নিরামিষভোজীদের হূদেরাগের ঝুঁকি ৩২ শতাংশ কম
মাছ-মাংসের পরিবর্তে নিরামিষ খাবার গ্রহণে মানুষের হূৎপিণ্ডের ওপর নাটকীয় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে হূদেরাগের ঝুঁকি ৩২ শতাংশ কমে যায়।
আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরামিষভোজীদের হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আশঙ্কা আমিষভোজীদের তুলনায় ৩২ শতাংশ কম।
হূদেরাগে আক্রান্ত হলে ধমনির ভেতরের অংশের পুরুত্ব বেড়ে গিয়ে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এ কারণে রক্ত সংবহন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে রোগীর বুকে ব্যথা থেকে শুরু করে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে।আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরামিষভোজীদের হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আশঙ্কা আমিষভোজীদের তুলনায় ৩২ শতাংশ কম।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা যুক্তরাজ্যে ১৫ হাজার ১০০ জন নিরামিষভোজী এবং ২৯ হাজার ৪০০ জন আমিষভোজীর স্বাস্থ্য-তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি পরিচালনা করেন। ১১ বছরব্যাপী গবেষণা চলাকালে ওই ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬৯ জনের মৃত্যু হয় এবং এক হাজার ৬৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের অধিকাংশই ছিলেন আমিষভোজী।
গবেষক ফ্রান্সেসকা ক্রো বলেন, নিরামিষভোজীদের শরীরে চর্বির পরিমাণ কম থাকে। ফলে, তাঁদের হূদেরাগের ঝুঁকি কম হয়। তাঁদের রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষক ট্র্যাসি পার্কার বলেন, স্বাস্থ্য রক্ষায় পরিমিত ও বৈচিত্র্যময় খাবার গ্রহণের গুরুত্ব এই গবেষণায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে। তবে কেবল নিরামিষ খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই হূৎপিণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে না। তাই হঠাৎ করে নিরামিষ খাওয়া শুরু করার আগে খাবারের তালিকায় ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
পশ্চিমা দেশগুলোয় হূদেরাগে আক্রান্তের হার বেশি। যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ৯৪ হাজার লোক এ রোগে মারা যান। বিবিসি।
No comments