রংপুরে ফতোয়াবাজ তালেবান এক এসআইয়ের কীর্তি- বোরকা না পরায় গ্রেফতার ॥ ওরা নাকি রাষ্ট্রধর্ম অমান্য করেছে!
রংপুরে ডিবি পুলিশর ফতোয়া জারি। শহরের
বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় কোন নারী-পুরুষ একসঙ্গে চলাচল করতে পারবে না।
মেয়েদের প্রকাশ্যে বেরুতে হলে পর্দানশীন অবস্থায় বোরকা পরে বেরুতে হবে।
তা না হলে ফতোয়া অমান্যকারীদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানোর হুমকি দেয়া
হয়। এই ফতোয়া জারির অভিযানের প্রথম দিনে গত সোমবার রংপুর ডিবি পুলিশের
এএসআই গোলাম মোঃ মিনহাজ সাদা পোশাকের কয়েক পুলিশ নিয়ে রংপুর চিড়িয়াখানা ও
বিনোদন পার্ক সুরভী উদ্যান থেকে ১৯ নারী-পুরুষকে আটক করেছে। এদের মধ্যে
রংপুরের বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানের অনার্স, মাস্টার্স শ্রেণীর
ছাত্র-ছাত্রীসহ স্বামী-স্ত্রী, সহপাঠী এবং আপন ভাই-বোন রয়েছে। এদের
গ্রেফতার করার পর ঘটনাস্থলে প্রকাশ্যে অশালীন গালাগাল করে হেনস্থা করা হয়।
এরপর ডিবি অফিসে নিয়ে গিয়ে আটককৃতদের উদ্দেশে অশালীন মনত্মব্য করে সকলের
ভিডিও এবং স্থিরচিত্র ধারণ করা হয়েছে।
বিষয়টি রংপুর শহরের বিভিন্ন মহলে ও অভিভাবকদের মধ্যে জানাজানি হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে থানায় পুত্রবধূ ও পুত্রকে নিতে শ্বশুরসহ, আটকৃতদের অনেকের বাবা-মা, ভাই-বোন এবং আইনজীবীরা থানায় ভিড় করেন। এ নিয়ে শহরে বিুব্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পরে থানা থেকে আটকৃতদের নিজ ও পরিবারের আপনজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের ওই কর্মকর্তা গোলাম মোঃ মিন্হাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম। তাই ইসলাম পরিপন্থী ও ধর্মীয় আইন বিরোধী কাজ করায় এবং পর্দানশীন অবস্থায় চলাচল না করার কারণে ১৯ জন নারী-পুরম্নষকে সুরভী উদ্যান ও রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে আটক করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এ ধরনের কাজ না করার জন্য বিভিন্ন স্থানে ডিবি পুলিশের পৰ থেকে জানানো হয়েছে। তবুও তারা ওই আইন না মানায় গত সোমবার অভিযানের প্রথম দিনে ১৯ জনকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
রংপুর বিভাগীয় শহর হলেও শিশুপার্ক ও বড় ধরনের কোন বিনোদন পার্ক নেই। কেবলমাত্র রংপুর কালেক্টরেট ভবন সংলগ্ন ছোট আকারের সুরভী উদ্যান এবং সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একানত্ম ইচ্ছায় তাঁর আমলে নির্মিত রংপুর চিড়িয়াখানায় শহরের লোকজন বিনোদনের জন্য বেড়াতে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে ডিবি পুলিশের এসব এলাকায় কোন যুবক-যুবতী ও নারী-পুরম্নষ একসঙ্গে চলাচল এবং বসে কথা বলতে পারবেন না বলে গত তিন দিন ধরে ফতোয়া জারি করে আসছে। কিন্তু এই বিধিনিষেধ না মেনে যাঁরা গত সোমবার সুরভী উদ্যান ও রংপুর চিড়িয়াখানায় বেড়াতে যান তাঁরা ওই ঘটনার শিকার হন। এ সম্পর্কে চিড়িয়াখানা কতর্ৃপৰ জানিয়েছে, রংপুর চিড়িয়াখানা উন্মুক্ত এলাকা। সেখানে বিনোদনের জন্য ও পশুপাখি দেখতে স্বামী-স্ত্রী, অভিভাবকরা পরিবারের সদস্য ও সনত্মান, আত্মীয়স্বজন এবং শহরের বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানের শিৰাথর্ীরা নিয়মিত বেড়াতে আসে। সেখানে মুসলিম ধমর্ীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী কোন কাজ করার সুযোগ নেই। এরপরও ডিবি পুলিশ এই অভিযান চালিয়ে কেন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তা তারা জানেন না। আটককৃতদের কেন হেনস্থা করা হলো এবং পরে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হলো এ সম্পর্কে কোতোয়ালি থানার ওসির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকতর্া নুরে আলম জানান, ডিবি পুলিশ যাদের আটক করেছে তাদের বিরম্নদ্ধে কোন আমলযোগ্য অপরাধ না থাকায় তাদের নিজ ও পরিবারের লোকজনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি সম্পর্কে রংপুর পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ডিবি পুলিশ কয়েকজনকে শহরের বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানা থেকে আটক করেছে। তা তিনি শুনেছেন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। পুলিশ সুপার বর্তমানে সরকারী কাজে রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। ফিরে এসে খোঁজখবর নিয়ে তিনি দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
বিষয়টি রংপুর শহরের বিভিন্ন মহলে ও অভিভাবকদের মধ্যে জানাজানি হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে থানায় পুত্রবধূ ও পুত্রকে নিতে শ্বশুরসহ, আটকৃতদের অনেকের বাবা-মা, ভাই-বোন এবং আইনজীবীরা থানায় ভিড় করেন। এ নিয়ে শহরে বিুব্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পরে থানা থেকে আটকৃতদের নিজ ও পরিবারের আপনজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের ওই কর্মকর্তা গোলাম মোঃ মিন্হাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম। তাই ইসলাম পরিপন্থী ও ধর্মীয় আইন বিরোধী কাজ করায় এবং পর্দানশীন অবস্থায় চলাচল না করার কারণে ১৯ জন নারী-পুরম্নষকে সুরভী উদ্যান ও রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে আটক করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এ ধরনের কাজ না করার জন্য বিভিন্ন স্থানে ডিবি পুলিশের পৰ থেকে জানানো হয়েছে। তবুও তারা ওই আইন না মানায় গত সোমবার অভিযানের প্রথম দিনে ১৯ জনকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
রংপুর বিভাগীয় শহর হলেও শিশুপার্ক ও বড় ধরনের কোন বিনোদন পার্ক নেই। কেবলমাত্র রংপুর কালেক্টরেট ভবন সংলগ্ন ছোট আকারের সুরভী উদ্যান এবং সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একানত্ম ইচ্ছায় তাঁর আমলে নির্মিত রংপুর চিড়িয়াখানায় শহরের লোকজন বিনোদনের জন্য বেড়াতে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে ডিবি পুলিশের এসব এলাকায় কোন যুবক-যুবতী ও নারী-পুরম্নষ একসঙ্গে চলাচল এবং বসে কথা বলতে পারবেন না বলে গত তিন দিন ধরে ফতোয়া জারি করে আসছে। কিন্তু এই বিধিনিষেধ না মেনে যাঁরা গত সোমবার সুরভী উদ্যান ও রংপুর চিড়িয়াখানায় বেড়াতে যান তাঁরা ওই ঘটনার শিকার হন। এ সম্পর্কে চিড়িয়াখানা কতর্ৃপৰ জানিয়েছে, রংপুর চিড়িয়াখানা উন্মুক্ত এলাকা। সেখানে বিনোদনের জন্য ও পশুপাখি দেখতে স্বামী-স্ত্রী, অভিভাবকরা পরিবারের সদস্য ও সনত্মান, আত্মীয়স্বজন এবং শহরের বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানের শিৰাথর্ীরা নিয়মিত বেড়াতে আসে। সেখানে মুসলিম ধমর্ীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী কোন কাজ করার সুযোগ নেই। এরপরও ডিবি পুলিশ এই অভিযান চালিয়ে কেন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তা তারা জানেন না। আটককৃতদের কেন হেনস্থা করা হলো এবং পরে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হলো এ সম্পর্কে কোতোয়ালি থানার ওসির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকতর্া নুরে আলম জানান, ডিবি পুলিশ যাদের আটক করেছে তাদের বিরম্নদ্ধে কোন আমলযোগ্য অপরাধ না থাকায় তাদের নিজ ও পরিবারের লোকজনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি সম্পর্কে রংপুর পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ডিবি পুলিশ কয়েকজনকে শহরের বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানা থেকে আটক করেছে। তা তিনি শুনেছেন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। পুলিশ সুপার বর্তমানে সরকারী কাজে রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। ফিরে এসে খোঁজখবর নিয়ে তিনি দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
No comments