বিএনপির এই অবস্থান যৌক্তিক নয়-উপনির্বাচন বর্জন
গাজীপুর-৪ আসনে নির্বাচনের যখন প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে, তখন দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কাছ থেকে ঘোষণা এল সেই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূল বিষয় হচ্ছে নির্বাচন, সে ক্ষেত্রে নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে অনুযায়ী দলটি শুধু গাজীপুর-৪ আসনের উপনির্বাচনেই নয়, বরং বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না। বিএনপি মনে করছে, তারা যেহেতু আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চাইছে, তাই নির্বাচনে অংশ নেওয়া মানে এই দাবি থেকে সরে আসা। সামনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করতে হবে, তাই রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার দাবির সঙ্গে উপনির্বাচনকে মিলিয়ে ফেলার কী যুক্তি থাকতে পারে?
বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না। দলটি কি তবে এখন উপনির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চাইছে? গাজীপুর-৪ আসনের নির্বাচন নিয়ে যদি বিএনপির অভিযোগ থেকে থাকে, সেটা তারা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে পারত। উপনির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে যে রাজনৈতিক কৌশলই থাক না কেন, এটা গণতন্ত্রের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
আর যে রাজনৈতিক কৌশল বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করার জন্য এই উপনির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে এটা কতটুকু ফল বয়ে আনবে, সেটাও বড় প্রশ্ন। সরকার যদি এই নির্বাচনে কোনো প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করত বা সফলভাবে এই নির্বাচন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের যদি কোনো ত্রুটি পাওয়া যেত, দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে তাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে পারত।
গাজীপুর-৪ আসনের উপনির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অর্থ, বিরোধী দল হিসেবে এই সুযোগগুলো হারানো। গণতান্ত্রিক বা কৌশলগত দিক—কোনো বিবেচনাতেই বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না।
বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না। দলটি কি তবে এখন উপনির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চাইছে? গাজীপুর-৪ আসনের নির্বাচন নিয়ে যদি বিএনপির অভিযোগ থেকে থাকে, সেটা তারা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে পারত। উপনির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে যে রাজনৈতিক কৌশলই থাক না কেন, এটা গণতন্ত্রের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
আর যে রাজনৈতিক কৌশল বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করার জন্য এই উপনির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে এটা কতটুকু ফল বয়ে আনবে, সেটাও বড় প্রশ্ন। সরকার যদি এই নির্বাচনে কোনো প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করত বা সফলভাবে এই নির্বাচন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের যদি কোনো ত্রুটি পাওয়া যেত, দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে তাদের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে পারত।
গাজীপুর-৪ আসনের উপনির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অর্থ, বিরোধী দল হিসেবে এই সুযোগগুলো হারানো। গণতান্ত্রিক বা কৌশলগত দিক—কোনো বিবেচনাতেই বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না।
No comments