ফেরার আশায় বুক বেঁধে আছে বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিরা
বাংলাদেশে
আটকে পড়া পাকিস্তানিদের (বিহারি) ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সহায়তা
করতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। বাংলাদেশে আটকে পড়া
পাকিস্তানিরা আশায় বুক বেঁধে আছেন যে, একদিন তাদের ফেরত নেবে পাকিস্তান। আজ
অনলাইন সৌদি গেজেটে মতামতে এসব কথা লিখেছেন দসৌদি আরবের সাবেক কূটনীতিক
ড. আলী আল ঘামাদি। এখানে ড. আলী আল ঘামাদির মতামতটি তুলে ধরা হলো:
পাকিস্তানের সাবেক জিয়াউল হক সরকার রাবিতা ফাউন্ডেশন গঠনের পর আটকে পড়া
পাকিস্তানিদের পুনর্বাসনের জন্য জমি দান করেছিলেন নওয়াজ শরিফ। তখন তিনি
ছিলেন পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। জেনারেল জিয়াউল হক আটকে পড়া
পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে ভীষণ আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তার নিহতের পর সব আশা উবে যায়। কারণ, আটকে পড়া
পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নিতে কোনো আগ্রহই দেখায় নি পরবর্তী সরকারগুলো। এখন
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি পুরনো সেই উদ্যোগ নতুন করে
নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন। নওয়াজ শরিফ যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে
পাকিস্তানের ক্ষমতায় এলেন তখন মুসলিম ওয়াল্ড লীগ (রাবিতা) নতুন করে কাজ
শুরু করবে এমন আশা জেগে উঠেছিল। তিনি প্রদত্ত সম্পত্তির বিষয়টি পুনর্জাগরণ
করতে ও তা নিয়ে কাজ করতে তীব্র আকাঙ্খা প্রকাশ করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি এর
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলেন। তখন নওয়াজ শরিফ আটকে পড়া
পাকিস্তানিদের জন্য কিছু বাড়ি নির্মাণ করান ও সেইসব বাড়িতে পুনর্বাসন করেন
ফেরত যাওয়া কিছু বিহারি পরিবারকে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া থামিয়ে দেন তখনকার
সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মোশাররফ, যিনি নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করে পরে
প্রেসিডেন্ট হন। বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিরা আশায় বুক বেঁধে আছেন যে,
একদিন তাদেরকে ফেরত নেবে পাকিস্তান। কিন্তু তারা দেখতে পাচ্ছেন
পাকিস্তানের পর্যায়ক্রমিক সরকারগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে একটি মাত্র ব্যতিক্রম ছিল। তাহলো সাবেক সেনা শাসক জেনারেল
জিয়াউল হকের সময়ে। মক্কাভিত্তিক মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ (রাবিতা)র সঙ্গে
সহযোগিতার মাধ্যমে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নেয়ার জন্য তিনি গঠন করেন
রাবিতা এনডোমেন্ট। ওই সময় রাবিতার মহাসচিব ছিলেন ড. আবদুল্লাহ ওমর নাসিফ।
এই কার্যক্রমের অধীনে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নেয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ
থেকে। তাদেরকে পুনর্বাসন করতে জমি দিতে চেয়েছিলেন তখনকার পাঞ্জাব প্রদেশের
মুখ্যমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। নওয়াজ শরিফ পরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে এ উদ্যোগ এগিয়ে
নেন। তার কাছ থেকে পারভেজ মোশাররফ ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পর পাকিস্তানের কোনো
অংশ বা সরকার বা রাবিতা এ সমস্যা সমাধানে আর এগিয়ে আসে নি। বিহারি
ক্যাম্পগুলোতে এসব মানুষের অবস্থা শোচনীয় হলেও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক
তহবিল থেকেও তারা কোনো সহায়তা পায় না। এখন তারা দু’একটা দাতব্য সংস্থা থেকে
কিছু সহায়তা পায়। পাকিস্তান ভিত্তিক কিছু এনজিও ও কিছু ব্যক্তি তাদেরকে
সহায়তা করে থাকে। এর মধ্যে কিছু বাংলাদেশীও আছেন। তবে তাদের খাদ্য, শিক্ষা ও
স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য যতটা প্রয়োজন এই সহায়তা তার
তুলনায় অপ্রতুল। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে, পাকিস্তান সরকারের উচিত আটকে
পড়া পাকিস্তানিদের মানবিক, নৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এ সমস্যা
সমাধানে অবশ্যই দায়িত্ব কাঁধে নেয়া। তা নাহলে এ সমস্যা পাকিস্তানের
ভাবমূর্তি ও ইতিহাসের জন্য একটি কলঙ্ক হয়ে থাকবে। আমি নওয়াজ শরিফের প্রতি
আবেদন জানাই, তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম দফায় যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন
সেই উদ্যোগ আবার শুরু করুন। Nawaz Sharif must help repatriate the
stranded Pakistanis Dr. Ali Al-Ghamdi The Pakistan Repatriation Council
(PRC) recently organized a symposium to commemorate the Martyrs’ Day
after the fall of Dhaka during the civil war in East Pakistan. Several
prominent figures from the Pakistani community in Jeddah attended the
function. Their speeches focused mainly on the plight of the stranded
Pakistanis, who are also known as Biharis. These people never expected
the fall of Dhaka and the secession of East Pakistan to create the
independent state of Bangladesh. Their expectation was that the Pakistan
army would come to their rescue in view of the fact that they stood by
the army and made great sacrifices to safeguard a united Pakistan. These
people speak Urdu, the language of Pakistan, and they did not take part
in the struggle started by Bengalis known as the “Language Movement”
which was the first sign of the differences between the two parts of
Pakistan. Before partition, Muslims were a minority in the eastern
Indian state of Bihar. There were clashes between Muslims and the
majority Hindus because of differences in religion, culture and
ethnicity. Muslims were the weaker section and their losses were immense
in these clashes. This prompted Quaid-i-Azam Muhammad Ali Jinnah to
declare that the “massacres that took place in Bihar led to the creation
of Pakistan.” At the time of the partition of the subcontinent, Muslims
from Bihar moved to East Pakistan because of its proximity to their
native land. They filled the posts vacant at the railway, jute factories
and paper mills when Hindus who worked there migrated to India. These
Muslims made great sacrifices to realize their ambition of living in the
nation of their choice. During the civil war fought mainly by the
Pakistan army and the militia loyal to the Awami League party, these
people stood by the army in order to safeguard the unity of Pakistan.
Following defeat in the war, the Pakistani general surrendered and he
along with other Pakistani soldiers were taken to India as war
prisoners. The prisoners of war also included some civilians belonging
to the West Pakistan regions, which later became part of Pakistan after
the secession of Bangladesh, leaving behind the Biharis in Bangladesh.
The Biharis felt cheated as they were not welcomed in the new state
because of their allegiance to the Pakistan army during the civil war.
The Bengalis considered them to be enemies and subsequently, they were
subjected to murder and rape, and they were driven out of their homes
and their property was confiscated. As a result, they were forced to
move to squalid and crowded camps where they were deprived of even the
basic amenities of life. These stranded Pakistanis are living with the
hope of being repatriated one day to Pakistan. However, they are yet to
realize their dream as successive governments in Pakistan have failed to
fulfill their promises in this regard. There was an exception for this
during the period of President General Zia-ul-Haq. The Zia government,
in cooperation with the Makkah-based Muslim World League (Rabita),
created the Rabita Endowment. At that time, Dr. Abdullah Omar Nasif was
the secretary general of Rabita. The endowment was designed to ensure
the repatriation of stranded Pakistanis who would be settled on land
donated by Nawaz Sharif, the then chief minister of Punjab province.
General Zia-ul-Haq showed keen interest in the repatriation of the
stranded Pakistanis. But the tragic death of Zia dashed all hopes of
repatriation because the successive governments showed no interest in
the matter. When Sharif assumed power as prime minister of Pakistan,
there were renewed hopes of reactivating the MWL endowment for Biharis.
He expressed his keenness and desire to revive the endowment and took
charge as its president. Sharif managed to construct a number of houses
and repatriated some Bihari families after allotting houses to them. But
the project was halted by the Army Chief General Pervez Musharraf, who
became president after ousting Sharif from power. Musharraf gave up the
endowment’s presidency. However, there has been no follow up action on
the part of either the Pakistan government or Rabita to resolve the
issue of the stranded Pakistanis. These people are denied help from the
UN fund for refugees even though their plight is worse than that of some
refugees. The stranded Pakistanis now receive help from a few charity
societies and Pakistan-based NGOs as well as from some individuals,
including those from Bangladesh, but this assistance is quite
insufficient to meet their basic requirements for food, education and
healthcare. I would like to emphasize the fact that the Pakistan
government must shoulder its humanitarian, moral and political
responsibilities in resolving the issue of the stranded Pakistanis.
Otherwise, this will remain a blot on the image and history of Pakistan.
I appeal to Sharif to take steps to accomplish the great mission he
embarked on during his first two terms as the prime minister of
Pakistan. Allah will help us as long as we are in support of weaker
sections among us. This is what Prophet Muhammad (peace be upon him)
stressed when he said: “Are you not fed and helped but because of your
weaker sections.” Dr. Ali Al-Ghamdi is a former Saudi diplomat who
specializes in Southeast Asian affairs. He can be reached at
algham@hotmail.com
No comments