানায় ঘুমাতাম তখন তিনি শুধু একটি বক্সার শর্টস পরতেন। তার বাহু দিয়ে আমাকে বেষ্টন করতেন এবং তার শরীর আমার শরীরের সঙ্গে চেপে ধরতেন, যেন আমি তার গার্লফ্রেন্ড। আমার মাথায় ও চিবুকে চুমু দিতেন। ঘুমের ভিতর আমি অনেকবার জেগে উঠেছি। দেখি তার হাত আমার শরীরের ওপর। অন্য হাত আমার দু’পায়ের সংযোগস্থলের ওপরে। এতে আমি স্বস্তি বোধ করতাম না। মনে হতো তাকে বাধাও দিতে পারবো না। যখন সেখানে কারো বয়স ১৪ বছর হয় এবং সে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেগাস্টারের শিকারে পরিণত তখন সে না বলতে পারে না। মাইকেল জ্যাকোস-হ্যাগেন বলেন, তিনি কখনো আমার ওপর অতিরঞ্জিত যৌন আচরণ করেন নি। তবে যা করেছেন তার উদ্দেশ্য যৌনতাভিত্তিক। আমার এখন মনে হয়, তিনি আমাকে পরীক্ষা করছিলেন, দেখছিলেন তিনি কতদূর যেতে পারেন।
No comments