বিজয় দিবস নিয়ে বিজেপির স্ট্যাটাসে তীব্র প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের
মহান বিজয় দিবসের দিন ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির ফেসবুক পেইজে দেয়া একটি
স্ট্যাটাস এবং ছবি তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। বিজয় দিবস স্মরণে উল্লেখ
করে ওই স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে গৌরবময় বিজয়য়ের জন্য আমরা
আমাদের সাহসী যোদ্ধাদের স্যালুট জানাই।
ওই স্ট্যাটাসে অনেক বাংলাদেশিই মন্তব্য করে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সাজিয়া আফরিন নামে একজন লিখেছেন, এটা বাংলাদেশের বিজয় দিবস। ভারতের বিজয় দিবস নয়। তোমরা ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারো না। মুবতাসিম ফুয়াদ লিখেছেন, রক্ত দিয়ে এনেছি এই স্বাধীনতা, কারও দানে নয়। সাগর লিখেছেন, শেম অন ইন্ডিয়া। জাহাঙ্গীর হোসেন লিখেছেন, ১৬ই ডিসেম্বরের পেছনে সব কৃতিত্ব বাংলাদেশের জনগনের। ভারতের নয়। ওয়ালিদ হোসাইন লিখেছেন, তোমরা আমাদের সহযোগিতা করেছো। কিন্তু আমরাই আমাদের বিজয় অর্জন করেছি। হাসান আলী সরকার লিখেছেন, বিজয় আমাদের অর্জন। তোমরা শুধু আমাদের সহযোগিতা করেছো। সৈয়দ ফারহানুল হক লিখেছেন, এটা তাদের দ্বারাই সম্ভব, যাদের মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষ জানে, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর একটাই দেশ স্বাধীন হয়েছে আর সেটা হল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এর মোকাবেলা চলবেই।
আরিফ মাহমুদ লিখেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলা ভাষায় ট্যুইট করে সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। উনার এই স্মারক স্মরণ করে উনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরাও প্রতিট্যুইট করেছিলাম দুদেশের মাঝে সম্প্রীতি, সোহার্দ্য আর সুসম্পর্ক কামনা করে। সুসম্পর্কের প্রতিদানে উনি আমাদের বিজয়ে দিবসটিকে আজ নিজেদের বলেই উদযাপন করলেন। নয়মাস গর্ভে ধারণ করে সন্তান জন্মদিলো মা। পৃথিবীর নতুন সূর্য দেখার ঠিক আগমনী মুহুর্তে দাই এসে মাকে একটু পরিচর্যা করেই বললো- না, না এই সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানটি তোমার না। আমি পাশে না থাকলে সূর্যকিরণে উদ্ভাসিত এ সন্তানের কোনোভাবেই জন্ম হতোনা। সুতরাং সন্তান আমার। দাই সুদীর্ঘ কাল মাতৃত্বের প্রসব বেদনার যন্ত্রণা বুঝলোনা। একটু হাতের স্পর্শ দিয়েই মা হয়ে গেলো। এতোই সহজ।
এ যেন সেই কাজলরেখা গল্পের চতুর দাসীর মতো। রক্ত দিয়ে কেনা বাংলা জলের দামে লুঠ হয়ে যাবে- এতো সহজ না। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান অস্বীকার করা যেমন ঠিক না, ঠিক তেমনি এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পুরো কৃতিত্ব ভারতের , এই বিজয়টা ওদের-এটা দেখে চুপ করে থাকাটাও মূর্খতা। আপনাদের এই উদযাপনকে তীব্র ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলাম। যে যেখান থেকে পারুন জোরালো কন্ঠে প্রতিবাদ করুন।রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু দেশপ্রেমে সবাইকে একই সাথে যুথবদ্ধ হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
ওই স্ট্যাটাসে অনেক বাংলাদেশিই মন্তব্য করে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সাজিয়া আফরিন নামে একজন লিখেছেন, এটা বাংলাদেশের বিজয় দিবস। ভারতের বিজয় দিবস নয়। তোমরা ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারো না। মুবতাসিম ফুয়াদ লিখেছেন, রক্ত দিয়ে এনেছি এই স্বাধীনতা, কারও দানে নয়। সাগর লিখেছেন, শেম অন ইন্ডিয়া। জাহাঙ্গীর হোসেন লিখেছেন, ১৬ই ডিসেম্বরের পেছনে সব কৃতিত্ব বাংলাদেশের জনগনের। ভারতের নয়। ওয়ালিদ হোসাইন লিখেছেন, তোমরা আমাদের সহযোগিতা করেছো। কিন্তু আমরাই আমাদের বিজয় অর্জন করেছি। হাসান আলী সরকার লিখেছেন, বিজয় আমাদের অর্জন। তোমরা শুধু আমাদের সহযোগিতা করেছো। সৈয়দ ফারহানুল হক লিখেছেন, এটা তাদের দ্বারাই সম্ভব, যাদের মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষ জানে, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর একটাই দেশ স্বাধীন হয়েছে আর সেটা হল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এর মোকাবেলা চলবেই।
আরিফ মাহমুদ লিখেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলা ভাষায় ট্যুইট করে সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। উনার এই স্মারক স্মরণ করে উনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরাও প্রতিট্যুইট করেছিলাম দুদেশের মাঝে সম্প্রীতি, সোহার্দ্য আর সুসম্পর্ক কামনা করে। সুসম্পর্কের প্রতিদানে উনি আমাদের বিজয়ে দিবসটিকে আজ নিজেদের বলেই উদযাপন করলেন। নয়মাস গর্ভে ধারণ করে সন্তান জন্মদিলো মা। পৃথিবীর নতুন সূর্য দেখার ঠিক আগমনী মুহুর্তে দাই এসে মাকে একটু পরিচর্যা করেই বললো- না, না এই সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানটি তোমার না। আমি পাশে না থাকলে সূর্যকিরণে উদ্ভাসিত এ সন্তানের কোনোভাবেই জন্ম হতোনা। সুতরাং সন্তান আমার। দাই সুদীর্ঘ কাল মাতৃত্বের প্রসব বেদনার যন্ত্রণা বুঝলোনা। একটু হাতের স্পর্শ দিয়েই মা হয়ে গেলো। এতোই সহজ।
এ যেন সেই কাজলরেখা গল্পের চতুর দাসীর মতো। রক্ত দিয়ে কেনা বাংলা জলের দামে লুঠ হয়ে যাবে- এতো সহজ না। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান অস্বীকার করা যেমন ঠিক না, ঠিক তেমনি এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পুরো কৃতিত্ব ভারতের , এই বিজয়টা ওদের-এটা দেখে চুপ করে থাকাটাও মূর্খতা। আপনাদের এই উদযাপনকে তীব্র ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলাম। যে যেখান থেকে পারুন জোরালো কন্ঠে প্রতিবাদ করুন।রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু দেশপ্রেমে সবাইকে একই সাথে যুথবদ্ধ হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
No comments