ঢাবি ভিসি’র শিঙ্গাড়া তত্ত্ব নিয়ে তোলপাড়
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের একটি বক্তব্য নিয়ে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। যেখানে তিনি চলমান বাজার মূল্যের
থেকে অনেক সস্তা দামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাস্তার সার্ভিস দিতে পারাকে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব ও ঐতিহ্য বলে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, এটি যদি
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানতে পারে তাহলে গিনিস বুকে রেকর্ড হবে। তার এ
বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর কয়েক ঘণ্টায় ভাইরাল
হয়েছে। ট্রল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাপশন দিয়েছেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
তারা ভিসির এমন বক্তব্যকে ‘সস্তা’ কথা হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে নবীনদের অনুষ্ঠানে গিয়ে সস্তা কথা না বলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আরো অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দিতে পারতেন তিনি। এদিকে ভিসির বক্তব্য নিয়ে যেভাবে সমালোচনা হচ্ছে, ঠিক তেমনইভাবে অনেকে ভিসির ভাইরাল হওয়া বক্তব্যকে স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন।
তারা বলছেন- ভিসি টিএসসির প্রোগ্রামে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ার সার্ভিস নিয়ে কথা বলতেই পারেন। এটা নিয়ে এতো জল ঘোলা করার কিছু নেই। অবশ্য সমালোচকরা ভিসিকে ট্রল করেই ছাড়েনি, বিকৃত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামও। গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে কলা অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে একটি বক্তব্য রেখেছিলেন। তার পুরো বক্তব্যের মাঝখানের কাট করা ৪৫ সেকেন্ডের বক্তব্যটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বক্তব্য জানতে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। দুইবার তার প্রটোকল অফিসার জানিয়েছেন তিনি ব্যস্ত আছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ভিসিকে বলতে দেখা যায়, ‘তুমি পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও পাবে না ১০ টাকায়, ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটি শিঙ্গাড়া, একটি চপ এবং একটি সমুচা, ১০ টাকায় পাওয়া যায় বাংলাদেশে। এটি যদি কোনো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানতে পারে, বিশ্ববাসী; তাহলে এটি গিনেস বুকে রেকর্ড হবে। ১০ টাকায় এক কাপ চা, গরম পানিও তো ১০ টাকায় পাওয়া যাবে না রাস্তায়। ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটি শিঙ্গাড়া, একটি সমুচা এবং একটি চপ-এইগুলো পাওয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে। এটি আমাদের গর্ব, এটি আমাদের ঐতিহ্য।’ তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মারুফ আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে ক্যাপশনে লেখেন- ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন ভুলেও না জানে। তবে কিন্তু নাম উঠে যাবে।’ অনুপম দত্ত নামে একজন লেখেছেন- ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মূল্যায়ন এখন সময়ের দাবি। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কতটা সম্মানের সেটা আজ শিক্ষকরাই ভুলে গেছেন।
আমার ভাবতেই অবাক লাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টা গবেষণা হয়েছে, ১০টা জার্নাল ইন্টারন্যাশনালি পাবলিশ হয়েছে, ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে ১০ এর মধ্যে আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক পিএইচডি করেছেন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে- সেখানে শিক্ষকরা হাততালি দেন দশ টাকায় কী কী পাওয়া যায় সেটা নিয়ে। শিক্ষকরা ভুলে যান এই দেশের সাধারণ মানুষের শ্রমের টাকায় তাদের বেতন হয়, ভুলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ঐতিহ্য। আজ আহমদ ছফার মতো শিক্ষক নেই। তাই এখন ১০ টাকায় খাবার বৃত্তান্ত লেখা হয়।’ আমানুল্লাহ আমান নামে এক শিক্ষার্থী লেখেছেন- ‘শুধু গবেষণা আর উদ্ভাবন দিয়েই যে সেরা হওয়া যায় না বরং সেরা হতে হলে যে দশ টাকার চা, চমুচা, শিঙ্গাড়া আর চপ পাওয়া যেতে হবে এটা তাদেরকে কে বোঝাবে? এ জন্যই উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকে।’ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘তাকে বুঝতে হবে তিনি কোথায় বসে আছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির চেয়ারের ভার বুঝতে পারবে না অথচ ভিসি হয়ে যাবেন তা মেনে নেয়া যায় না। মাননীয় ভিসি মহোদয় এমন সস্তা কথা বলে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই নিচে নামিয়েছেন।’ আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তিনি এর আগেও অধিভুক্তরা একটা শিঙ্গাড়া চমুচাও খাওয়ার অধিকার রাখে না বলেছিলেন। এখন সিলি একটা বিষয়ে বললেন গিনিস বুকে রেকর্ড হয়ে থাকবে। ভিসির কথা কম বলাই উচিত।
তার বক্তব্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।’ এদিকে ভিসির বক্তব্যের পক্ষেও বক্তব্য রাখছেন অনেকে। নীল অনির্বাণ নামে এক শিক্ষার্থীর বক্তব্যই কপি পেস্ট করে নিজেদের টাইমলাইনে দিচ্ছেন অনেকে। নীল অনির্বাণ লেখেন, ‘টিএসসিতে নবীনবরণের অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি মহোদয় আমন্ত্রিত। তিনি আসলেন, নবীনদের নিয়ে অনেক কথা বললেন, টিএসসিতে প্রোগ্রাম যেহেতু টিএসসি নিয়েও কথা উঠে আসাটা স্বাভাবিক। তিনি সেই প্রসঙ্গ নিয়ে অনেক কথা বললেন, মজা করলেন, হাস্যোজ্জ্বল ভাবে বরিশাল এর ভাষাতেও আরো কিছুসময় কথা বললেন। মজার ছলেই তিনি টিএসসি-এর পরিচিত খাবার, চা শিঙ্গাড়া সমুচা নিয়ে কথা বললেন। এর কিছু সময় আগে অবশ্য ২০ টাকার খাবার নিয়েও কথা বলেছেন। ১০-১২ মিনিট বক্তব্যের মধ্যে ৪৫ সেকেন্ড-এর একটা ভিডিও এর পর ভাইরাল হলো। ভিডিও এর এই ৪৫ সেকেন্ড এমন ভাবে কাটা হলো, যার আগের পরিস্থিতিও জানার সুযোগ নেই, পরেও কি হয়েছে আপনারা তা জানেন না। হোমপেজে আসছে, দেখছেন, লাইক কামানোর উদ্দেশ্যে ট্রল করছেন।
অথচ না আপনি অনুষ্ঠানে ছিলেন না আপনি জানেন এই কথা গুলোর প্রাসঙ্গিকতা। আপনাদের বুদ্ধি এবং বিবেককে লাল সালাম।’ এ ছাড়াও অনেক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লেখেন, আসলে ট্রল করা আমাদের সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আমরা কোনো ভাবেই বুঝছি না যে আমরা ভিসিকে ট্রল করতে গিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানকে নিচে নামাচ্ছি। এসএম আবদুর রহমান আবির নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে লেখেছেন- ‘ঢাবির ভিসি হিসেবে স্যারের চেয়ে আরো ভালো কেউ দরকার ছিল এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমরা কি স্যারকে ট্রল করতে গিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যায়য়েকে ছোট করছি না? আমরা সমালোচনা অবশ্যই করতে পারি। তবে এটা নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না? আমরা যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢালাওভাবে ট্রল করছি এতে অন্যরাও আরো সুযোগ পাচ্ছে না?’
তারা ভিসির এমন বক্তব্যকে ‘সস্তা’ কথা হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে নবীনদের অনুষ্ঠানে গিয়ে সস্তা কথা না বলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আরো অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দিতে পারতেন তিনি। এদিকে ভিসির বক্তব্য নিয়ে যেভাবে সমালোচনা হচ্ছে, ঠিক তেমনইভাবে অনেকে ভিসির ভাইরাল হওয়া বক্তব্যকে স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন।
তারা বলছেন- ভিসি টিএসসির প্রোগ্রামে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ার সার্ভিস নিয়ে কথা বলতেই পারেন। এটা নিয়ে এতো জল ঘোলা করার কিছু নেই। অবশ্য সমালোচকরা ভিসিকে ট্রল করেই ছাড়েনি, বিকৃত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামও। গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে কলা অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে একটি বক্তব্য রেখেছিলেন। তার পুরো বক্তব্যের মাঝখানের কাট করা ৪৫ সেকেন্ডের বক্তব্যটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বক্তব্য জানতে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। দুইবার তার প্রটোকল অফিসার জানিয়েছেন তিনি ব্যস্ত আছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ভিসিকে বলতে দেখা যায়, ‘তুমি পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও পাবে না ১০ টাকায়, ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটি শিঙ্গাড়া, একটি চপ এবং একটি সমুচা, ১০ টাকায় পাওয়া যায় বাংলাদেশে। এটি যদি কোনো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানতে পারে, বিশ্ববাসী; তাহলে এটি গিনেস বুকে রেকর্ড হবে। ১০ টাকায় এক কাপ চা, গরম পানিও তো ১০ টাকায় পাওয়া যাবে না রাস্তায়। ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটি শিঙ্গাড়া, একটি সমুচা এবং একটি চপ-এইগুলো পাওয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে। এটি আমাদের গর্ব, এটি আমাদের ঐতিহ্য।’ তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মারুফ আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে ক্যাপশনে লেখেন- ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন ভুলেও না জানে। তবে কিন্তু নাম উঠে যাবে।’ অনুপম দত্ত নামে একজন লেখেছেন- ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মূল্যায়ন এখন সময়ের দাবি। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কতটা সম্মানের সেটা আজ শিক্ষকরাই ভুলে গেছেন।
আমার ভাবতেই অবাক লাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টা গবেষণা হয়েছে, ১০টা জার্নাল ইন্টারন্যাশনালি পাবলিশ হয়েছে, ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে ১০ এর মধ্যে আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক পিএইচডি করেছেন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে- সেখানে শিক্ষকরা হাততালি দেন দশ টাকায় কী কী পাওয়া যায় সেটা নিয়ে। শিক্ষকরা ভুলে যান এই দেশের সাধারণ মানুষের শ্রমের টাকায় তাদের বেতন হয়, ভুলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ঐতিহ্য। আজ আহমদ ছফার মতো শিক্ষক নেই। তাই এখন ১০ টাকায় খাবার বৃত্তান্ত লেখা হয়।’ আমানুল্লাহ আমান নামে এক শিক্ষার্থী লেখেছেন- ‘শুধু গবেষণা আর উদ্ভাবন দিয়েই যে সেরা হওয়া যায় না বরং সেরা হতে হলে যে দশ টাকার চা, চমুচা, শিঙ্গাড়া আর চপ পাওয়া যেতে হবে এটা তাদেরকে কে বোঝাবে? এ জন্যই উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকে।’ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘তাকে বুঝতে হবে তিনি কোথায় বসে আছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির চেয়ারের ভার বুঝতে পারবে না অথচ ভিসি হয়ে যাবেন তা মেনে নেয়া যায় না। মাননীয় ভিসি মহোদয় এমন সস্তা কথা বলে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই নিচে নামিয়েছেন।’ আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তিনি এর আগেও অধিভুক্তরা একটা শিঙ্গাড়া চমুচাও খাওয়ার অধিকার রাখে না বলেছিলেন। এখন সিলি একটা বিষয়ে বললেন গিনিস বুকে রেকর্ড হয়ে থাকবে। ভিসির কথা কম বলাই উচিত।
তার বক্তব্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।’ এদিকে ভিসির বক্তব্যের পক্ষেও বক্তব্য রাখছেন অনেকে। নীল অনির্বাণ নামে এক শিক্ষার্থীর বক্তব্যই কপি পেস্ট করে নিজেদের টাইমলাইনে দিচ্ছেন অনেকে। নীল অনির্বাণ লেখেন, ‘টিএসসিতে নবীনবরণের অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি মহোদয় আমন্ত্রিত। তিনি আসলেন, নবীনদের নিয়ে অনেক কথা বললেন, টিএসসিতে প্রোগ্রাম যেহেতু টিএসসি নিয়েও কথা উঠে আসাটা স্বাভাবিক। তিনি সেই প্রসঙ্গ নিয়ে অনেক কথা বললেন, মজা করলেন, হাস্যোজ্জ্বল ভাবে বরিশাল এর ভাষাতেও আরো কিছুসময় কথা বললেন। মজার ছলেই তিনি টিএসসি-এর পরিচিত খাবার, চা শিঙ্গাড়া সমুচা নিয়ে কথা বললেন। এর কিছু সময় আগে অবশ্য ২০ টাকার খাবার নিয়েও কথা বলেছেন। ১০-১২ মিনিট বক্তব্যের মধ্যে ৪৫ সেকেন্ড-এর একটা ভিডিও এর পর ভাইরাল হলো। ভিডিও এর এই ৪৫ সেকেন্ড এমন ভাবে কাটা হলো, যার আগের পরিস্থিতিও জানার সুযোগ নেই, পরেও কি হয়েছে আপনারা তা জানেন না। হোমপেজে আসছে, দেখছেন, লাইক কামানোর উদ্দেশ্যে ট্রল করছেন।
অথচ না আপনি অনুষ্ঠানে ছিলেন না আপনি জানেন এই কথা গুলোর প্রাসঙ্গিকতা। আপনাদের বুদ্ধি এবং বিবেককে লাল সালাম।’ এ ছাড়াও অনেক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লেখেন, আসলে ট্রল করা আমাদের সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আমরা কোনো ভাবেই বুঝছি না যে আমরা ভিসিকে ট্রল করতে গিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানকে নিচে নামাচ্ছি। এসএম আবদুর রহমান আবির নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে লেখেছেন- ‘ঢাবির ভিসি হিসেবে স্যারের চেয়ে আরো ভালো কেউ দরকার ছিল এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমরা কি স্যারকে ট্রল করতে গিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যায়য়েকে ছোট করছি না? আমরা সমালোচনা অবশ্যই করতে পারি। তবে এটা নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না? আমরা যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢালাওভাবে ট্রল করছি এতে অন্যরাও আরো সুযোগ পাচ্ছে না?’
No comments