বঙ্গভবনে দাওয়াত দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার কোনো প্রয়োজন ছিল কি?
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল
(অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীরপ্রতীককে বঙ্গভবনে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে
আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রণ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে তিনি গেটে
উপস্থিত হলে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে গেট থেকে। প্রবেশ করতে না দেয়ার কারণ
হিসেবে গেট থেকে তাকে জানানো হয়েছে এসএসএফের (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স)
পক্ষ থেকে তার বঙ্গভবনে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এ বিষয়ে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম নয়া দিগন্তকে জানান, আমি ২টা ৪০ মিনিটে বঙ্গভবনের উত্তর গেটে যাই। তখন একজন ক্যাপ্টেন আমাকে জানায়, স্যার আপনার প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করার কথা। আমি তাকে বললাম, না আমাকে উত্তর গেট থেকে ঢোকার জন্যই গাড়ির স্টিকার দেয়া হয়েছে। তখন ক্যাপ্টেন আমাকে বলল, হয়তো আমাদের ভুলের কারণে আপনাকে প্রধান গেটের পরিবর্তে উত্তর গেটের স্টিকার দেয়া হয়েছে। আপনি স্যার দয়া করে প্রধান গেটে যান।
আমি তখন প্রধান গেটে গেলে সেখানে দায়িত্বরত সার্জেন্ট আমাকে জানাল, সরি স্যার। আপনার বঙ্গভবনে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আপনাকে স্যার দয়া করে ফেরত যেতে হবে। আমার কাছে এসএসএফের একটি স্লিপ আছে। বঙ্গভবনে প্রবেশের বিষয়ে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেই তালিকায় আপনার নাম রয়েছে।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ১৯৮০ সাল থেকে আমাকে বঙ্গভবনে বছরে চারটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া হয়। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং দুই ঈদের দিন। শারীরিক অসুস্থতা ছাড়া আমি কখনো কোনো অনুষ্ঠানে আজ পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকিনি। ৯৫ ভাগ দাওয়াত আমি কবুল করেছি। আর প্রতিবার আমাকে প্রধান গেট দিয়েই প্রবেশেরই স্টিকার দেয়া হয়। তবে এবার উত্তর গেটের স্টিকার দেয়া হয়েছে।
সৈয়দ ইব্রাহীম বলেন, আমার তিনটি প্রধান পরিচয় আছে। আমি একজন বীরপ্রতীক মুক্তিযোদ্ধা। আমি একজন সাবেক মেজর জেনারেল এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্মলগ্ন থেকে এর সাথে আমি যুক্ত ছিলাম। আমার আরেকটি পরিচয় হল আমি একটি রাজনৈতিক দল কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান। আমাকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করতে না দিয়ে আমার কোন পরিচয় বা বৈশিষ্ট্যকে অপমান করা হল তার বিচারের ভার দেশবাসীর ওপর ছেড়ে দিলাম।
সৈয়দ ইব্রাহীম দুঃখের সাথে বলেন, কাউকে দাওয়াত দেয়া বা না দেয়ার পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে কর্তৃপক্ষের। আমাকে দাওয়াত না দিলে আমি কিছুই মনে করতাম না। আমি ধরে নিতাম হয়তো রাজনীতিবিদ সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহীমের বিষয়ে এসএসএফের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার সমস্যা রয়েছে। কিন্তু দাওয়াত দেয়ার পর অপমান কেন?
সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম তার ফেসবুকে বঙ্গভবনের দাওয়াতপত্র, স্টিকারের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি এ ঘটনা বিষয়ে লিখেছেন, একজন মানুষের রাজনৈতিক পরিচয় একটি চলমান অথবা সাময়িক বিষয় হতে পারে। কিন্তু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধার অবদান অপরির্তনীয়, অনস্বীকার্য এবং অনাপসযোগ্য। ১৯৭১ সালের বীরেরা আজো বীরই। কেউ যদি তাকে বীর হিসেবে সম্মান জানাতে না পারে তাতে কোনো সমস্যা নেই। তার হয়তো কোনো সমস্যা থাকতে পারে। এটা মেনে নেয়া যায়। কিন্তু বিজয় দিবসে একজন বীরপ্রতীক মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার কোনো প্রয়োজন ছিল কি?
এ বিষয়ে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম নয়া দিগন্তকে জানান, আমি ২টা ৪০ মিনিটে বঙ্গভবনের উত্তর গেটে যাই। তখন একজন ক্যাপ্টেন আমাকে জানায়, স্যার আপনার প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করার কথা। আমি তাকে বললাম, না আমাকে উত্তর গেট থেকে ঢোকার জন্যই গাড়ির স্টিকার দেয়া হয়েছে। তখন ক্যাপ্টেন আমাকে বলল, হয়তো আমাদের ভুলের কারণে আপনাকে প্রধান গেটের পরিবর্তে উত্তর গেটের স্টিকার দেয়া হয়েছে। আপনি স্যার দয়া করে প্রধান গেটে যান।
আমি তখন প্রধান গেটে গেলে সেখানে দায়িত্বরত সার্জেন্ট আমাকে জানাল, সরি স্যার। আপনার বঙ্গভবনে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আপনাকে স্যার দয়া করে ফেরত যেতে হবে। আমার কাছে এসএসএফের একটি স্লিপ আছে। বঙ্গভবনে প্রবেশের বিষয়ে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেই তালিকায় আপনার নাম রয়েছে।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ১৯৮০ সাল থেকে আমাকে বঙ্গভবনে বছরে চারটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া হয়। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং দুই ঈদের দিন। শারীরিক অসুস্থতা ছাড়া আমি কখনো কোনো অনুষ্ঠানে আজ পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকিনি। ৯৫ ভাগ দাওয়াত আমি কবুল করেছি। আর প্রতিবার আমাকে প্রধান গেট দিয়েই প্রবেশেরই স্টিকার দেয়া হয়। তবে এবার উত্তর গেটের স্টিকার দেয়া হয়েছে।
সৈয়দ ইব্রাহীম বলেন, আমার তিনটি প্রধান পরিচয় আছে। আমি একজন বীরপ্রতীক মুক্তিযোদ্ধা। আমি একজন সাবেক মেজর জেনারেল এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্মলগ্ন থেকে এর সাথে আমি যুক্ত ছিলাম। আমার আরেকটি পরিচয় হল আমি একটি রাজনৈতিক দল কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান। আমাকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করতে না দিয়ে আমার কোন পরিচয় বা বৈশিষ্ট্যকে অপমান করা হল তার বিচারের ভার দেশবাসীর ওপর ছেড়ে দিলাম।
সৈয়দ ইব্রাহীম দুঃখের সাথে বলেন, কাউকে দাওয়াত দেয়া বা না দেয়ার পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে কর্তৃপক্ষের। আমাকে দাওয়াত না দিলে আমি কিছুই মনে করতাম না। আমি ধরে নিতাম হয়তো রাজনীতিবিদ সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহীমের বিষয়ে এসএসএফের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার সমস্যা রয়েছে। কিন্তু দাওয়াত দেয়ার পর অপমান কেন?
সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম তার ফেসবুকে বঙ্গভবনের দাওয়াতপত্র, স্টিকারের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি এ ঘটনা বিষয়ে লিখেছেন, একজন মানুষের রাজনৈতিক পরিচয় একটি চলমান অথবা সাময়িক বিষয় হতে পারে। কিন্তু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধার অবদান অপরির্তনীয়, অনস্বীকার্য এবং অনাপসযোগ্য। ১৯৭১ সালের বীরেরা আজো বীরই। কেউ যদি তাকে বীর হিসেবে সম্মান জানাতে না পারে তাতে কোনো সমস্যা নেই। তার হয়তো কোনো সমস্যা থাকতে পারে। এটা মেনে নেয়া যায়। কিন্তু বিজয় দিবসে একজন বীরপ্রতীক মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার কোনো প্রয়োজন ছিল কি?
No comments