যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্য, বগল বাজাচ্ছেন পুতিন!
একদিকে
যুক্তরাষ্ট্রে চলছে ‘শাটডাউন’, অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট ইস্যুতে
টালমাটাল। আর এসব ঘটনায় বৈশ্বিক রাজনীতির প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছেন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে যত বেকায়দায়, ততই আনন্দে আত্মহারা
হচ্ছেন পুতিন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক বিশ্লেষণে এই অভিমত দিয়েছে। সিএনএন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এক সময় বিশ্বজুড়ে সমাজতন্ত্র উচ্ছেদে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। স্নায়ুযুদ্ধের ওই সময়ে পৃথিবী ছিল দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে ছিল সমাজতন্ত্র, আরেকদিকে পুঁজিবাদ। সেই ঠোকাঠুকিতে দুই পক্ষই আশপাশের দেশগুলোতে নিজেদের মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
সিএনএন বলছে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আনন্দ ও স্বস্তি ছিল দেখার মতো। সোভিয়েতের পতনের পর প্রায় দুই দশক বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতি শাসন করেছে এই দুটি দেশ। ইরাক যুদ্ধে মিত্র হিসেবে অংশ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এই ‘দোস্তি’ দেখা গেছে পুঁজি ও সাম্রাজ্যবাদের বিকাশেও। এ ক্ষেত্রেও দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে গেছে।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার যেন পুনর্জাগরণ ঘটেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিজের দেশের অর্থনীতির আসল অবস্থা বিশ্বকে জানতে দেন না পুতিন। গত বছরের নির্বাচনে জয়ের পর একনায়ক হিসেবে নিজের ভিত আরও শক্ত করেছেন পুতিন। এখন আগের সোভিয়েত আমলের ‘প্রভাব’ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তিনি। আর সেক্ষেত্রে যাদের কাছ থেকে বাধা আসার কথা, তারাই পড়ে গেছে বেকায়দায়। ফলে কঠিন কাজটি বেশ সহজ হয়ে গেছে পুতিনের।
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছেন পুতিন। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় পোয়াবারো পুতিনের। গোল করতে এখন যে আর প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে লড়তেই হবে না!
লেজেগোবরে অবস্থা যুক্তরাজ্যেরও। যুক্তরাষ্ট্রের মতোই ব্রিটিশ মুলুকে অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। লোকরঞ্জনবাদী ব্যক্তিগত ক্যারিশমা দেখিয়ে ট্রাম্প-থেরেসা দেশের নেতা বনে গেলেও, নেতৃত্বে সফল হতে পারছেন না। নিজেদের দেশেই যাঁদের এই অবস্থা, তাঁরা বিশ্ব রাজনীতির খেলায় আর কি নৈপুণ্য দেখাবেন!
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঠিক এই কারণেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঝামেলায় তাঁকে ভুগতে হচ্ছে না। দেশ থেকে এখন বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে পুতিনের ‘লৌহমানব’ মর্যাদা। এভাবে চলতে থাকলে পুতিন তথা রাশিয়া বিশ্ব রাজনীতিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক বিশ্লেষণে এই অভিমত দিয়েছে। সিএনএন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এক সময় বিশ্বজুড়ে সমাজতন্ত্র উচ্ছেদে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। স্নায়ুযুদ্ধের ওই সময়ে পৃথিবী ছিল দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে ছিল সমাজতন্ত্র, আরেকদিকে পুঁজিবাদ। সেই ঠোকাঠুকিতে দুই পক্ষই আশপাশের দেশগুলোতে নিজেদের মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
সিএনএন বলছে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আনন্দ ও স্বস্তি ছিল দেখার মতো। সোভিয়েতের পতনের পর প্রায় দুই দশক বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতি শাসন করেছে এই দুটি দেশ। ইরাক যুদ্ধে মিত্র হিসেবে অংশ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এই ‘দোস্তি’ দেখা গেছে পুঁজি ও সাম্রাজ্যবাদের বিকাশেও। এ ক্ষেত্রেও দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে গেছে।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার যেন পুনর্জাগরণ ঘটেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিজের দেশের অর্থনীতির আসল অবস্থা বিশ্বকে জানতে দেন না পুতিন। গত বছরের নির্বাচনে জয়ের পর একনায়ক হিসেবে নিজের ভিত আরও শক্ত করেছেন পুতিন। এখন আগের সোভিয়েত আমলের ‘প্রভাব’ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তিনি। আর সেক্ষেত্রে যাদের কাছ থেকে বাধা আসার কথা, তারাই পড়ে গেছে বেকায়দায়। ফলে কঠিন কাজটি বেশ সহজ হয়ে গেছে পুতিনের।
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছেন পুতিন। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় পোয়াবারো পুতিনের। গোল করতে এখন যে আর প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে লড়তেই হবে না!
লেজেগোবরে অবস্থা যুক্তরাজ্যেরও। যুক্তরাষ্ট্রের মতোই ব্রিটিশ মুলুকে অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। লোকরঞ্জনবাদী ব্যক্তিগত ক্যারিশমা দেখিয়ে ট্রাম্প-থেরেসা দেশের নেতা বনে গেলেও, নেতৃত্বে সফল হতে পারছেন না। নিজেদের দেশেই যাঁদের এই অবস্থা, তাঁরা বিশ্ব রাজনীতির খেলায় আর কি নৈপুণ্য দেখাবেন!
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঠিক এই কারণেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঝামেলায় তাঁকে ভুগতে হচ্ছে না। দেশ থেকে এখন বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে পুতিনের ‘লৌহমানব’ মর্যাদা। এভাবে চলতে থাকলে পুতিন তথা রাশিয়া বিশ্ব রাজনীতিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে।
No comments