ফেনী: আধিপত্যের নতুন যুগ by জসিম উদ্দিন

ভূমধ্যসাগরের দ্বীপ সিসিলিতে একধরনের সংগঠিত অপরাধ বিস্তৃতি লাভ করে। পরে সেটি ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। এ ধরনের সংগঠিত অপরাধকে চিহ্নিত করতে প্রথম ‘মাফিয়া’ শব্দটি সেখানে ব্যবহার করা হয়। একধরনের মাফিয়া নেতাকে বলে ডন। এই মাফিয়া চক্রের এক দিকে থাকে নেতা, অন্য দিকে থাকে তার অনুসারীরা। মাঝে আর কেউ থাকে না। ডনদের থাকে একচেটিয়া আধিপত্য। অর্থ ও প্রভাব তৈরির করার পথে যারাই তাদের প্রতিবন্ধক, তাদেরই নিষ্ঠুর কায়দায় হত্যা করা হয়। অন্য একধরনের মাফিয়া সম্রাজ্য রয়েছে, যেখানে মাফিয়াপ্রধান ও তার অধীনে বিভিন্ন মান ও মাত্রার কর্মীবাহিনী থাকে। মর্যাদা অনুযায়ী নেতৃত্বে অন্যদেরও শরিক করা হয়। ফেনী নিয়ন্ত্রণের যে দুষ্টচক্র জয়নাল হাজারী কায়েম করেছিলেন সেটা প্রথম ক্যাটাগরির। সিসিলির মাফিয়া সাম্রাজ্যে গড়ে ওঠার পটভূমিতে ছিল ঐশ্বর্যশালী ইতালি এবং বিস্তৃত ভূমধ্যসাগরে মাদক চোরাচালান ও চাঁদাবাজি।
আশি ও নব্বইয়ের দশকে ফেনীর চেয়ে জয়নাল হাজারীর ‘হাজারী’ নামটি দেশব্যাপী অনেক বেশি প্রচারণা পায়। পুরো জেলায় তার নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। তার সৃষ্ট ক্লাস কমিটি ও স্টিয়ারিং কমিটির নামে জেলার মানুষেরা তটস্থ ছিল। উল্লেখ্য, সিসিলি থেকে মাফিয়া নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকা, জাপান ও ব্রিটেনে। বিপ্লবী চে গুয়েভারার আজেন্টিনা, চিলি ও ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকার দেশে দেশে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে মাফিয়া চক্র। এদের কর্মকাণ্ডকে উপজীব্য করে আমেরিকান লেখক মারিও পুজো ১৯৬৯ সালে লেখেন ‘গডফাদার’। ১৯৭২ সালে পুজোর বই অবলম্বনে হলিউডে নির্মিত হয় একই নামের বিখ্যাত ছবি। ছবিটি তিনটি ক্যাটাগরিতে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পায়। এরপর ফিল্ম জগতে ‘গডফাদার’ নামের অসংখ্য ছবি নির্মিত হয়েছে। মুম্বাই ফিল্ম জগতও নাড়িয়ে দেয় মাফিয়াচেতনা। মাস্তান, গুণ্ডা শব্দগুলো তখন বোম্বের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রধান উপজীব্য হতে শুরু করে। দাউদ ইবরাহিম নামের নেতিবাচক হিরোদের চক্র হয়ে ওঠে। এতে সরাসরি বলিউডের কারো কারো সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। ডন, মাফিয়া কিংবা গডফাদার- এ শব্দগুলো বাংলাদেশে অনেক তরুণের মধ্যে হিরোইজমের চেতনা উসকে দেয়।
এর একটা ভালো দিক ছিল- জোর খাটিয়ে খারাপ ও অনিষ্টকে পরাজিত করার প্রবণতা। পশ্চিমের চরিত্র রবিনহুড বা বাংলাদেশের দস্যু বনহুরও একই ধারার চেতনাকে জাগ্রত করে। এগুলোতে দেখানো হয়েছে, ভালো কাজকে অন্যায় পন্থায় হলেও মোকাবেলা করার সাহসিকতা শৌর্য বীর্য। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এসবের শেষ পরিণতি এসে ঠেকে মাস্তানি আর গুণ্ডামিতে। বস্তি নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, চোরাচালান এ ধরনের অপকর্মের দিকে মোড় নেয় তরুণদের একটি অংশের উত্তেজনা। এই ধরনের নেতিবাচক হিরোইজমের একটা সময়ে হাজারীর উত্থান ঘটতে থাকে ফেনীতে। সিসিলির ওই সব মাফিয়া বুদ্ধি খাটিয়ে সরকারি বাহিনীকে মোকাবেলা করে চোরাচালান ও মাদকের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। তারা দাঁড়িয়ে যায় রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে। প্রথাগত অস্ত্রের পাশাপাশি কূটবুদ্ধি ধূর্ততা হিংস্রতা তার প্রধান অস্ত্র। অপর দিকে, একটা সময় ফেনীর পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে যায় হাজারীর কাছে। তার জন্য এটা অনেকটা সহজ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে তার প্রতি প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং প্রশাসনের কোনো কোনো অংশের সাথে তাদের উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাকি অংশকে ভয় দেখিয়ে বশে রাখা হয়। গডফাদার বলতে বাংলাদেশে যে ‘মাফিয়া’ তৈরি হয় এরা অনেকটাই থাকে ছত্রছায়ায়। প্রশাসনের আনুকূল্য যখন স¤পূর্ণ প্রতাহার করা হয়, মাস্তানি করার কোনো ক্যারিশমা এরা আর দেখাতে পারে না।
এ ধরনের আনুকূল্য তুলে নেয়ার পরপর মধ্যমস্তরের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার সামান্য দৃঢ়তার সামনে নতি স্বীকার করে জয়নাল হাজারী সহজ গন্তব্য হিসেবে ভারতে পালিয়ে গেলেন। অবশ্য গণতন্ত্রের একটা দুর্বল দিক তার পালিয়ে যাওয়ার মধ্যে উন্মোচিত হলো। সবাই যখন একচেটিয়া তার সমালোচনায় মুখর, তখন এই বাংলাদেশী খুদে ‘মাফিয়া’ ও তার ক্লাস কমিটির অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত, ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে পঞ্চাশ হাজারের বেশি ভোট পান হাজারী। গডফাদার তকমা পাওয়ায় হাজারীকে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আর গ্রহণ করেনি। সম্ভবত তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জেলা প্রশাসক সোলায়মান চৗধুরীর কাছে এমনভাবে পরাজিত না হলে এখনো দলটি তাকে ফেনীতে গ্রহণ করত। কারণ আবার ফেনী একই জিম্মি অবস্থায় রয়েছে বলে মিডিয়ায় বহু খবর ছাপা হয়েছে। দলটি তাকে একেবারে পরিত্যক্ত করে ফেলেও দেয়নি। ফেনীতে প্রবেশ করতে না পারলেও তিনি পালিয়ে ভারতে থাকেননি। জেলের বাইরে এখন তিনি নির্ঝঞ্ঝাট দিন যাপন করছেন। নিজেদের নেতাকর্মীদের প্রতি দলটির এমন নমনীয় আচরণ লক্ষণীয়।
এরপর ফেনী কেমন চলছে, এটা বাইরে থেকে বোঝা মুশকিল। ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান একরামুল হকের নৃশংস হত্যার ঘটনার বেশ কিছু দিন পর ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ‘দি সেইম ওল্ড ফেনী’ শিরোনামে এক বিস্তারিত প্রতিবেদনে যে পরিস্থিতি তুলে ধরেছে তাতে এটা বোঝা গিয়েছেÑ এই ছোট জেলাটি এখন নতুন সন্ত্রাসের যুগে প্রবেশ করেছে। ওই প্রতিবেদক লিখেছেন, ফেনীর মানুষ আবারো নব্বইয়ের দশকের অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনলেন। লালপুরে তিনটি গাড়ি থেকে র‌্যাব ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। এটি হিমশৈলীর সামান্য এক নমুনা; স্থানীয়রা জানান, নিজাম হাজারীর নির্দেশ ছাড়া কিছুই ঘটে না।’
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের আগে ডেইলি স্টার ফেনীতে একটি জরিপ চালায়। ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক মিলে ৫০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারা। জেলার পরিস্থিতি নিয়ে এদের কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাননি। সবাই একবাক্যে বলেছেন, ২০১০ সালের পর ফেনীতে হাজারী যুগ ফিরে এসেছে। ৫ জানুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর এমপি এই জেলাকে ‘নিজের সম্পত্তি’ বানিয়ে নিয়েছেন। ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমানকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদক বলেন, ‘নিজাম ফেনীতে সর্বেসর্বা; সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।’ আগের সাথে কোনো পার্থক্য আছে কি না? জবাবে তিনি বলেন- ‘জয়নালের সময় অন্তত কিছু ভিন্নমত গ্রহণযোগ্য হতো; বর্তমানে কারো সাহস এমন নেই যে নিজামকে চ্যালেঞ্জ করে।’ কেন এতটা ভয়- এই প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় এক সাংবাদিক প্রতিবেদককে জানান, ‘ আক্রান্ত হওয়ার সময় একরামুল হকের সাথীরা সশস্ত্র ছিল; কিন্তু তারা তাকে রক্ষা করতে পারেনি। এখন কিভাবে আশা করা যায় মানুষ নিজামের সমালোচনা করবে।’
স্টার প্রতিবেদক যখন জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফেনী সফর করছিলেন বিলবোর্ড, বৈদ্যুতিক খাম্বাসহ দৃশ্যমান এমন কম স্থাপনাই তিনি পেয়েছেন যেখানে নিজামের ছবি ও পোট্রেট সংবলিত ব্যানার-পোস্টার সাঁটানো ছিল না। পৌরসভার কর্মকর্তারা তার কাছে অভিযোগ করেন, সম্মেলনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগ, বেশির ভাগ বিলবোর্ড দখল করে নিয়েছে। অনুমোদন নেয়ার কোনো প্রয়োজন তারা মনে করেনি।’ জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রত্যেকটি বিলবোর্ডে নিজাম হাজারিকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে পুলিশ রেকর্ড থেকে জানানো হয় যে, বছরের প্রথম ছয় মসে জেলায় ১৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর বেশির ভাগই রাজনৈতিক। জয়নাল হাজারির সময় ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ১২০টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তারা সবাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতিক।
জেদ্দা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ফেনী-৩-এর সংসদ সদস্য রহিমুল্লাহ সম্ভবত ফেনীর এমন একচেটিয়া আধিপত্যকে মেনে নিতে চান না। ক্ষমতাচর্চার একটা অংশ তিনি নিতে চেয়েও ছিটেকে পড়েছেন। তাকে দেখা গেল সবচেয়ে স্পষ্ট ভাষায় কিছু বলতে। তার মতে, টেন্ডারবাণিজ্য ও ছিনতাইয়ের কারণে ফেনীর মানুষ তটস্থ। সবজি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে জুয়েলারি- সবাইকে চাঁদা দিতে হয়। প্রতিদিন এক কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয় ফেনীতে।
ফেনী কতটা নিয়ন্ত্রিত, একেবারে স্পষ্ট হয়ে গেল এবার পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে। একই পত্রিকা সম্প্রতি রিপোর্ট করেছে, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে থেকেও আবুল কায়েস রিপন নগরীর মেয়র পদে প্রার্থী হতে পারেননি। দলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন, এমন সুযোগও রাখা হয়নি। নগরীর ১৮ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৬ জনই ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ নির্বাচিত হচ্ছেন। যে দু’জন ‘দুঃসাহস দেখিয়ে’ নমিনেশন পেপার সাবমিট করেছেন তারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের ফেনীর ওপর দিয়ে পার্বত্য জেলা সফর। সেই সময় ফেনী আওয়ামী লীগ তোরণ নির্মাণের এক বিরল রেকর্ড স্থাপন করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বরণ করতে ২৭ কিলোমিটার রাস্তায় ২৩৭টি তোরণ স্থাপন করেছেন তারা। প্রত্যেকটি তোরণের জন্য ব্যয় হয় প্রায় ৯ হাজার টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান ও সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা চলাচল করলেও ফেনী আওয়ামী লীগ সম্ভবত এর আগে কাউকে বরণ করতে এত বেশি তোরণ স্থাপন করেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত আগ্রহের সাথে ফেনী আওয়ামী লীগের এমন উষ্ণ অভিবাদন গ্রহণ করেছেন।
ডেইলি স্টার ফেনী দুই আসনের সংসদ সদস্যের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে, নিজাম ছিলেন জয়নালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এর আগে তিনি চট্টগ্রামের বর্তমান মেয়র আজম নাসিরের ক্যাডার ছিলেন। ১৯৯১-৯২ সালে তিনি নাসিরের পক্ষে আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ করতেন। ১৯৯৭ সালের পর তিনি জয়নাল হাজারীর গ্রুপে যোগ দেন। একটি মামলায় তিনি পুরোপুরি সাজা না খেটে বেরিয়ে আসেন। আইন অনুযায়ী তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। এমন একটি মামলার বিচারে উচ্চ আদালতের বিচারকেরা বিব্রতবোধ করেছেন।
ফেনীর অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ে ডেইলি স্টার চলতি বছরে কয়েকটি দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিবেদন স্থানীয় প্রতিনিধির বরাতে প্রকাশিত হয়েছে- এমন দেখা যায়নি। নিজস্ব প্রতিবেদক পার্থ প্রতিম আচার্য ও রাশেদুল হাসান দু’জনই ফেনী ঘুরে ঢাকা থেকে ওই সব প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। জয়নাল হাজারির যুগে ইউএনবির প্রতিবেদক টিপু সুলতানের দশা সবার মনে আছে। তাকে হাত-পা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। হাজারী বাহিনীর নিষ্ঠুর অত্যাচার টিপুর পেশাগত জীবনে নতুন সুযোগ তৈরি করে দেয়। তার ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছিল। তিনি ঢাকার সাংবাদিকতায় নিজেকে প্রথম সারিতে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। ডেইলি স্টার সম্ভবত এমন ঝুঁকি নিতে চায় না। স্বাভাবিকভাবেই, নিজেদের সাংবাদিকদের নিরাপদ রেখেই ফেনীর অপরাধের খবরাখবর দিতে চায়। এসব প্রতিবেদনে এই বিষয় স্পষ্ট যে, ফেনীতে জয়নাল যুগের অবসান হয়েছে। তবে রয়ে গেছে ‘হাজারী যুগ’।
নির্বাচন কমিশনের নারীবৈষম্য
চুড়ি, চকোলেট, পুতুল, ফ্রক, কাঁচি, ভ্যানিটি ব্যাগ, মৌমাছি, আঙ্গুর, গ্যাসের চুলা ও হারমোনিয়াম পৌরসভা নির্বাচনী প্রতীক। তবে পুরুষ নয়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য এসব প্রতীক বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন। একটি পত্রিকাকে নারী কাউন্সিলরদের কেউ কেউ এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনের প্রতীক দেখলে মনে হবে, নারীরা কেবল রান্নাঘরে কাজ করেন আর সন্তান লালন-পালন করেন। কেউ কেউ এসব প্রতীক পরিবর্তনের দাবিতে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এমন প্রতিবাদ যথাবিহিত। কিন্তু নির্বাচন যেখানে সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শুন্যের কোটায়। ফেনীর অবস্থা বিবেচনা করলে তো সেটা ভালোভাবে বোঝা যায়। প্রথমে তো সেটা একটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনব্যবস্থা হতে হবে। তারপরেই না লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে প্রতিবাদের প্রশ্ন আসে। তবে এটা ঠিক যে, এই নির্বাচন কমিশনের চেতনা শতভাগ পুরুষতান্ত্রিক।
jjshim146@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.