ইসলামাবাদ ও কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দূত
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের জন্য নতুন রাষ্ট্রদূতের নাম ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসলামাবাদে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রিচার্ড ওলসন এবং কাবুলে নিয়োগ পেয়েছেন জেমস কানিংহাম। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত মঙ্গলবার তাঁদের নাম ঘোষণা করেন। তবে চূড়ান্ত নিয়োগের আগে তাঁদের মার্কিন সিনেটের অনুমোদন লাগবে।
ইসলামাবাদ ও কাবুলে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরা দুই মাস আগে পদত্যাগ করেন। এরপর গত মঙ্গলবার ওবামা নতুন রাষ্ট্রদূতদের নাম ঘোষণা করলেন। একই দিন ওবামা আরো বেশ কিছু পদে নতুন নিয়োগ দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে ওবামা বলেছেন, 'এসব বিচক্ষণ ও নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিরা এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে রাজি হওয়ায় আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আগামীতে তাঁদের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।'
গত বছর পাকিস্তানে আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ২৪ পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দেয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, পাকিস্তানে নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্যামেরন মান্টার দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা নিরসনে ব্যর্থ হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মে মাসে তিনি পদত্যাগ করেন। মান্টারের পদত্যাগের দুই সপ্তাহ পরেই স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন দূত রায়ান ক্রোকার পদত্যাগ করেন।
পাকিস্তানের জন্য মনোনীত ওলসন এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। এরপর গত জুন পর্যন্ত তিনি কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে উন্নয়ন ও অর্থনীতিবিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেছে।
কানিংহাম এর আগে ইসরায়েলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী উপ-প্রতিনিধি, ইতালিতে মার্কিন দূতাবাসে মিশন উপ-প্রধান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ন্যাটো মহাসচিবের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিনিরা। এ ছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। এর মধ্যে দেশ দুটিতে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সূত্র : এএফপি।
গত বছর পাকিস্তানে আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ২৪ পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দেয়। অনেকেই অভিযোগ করেন, পাকিস্তানে নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্যামেরন মান্টার দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা নিরসনে ব্যর্থ হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মে মাসে তিনি পদত্যাগ করেন। মান্টারের পদত্যাগের দুই সপ্তাহ পরেই স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন দূত রায়ান ক্রোকার পদত্যাগ করেন।
পাকিস্তানের জন্য মনোনীত ওলসন এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। এরপর গত জুন পর্যন্ত তিনি কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে উন্নয়ন ও অর্থনীতিবিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেছে।
কানিংহাম এর আগে ইসরায়েলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী উপ-প্রতিনিধি, ইতালিতে মার্কিন দূতাবাসে মিশন উপ-প্রধান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ন্যাটো মহাসচিবের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিনিরা। এ ছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। এর মধ্যে দেশ দুটিতে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সূত্র : এএফপি।
No comments