প্রথম ই-রিডার ১৯৪৯ সালে!
১৯৪৯ সালে স্পেনের অবস্থা ছিল করুণ। দেশের
অর্থনীতি ছিল নাজুক। স্বৈরশাসক ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
তৈরি হয়েছিল। তাঁদের জেলে পাঠানো বা হত্যা করা হতো।
নারীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে অক্ষম ছিলেন। এমতাবস্থায় এক নারী আবিষ্কার
করেছিলেন বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয় রিডার, যা আজকের ডিজিটাল পাঠযন্ত্র
ই-রিডারের অগ্রদূত। সেই নারীর নাম অ্যাঞ্জেলা রুইজ রোবেলস। যন্ত্রটির নাম
দিয়েছিলেন মেকানিক্যাল এনসাইক্লোপিডিয়া। এটা সংকুচিত বায়ুতে চালিত হতো।
তাতে পাঠ্যবস্তু ও চিত্রণগুলো নাটাইয়ের মধ্যে রাখা হতো। ব্যবহারকারীরা
সেগুলো ঘূর্ণয়মান নাটাইয়ে ধারণ করে রাখতে পারতো। সেই নাটাই ও সংশ্লিষ্ট
অন্যান্য বস্তু হাতলবিশিষ্ট একটি শক্ত ধাতব খাঁচায় রাখা হতো।
রোবেলসের আশা ছিল, শিশুদের জন্য বেশ কয়েকটি বই বহনের চেয়ে তাঁর এই মেকানিক্যাল এনসাইক্লোপিডিয়া অনেক বেশি সহজ হবে। তাঁর বিশ্বাস ছিল, এই আবিষ্কার সবার জন্য পড়ার বিষয়টা আরও বেশি সুগম করে তুলবে। এই বিষয় বিবেচনায় আবিষ্কারটির সঙ্গে আজকের কিন্ডলস, নুকসসহ অন্যান্য ই-রিডারের অনেক মিল রয়েছে।
রোবেলস মারা যান ১৯৭৫ সালে। তাঁর আগে তিনি তাঁর উদ্ভাবনের প্যাটেন্ট করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সফল হননি। লাইভসায়েন্স।
রোবেলসের আশা ছিল, শিশুদের জন্য বেশ কয়েকটি বই বহনের চেয়ে তাঁর এই মেকানিক্যাল এনসাইক্লোপিডিয়া অনেক বেশি সহজ হবে। তাঁর বিশ্বাস ছিল, এই আবিষ্কার সবার জন্য পড়ার বিষয়টা আরও বেশি সুগম করে তুলবে। এই বিষয় বিবেচনায় আবিষ্কারটির সঙ্গে আজকের কিন্ডলস, নুকসসহ অন্যান্য ই-রিডারের অনেক মিল রয়েছে।
রোবেলস মারা যান ১৯৭৫ সালে। তাঁর আগে তিনি তাঁর উদ্ভাবনের প্যাটেন্ট করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সফল হননি। লাইভসায়েন্স।
No comments