খবর শুধু খবর নয় by নিয়ামত হোসেন

গরুর লড়াই সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গরুদের আন্তর্জাতিক লড়াই প্রতিযোগিতা। সেখানকার ভ্যালেস উপত্যকায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালিসহ বেশ কয়েকটি দেশের গরু অংশগ্রহণ করে।


তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে এবারে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশের গরুদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালির গরু। প্রকাশিত এক সংবাদে জানা যায় এ কথা।
মানুষের মধ্যে যেমন লড়াই করার প্রতিযোগিতা রয়েছে, তেমনি কোন কোন প্রাণীকে দিয়ে মানুষ লড়াই করায়। মানুষের মধ্যে কুস্তি, বক্সিং ইত্যাদি নানা ধরনের প্রতিযোগিতা রয়েছে। তেমনি রয়েছে ষাঁড়ের লড়াই। বালি দ্বীপে রয়েছে মোরগের লড়াই। মোরগের লড়াই অবশ্য একদা আমাদের দেশেও চালু ছিল। এইসব লড়াইয়ের ধারায় সুইজারল্যান্ডে হচ্ছে কাউ ফাইট।
গরু ছাগল মোরগ মুরগি খুবই শান্ত প্রকৃতির। তারা যে মারামারি করে না তা অবশ্য নয়। তাদের মারামারি ঘটে কদাচিৎ। স্বার্থের দ্বন্দ্ব তাদের নেই বললেই চলে। তাই মারামারি খুব একটা হয় না।
কিন্তু মানুষ তাদের দিয়ে মারামারি বাধিয়ে দেয়। তারা পরস্পরকে আক্রমণ করে, আঘাত করে, শিং দিয়ে বা মোরগের পায়ের নখ দিয়ে একে অন্যকে যতই ক্ষতবিক্ষত করে মানুষ ততই আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে এবং মহাউৎসাহে উপভোগ করে এই মারামারি। সেই রাজাবাদশাদের আমল থেকে অথবা আরও প্রাচীন কাল থেকে মানুষ এসব পশুপাখিদের মধ্যে লড়াই তথা মারামারির প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। সুইজারল্যান্ডের এই কাউ ফাইট প্রতিযোগিতা চলছে ১৯২০ সাল থেকে। এগুলোর মাধ্যমে মনের ভেতরের লুকানো তথা অবদমিত হিংস্রতাকে খানিকটা আরামদায়ক সুড়সুড়ি দেয়া হয় কিনা কে বলবে! পশুপাখিদের নিয়ে এ ধরনের খেলার সমর্থকও যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে বিরোধীরাও।
যাই হোক, এবারের কাউ ফাইটে জিতে ইতালির গরু কী পুরস্কার বা পদক পেলো ত অবশ্য খবরে বিস্তারিত জানা যায়নি।

হোটেলের পাশেই কুমির এবং অজগর!
অস্ট্রেলিয়ায় একটি হোটেল বিক্রি হবে। হোটেলটির মালিক বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন বলে প্রকাশিত এক সংবাদে জানা গেল। হোটেলটির বর্তমান মালিক স্ট্যান হিউজলারের বয়স ৭৮ বছর। তিনি ১২ বছর ধরে হোটেলটি চালাচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন। ৭ লাখ ৬০ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলারে হোটেলটি বিক্রি করবেন তিনি। জানা গেছে হোটেলটি যিনি কিনবেন, তিনি বাড়তি কিছু জিনিস পাবেন বিনা পয়সায়। তিনি পাবেন কুমির এবং অজগর সাপ। কাছের এক নদী থেকে মাঝে মাঝেই হোটেলটিতে আসে বেশ কিছু কুমির। হোটেলটির আশপাশে এসে স্থানুর মতো কুমিরগুলো চুপচাপ অবস্থান করে। দেখলেই মনে হবে এগুলো যেন পাথরের তৈরি। নড়াচড়া করলেই বোঝা যায় এগুলো জ্যান্ত।
হোটেলটির অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটোরিতে অর্থাৎ দেশটির উত্তরাঞ্চলে। ওখানে লোকজনের বসতি কম। নির্জন এলাকা। হোটেলটির মালিক এখন আর হোটেলটি চালাতে চান না। হোটেলটিতেও খরিদ্দারদের জন্য রয়েছে বিয়ার এবং টিনের কৌটোয় নানা খাবার। লোকজন এখানে এলে এসব খাবার খেতে পারবেন এবং প্রকৃতির নির্জনে দুদ- কাটাতে পারবেন। জানা গেছে ওখানে কুমির ছাড়াও মাঝে মাঝে আসে অজগর সাপ। ওগুলো অবশ্য বিষহীন। হোটেল মালিকের বক্তব্য, এই সাপগুলোই তাঁর হাঁস-মুরগি সাবাড় করে চলেছে।
অস্ট্রেলিয়া আসলে একটি দেশ, তবে একটি গোটা মহাদেশও। সেই মহাদেশের সুদূর উত্তরাঞ্চলের ছোট্ট ঐ হোটেলটি কেনার লোকের অভাব যে হবে না সেটা বলা যায়। কারণ স্থানীয় লোকজনের সংখ্যা কম হলেও দেশ-বিদেশের অনেক টুরিস্ট হয়ত মাঝেমধ্যে ওখানেও যাবেন। তাই ব্যবসাও হয়তো ভাল চলবে! তা না হলে এতকাল ধরে চলল কি করে! যিনি কিনবেন তাঁর বাড়তি পাওনা হবে নদীর কুমির ও বনের অজগর। হোটেলের যাঁরা থাকতে আসবেন তাঁদের জন্য এগুলো হবে বাড়তি আকর্ষণের। তাঁরা দেখবেন আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুমির আর অজগর। ওরা কাউকে কিছু বলবে না, কারণ ওদের কেউ কিছু বলে না। কত নির্ভয়ে বাস করছে মানুষের পাশাপাশি। ওসব জিনিস আমাদের এখানে হলে কবে শেষ হয়ে যেত, মেরে ওগুলোর বংশসুদ্ধ সাবাড় করে ফেলা হতো!

No comments

Powered by Blogger.