আলতাফ চৌধুরী গ্রম্নপের সঙ্গে অন্য গ্রম্নপগুলোর দফায় দফায় সংঘর্ষ-পটুয়াখালী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে পাল্টাপাল্টিতে ১৪৪ ধারা, শতাধিক আহত, শহরজুড়ে আতঙ্ক
পটুয়াখালী, ১ জানুয়ারি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার পটুয়াাখালী জেলা বিএনপির বিবদমান গ্রম্নপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক নেতাকমর্ী আহত হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সংস্কারপন্থী পিনু-কুট্টির গ্রম্নপের দফায় দফায় হামলায় আলতাফ হোসেন চৌধুরী সমর্থিতরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
এ সময় শহরের সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আলতাফ হোসেন চৌধুরী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। আওয়ামী লীগ হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছে।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচনী ব্যয়সংক্রানত্ম হিসাব দাখিল না করায় আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরম্নদ্ধে সরকারের দায়ের করা মামলায় আগামী ৩ জানুয়ারি হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীতে আসেন তিনি। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে শুক্রবার বেলা ১১টায় স্থানীয় পিডিএসএ মাঠ থেকে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি শুরম্ন করার কথা। একই স্থানে একই সময়ে বিএনপির বিবদমান অপর দু'টি গ্রম্নপ র্যালি আহ্বান করলে জেলা প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে। ফলে বিবদমান গ্রম্নপগুলোর মধ্যে টান টান উত্তেজনা দেখা দেয়। আজ সকালে আলতাফ হোসেন চৌধুরী গ্রম্নপ তার সার্কিট হাউজ সংলগ্ন বাসার সামনে জমায়েত শুরম্ন করে। অপর একটি (পিনু-কুট্টি) গ্রম্নপ পুরনো আদালত মাঠে জমায়েত হয়। বেলা ১১টার সময় আলতাফ চৌধুরী সমর্থিত একটি মিছিল বড় মসজিদের সামনের রাসত্মা দিয়ে যাওয়ার সময় পিনু-কুট্টি গ্রম্নপের হামলার শিকার হয়। এতে প্রায় ২০/২৫ কমর্ী আহত হন। এমনিভাবে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক গ্রম্নপের হামলার শিকার হন আলতাফ চৌধুরীর সমর্থিতরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলতাফ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর বাসার সামনে থেকে একটি মিছিল শের-ই-বাংলা সড়ক হয়ে সদরের দিকে যাওয়ার পথে মুক্তি ক্লিনিকের সামনে সংস্কারপন্থী পিনু-কুট্টি গ্রম্নপ অতর্কিতে হামলা চালায় মিছিলের ওপর। এ সময় উভয় গ্রম্নপের মধ্যে আধাঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে আলতাফ চৌধুরী পাশর্্ববতর্ী হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে আশ্রয় নেন। এর পর সেখানে তাকে অবরম্নদ্ধ করে হামলা চালানো হয় ঐ ক্লিনিকেও। দফায় দফায় হামলায় শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি শানত্ম হলে দেড়টার দিকে আলতাফ চৌধুরী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাঁর বাসায় আসেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে হামলা চালিয়ে নেতাকমর্ীদের জখম করেছে। কতজন নেতাকমর্ী আহত হয়েছেন তা সঠিক করে বলতে না পারলেও ধারণা করছেন যে শতাধিক নেতাকমর্ী আহত হয়েছেন। পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে মোসত্মফা (২৪), ইলিয়াস (৩৬), মইন সিকদার (৩৫) ও তসলিম মাদবর (২৪) নামে সামান্য আঘাতের ৪ রোগী ভর্তি রয়েছেন।
এ দিকে বৃহস্পতিবার দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর পটুয়াখালীতে এসে নিজ দলের একাধিক ভাগে বিভক্ত বিএনপির নেতাকমর্ীদের মধ্যে মারামারির মুখে পড়লেন সাবেক স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ চৌধুরী। সার্কিট হাউজসংলগ্ন তাঁর বাস ভবনের সামনে বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরীর এক সময়ের বিশ্বসত্ম সহচর এ্যাডভোকেট ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম, এ্যাডভোকেট তপন ও এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন ও তাঁদের সহযোগীরা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার উদ্দিন মুরাদকে তাঁর সামনে মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল জেলা বিএনপির নেতাকমর্ীদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার রাতে জেলা ছাত্রদলের একটি গ্রম্নপ আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরম্নদ্ধে সেস্নাগান দেয় এবং পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এক পথসভায় তারা আলতাফ চৌধুরীকে সংস্কারপন্থী নেতা আখ্যা দিয়ে পটুয়াখালীর যেখানে যাবেন সেখানেই প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।
এদিকে আওয়ামী লীগের বিরম্নদ্ধে হামলার অভিযোগকে মিথ্যা-বানোয়াট বলেছেন জেলা আওয়ায়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলমগীর। তিনি আরও বলেন, আগের দিন তাঁর বাসার সামনে তাঁর উপস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে মারামারি ও বিবদমান গ্রম্নপের সংঘর্ষের জের ধরে শুক্রবারের র্যালিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ করার বিষয়টি রাজনৈতিক কৌশল মাত্র।
পুলিশ জানায়, আলতাফ হোসেন চৌধুরী পটুয়াখালীতে আসার পর পরই বিএনপির বিবদমান গ্রম্নপগুলোর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে তিনটি গ্রম্নপ পিডিএসএ মাঠে র্যালির জন্য সময় নির্ধারণ করলে শানত্মিশৃঙ্খলার স্বার্থে জেলা প্রশাসনের কাছে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসন শুধু পিডিএসএ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে আলতাফ হোসেন চৌধুরী সমর্থিত গ্রম্নপ তাঁর নেতৃত্বে র্যালি বের করলে তাতে বিবদমান অপর গ্রম্নপগুলো হামলা চালায়।
এদিকে মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি শুক্রবার পটুয়াখালীতে তাদের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে। শহরের কাঠপট্টি এলাকার কার্যালয় থেকে বেলা ১১টায় একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে এসে এক পথসভায় মিলিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, জেলা বিএনপির বিবদমান গ্রম্নপগুলোর মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় মহাজোট সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তারা এ ঘটনা এড়াতে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ ভূমিকা পালনের দাবি জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জাতিয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি গোলাম মোসত্মফা তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক জাফর উলস্নাহ, জাপা নেতা জাকির মাহমুদ সেলিম ও খায়রম্নল আলম মামুন।
ছাত্রদলের সভা প- সাবেক এমপি লাঞ্ছিত
চাঁদপুর থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের দু'গ্রম্নপের অভ্যনত্মরীণ কোন্দলে সভা প- হয়ে যায়। এ সময় ছাত্রদলের দু'গ্রম্নপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ১০ জন আহত হয়। সভায় সাবেক এমপি জি.এম. ফজলুল হককে লাঞ্ছিত করা হয়। শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের স্থানীয় শাপলা চত্ত্বরে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল গ্রম্নপ ও জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহার গ্রম্নপ একত্রে কর্মসূচী পালন করছিল। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সবা চলাকালীন স্থানীয় সাবেক এমপি জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জিএম ফজলুল হক বক্তব্য দিতে চাইলে বাহার গ্রম্নপ তীব্র আপত্তি জানায়। এ নিয়ে জুয়েল গ্রম্নপ ও বাহার গ্রম্নপের মধ্যে প্রথমে বাক বিতন্ডা ও পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে সভার চতুপার্শে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় সভার মাইক ও কয়েকটি রিঙ্া ভাংচুর করা হয়। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হসত্মৰেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় সভার কাজ পুনরায় শুরম্ন হলে সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শফিউদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম কাজী জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল গাজী বাহার, আক্তার হোসেন সাগর প্রমুখ।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচনী ব্যয়সংক্রানত্ম হিসাব দাখিল না করায় আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরম্নদ্ধে সরকারের দায়ের করা মামলায় আগামী ৩ জানুয়ারি হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীতে আসেন তিনি। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে শুক্রবার বেলা ১১টায় স্থানীয় পিডিএসএ মাঠ থেকে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি শুরম্ন করার কথা। একই স্থানে একই সময়ে বিএনপির বিবদমান অপর দু'টি গ্রম্নপ র্যালি আহ্বান করলে জেলা প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে। ফলে বিবদমান গ্রম্নপগুলোর মধ্যে টান টান উত্তেজনা দেখা দেয়। আজ সকালে আলতাফ হোসেন চৌধুরী গ্রম্নপ তার সার্কিট হাউজ সংলগ্ন বাসার সামনে জমায়েত শুরম্ন করে। অপর একটি (পিনু-কুট্টি) গ্রম্নপ পুরনো আদালত মাঠে জমায়েত হয়। বেলা ১১টার সময় আলতাফ চৌধুরী সমর্থিত একটি মিছিল বড় মসজিদের সামনের রাসত্মা দিয়ে যাওয়ার সময় পিনু-কুট্টি গ্রম্নপের হামলার শিকার হয়। এতে প্রায় ২০/২৫ কমর্ী আহত হন। এমনিভাবে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক গ্রম্নপের হামলার শিকার হন আলতাফ চৌধুরীর সমর্থিতরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলতাফ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর বাসার সামনে থেকে একটি মিছিল শের-ই-বাংলা সড়ক হয়ে সদরের দিকে যাওয়ার পথে মুক্তি ক্লিনিকের সামনে সংস্কারপন্থী পিনু-কুট্টি গ্রম্নপ অতর্কিতে হামলা চালায় মিছিলের ওপর। এ সময় উভয় গ্রম্নপের মধ্যে আধাঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে আলতাফ চৌধুরী পাশর্্ববতর্ী হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে আশ্রয় নেন। এর পর সেখানে তাকে অবরম্নদ্ধ করে হামলা চালানো হয় ঐ ক্লিনিকেও। দফায় দফায় হামলায় শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি শানত্ম হলে দেড়টার দিকে আলতাফ চৌধুরী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাঁর বাসায় আসেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে হামলা চালিয়ে নেতাকমর্ীদের জখম করেছে। কতজন নেতাকমর্ী আহত হয়েছেন তা সঠিক করে বলতে না পারলেও ধারণা করছেন যে শতাধিক নেতাকমর্ী আহত হয়েছেন। পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে মোসত্মফা (২৪), ইলিয়াস (৩৬), মইন সিকদার (৩৫) ও তসলিম মাদবর (২৪) নামে সামান্য আঘাতের ৪ রোগী ভর্তি রয়েছেন।
এ দিকে বৃহস্পতিবার দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর পটুয়াখালীতে এসে নিজ দলের একাধিক ভাগে বিভক্ত বিএনপির নেতাকমর্ীদের মধ্যে মারামারির মুখে পড়লেন সাবেক স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ চৌধুরী। সার্কিট হাউজসংলগ্ন তাঁর বাস ভবনের সামনে বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরীর এক সময়ের বিশ্বসত্ম সহচর এ্যাডভোকেট ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম, এ্যাডভোকেট তপন ও এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন ও তাঁদের সহযোগীরা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার উদ্দিন মুরাদকে তাঁর সামনে মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল জেলা বিএনপির নেতাকমর্ীদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার রাতে জেলা ছাত্রদলের একটি গ্রম্নপ আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরম্নদ্ধে সেস্নাগান দেয় এবং পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে এক পথসভায় তারা আলতাফ চৌধুরীকে সংস্কারপন্থী নেতা আখ্যা দিয়ে পটুয়াখালীর যেখানে যাবেন সেখানেই প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।
এদিকে আওয়ামী লীগের বিরম্নদ্ধে হামলার অভিযোগকে মিথ্যা-বানোয়াট বলেছেন জেলা আওয়ায়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলমগীর। তিনি আরও বলেন, আগের দিন তাঁর বাসার সামনে তাঁর উপস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে মারামারি ও বিবদমান গ্রম্নপের সংঘর্ষের জের ধরে শুক্রবারের র্যালিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ করার বিষয়টি রাজনৈতিক কৌশল মাত্র।
পুলিশ জানায়, আলতাফ হোসেন চৌধুরী পটুয়াখালীতে আসার পর পরই বিএনপির বিবদমান গ্রম্নপগুলোর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে তিনটি গ্রম্নপ পিডিএসএ মাঠে র্যালির জন্য সময় নির্ধারণ করলে শানত্মিশৃঙ্খলার স্বার্থে জেলা প্রশাসনের কাছে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসন শুধু পিডিএসএ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে আলতাফ হোসেন চৌধুরী সমর্থিত গ্রম্নপ তাঁর নেতৃত্বে র্যালি বের করলে তাতে বিবদমান অপর গ্রম্নপগুলো হামলা চালায়।
এদিকে মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি শুক্রবার পটুয়াখালীতে তাদের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে। শহরের কাঠপট্টি এলাকার কার্যালয় থেকে বেলা ১১টায় একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে এসে এক পথসভায় মিলিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, জেলা বিএনপির বিবদমান গ্রম্নপগুলোর মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় মহাজোট সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তারা এ ঘটনা এড়াতে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ ভূমিকা পালনের দাবি জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জাতিয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি গোলাম মোসত্মফা তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক জাফর উলস্নাহ, জাপা নেতা জাকির মাহমুদ সেলিম ও খায়রম্নল আলম মামুন।
ছাত্রদলের সভা প- সাবেক এমপি লাঞ্ছিত
চাঁদপুর থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের দু'গ্রম্নপের অভ্যনত্মরীণ কোন্দলে সভা প- হয়ে যায়। এ সময় ছাত্রদলের দু'গ্রম্নপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ১০ জন আহত হয়। সভায় সাবেক এমপি জি.এম. ফজলুল হককে লাঞ্ছিত করা হয়। শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের স্থানীয় শাপলা চত্ত্বরে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল গ্রম্নপ ও জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহার গ্রম্নপ একত্রে কর্মসূচী পালন করছিল। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সবা চলাকালীন স্থানীয় সাবেক এমপি জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জিএম ফজলুল হক বক্তব্য দিতে চাইলে বাহার গ্রম্নপ তীব্র আপত্তি জানায়। এ নিয়ে জুয়েল গ্রম্নপ ও বাহার গ্রম্নপের মধ্যে প্রথমে বাক বিতন্ডা ও পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে সভার চতুপার্শে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় সভার মাইক ও কয়েকটি রিঙ্া ভাংচুর করা হয়। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হসত্মৰেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় সভার কাজ পুনরায় শুরম্ন হলে সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শফিউদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম কাজী জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল গাজী বাহার, আক্তার হোসেন সাগর প্রমুখ।
No comments