সেরাদের সেরা
ভালোলাগার আবেশ ছড়ানো হাসি ছিল চোখে-মুখে। যতবারই নিজের নামটি শুনেছেন, মুখের হাসির রেখা বাড়ছিল ততই। গত সোমবার প্রথম আলো আয়োজিত নূরজাহান আলোকিত ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতা-২০১২-এর সেরাদের সেরা হওয়া শাহীন আক্তার ক্ষণে ক্ষণে ভেসেছেন আনন্দের স্রোতে।
একাধিকবার পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন তিনি। প্রতিবারই মঞ্চ থেকে নামতে না-নামতেই শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে সিক্ত হচ্ছিলেন তিনি।
পাঁচ পাঁচটি পুরস্কার জিতে সেরাদের সেরা হওয়া শাহীনের প্রতিষ্ঠানের নাম মেহুলী বুটিকস। চূড়ান্ত পর্বে শাড়ি ‘খ’ এবং শাড়ি ‘গ’ বিভাগে প্রথম, শাড়ি ‘খ’ এবং সালোয়ার-কামিজ ‘খ’ বিভাগে তৃতীয় এবং সালোয়ার কামিজ ‘ক’ বিভাগে দ্বিতীয় হয়ে তিনি জিতে নেন সেরাদের সেরা পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে পাঁচটি ক্রেস্ট এবং নূরজাহানের দেওয়া উপহারসামগ্রী ছাড়াও একটি পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র পেয়েছেন তিনি।
সেরাদের সেরা হওয়া শাহীন আক্তার বলেন, ‘এতগুলো পুরস্কার পেয়ে আমি আসলে খুবই খুশি। নিজের প্রতি আমার আস্থা ছিল অন্তত তিনটি পুরস্কার পাবই। কিন্তু আমার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পেয়েছি!’
তাঁর কাছে এই সাফল্যের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্কুলজীবন থেকেই পোশাকে হাতের কাজ করার ঝোঁক। কেমন যেন একটা ভালোলাগা কাজ করত। আর এসব কাজের পেছনে ছিল আমার মায়ের অনুপ্রেরণা আর সহযোগিতা। আজ তিন বছর হলো মা নেই। আমার এই সাফল্য দেখে মা অনেক বেশি খুশি হতেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিজেকে যাচাই করতে ২০১০ সালে প্রথম এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। সেবার নিজের ডিজাইন করা চারটা কাপড় থেকে বাছাইপর্বে দুইটা কাপড় র্যাম্পের জন্য মনোনীত হয়। সেখান থেকে ফতুয়া (মেয়ে) বিভাগে তৃতীয় পুরস্কার পাই। ভালো লাগছিল এই ভেবে যে, এতগুলো কাপড়ের ভিড়ে আমার করা ডিজাইনের কাপড় হারিয়ে যায়নি। বিচারকদের নজরে পড়েছে। আরও কীভাবে ভালো করা যায় এই চিন্তা তখন থেকেই শুরু হয়।’
শাহীন বলেন, ‘২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও ভালো করতে পারিনি। পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে সেবার ভালো করে কাজ করতে পারিনি। তখন একটা জেদ তৈরি হয়। সেই থেকে তীব্র পরিশ্রম আর নিজের সৃজনশীলতাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে নেমে পড়ি। এবারে অনেক সময় নিয়ে ডিজাইন করেছি। এত পরিশ্রম করেছি যে অসুস্থ হয়ে তিন দিন হাসপাতালে ছিলাম। ডাক্তারের পরামর্শ ছিল সম্পূর্ণ বিশ্রামের। আমার এই পরিশ্রম আজ সার্থক হলো।’
সাফল্যের পেছনে পরিবারের ভূমিকাও আছে। শাহীন বলেন, ‘স্বামী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব—সবাই খুশি আমার এই সাফল্যে। তাদের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া আজ এত দূর আসা হতো না।’
ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করতে চান শাহীন আক্তার। পরিশ্রম আর সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে বহুদূর যেতে চান তিনি।
পাঁচ পাঁচটি পুরস্কার জিতে সেরাদের সেরা হওয়া শাহীনের প্রতিষ্ঠানের নাম মেহুলী বুটিকস। চূড়ান্ত পর্বে শাড়ি ‘খ’ এবং শাড়ি ‘গ’ বিভাগে প্রথম, শাড়ি ‘খ’ এবং সালোয়ার-কামিজ ‘খ’ বিভাগে তৃতীয় এবং সালোয়ার কামিজ ‘ক’ বিভাগে দ্বিতীয় হয়ে তিনি জিতে নেন সেরাদের সেরা পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে পাঁচটি ক্রেস্ট এবং নূরজাহানের দেওয়া উপহারসামগ্রী ছাড়াও একটি পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র পেয়েছেন তিনি।
সেরাদের সেরা হওয়া শাহীন আক্তার বলেন, ‘এতগুলো পুরস্কার পেয়ে আমি আসলে খুবই খুশি। নিজের প্রতি আমার আস্থা ছিল অন্তত তিনটি পুরস্কার পাবই। কিন্তু আমার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পেয়েছি!’
তাঁর কাছে এই সাফল্যের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্কুলজীবন থেকেই পোশাকে হাতের কাজ করার ঝোঁক। কেমন যেন একটা ভালোলাগা কাজ করত। আর এসব কাজের পেছনে ছিল আমার মায়ের অনুপ্রেরণা আর সহযোগিতা। আজ তিন বছর হলো মা নেই। আমার এই সাফল্য দেখে মা অনেক বেশি খুশি হতেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিজেকে যাচাই করতে ২০১০ সালে প্রথম এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। সেবার নিজের ডিজাইন করা চারটা কাপড় থেকে বাছাইপর্বে দুইটা কাপড় র্যাম্পের জন্য মনোনীত হয়। সেখান থেকে ফতুয়া (মেয়ে) বিভাগে তৃতীয় পুরস্কার পাই। ভালো লাগছিল এই ভেবে যে, এতগুলো কাপড়ের ভিড়ে আমার করা ডিজাইনের কাপড় হারিয়ে যায়নি। বিচারকদের নজরে পড়েছে। আরও কীভাবে ভালো করা যায় এই চিন্তা তখন থেকেই শুরু হয়।’
শাহীন বলেন, ‘২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও ভালো করতে পারিনি। পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে সেবার ভালো করে কাজ করতে পারিনি। তখন একটা জেদ তৈরি হয়। সেই থেকে তীব্র পরিশ্রম আর নিজের সৃজনশীলতাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে নেমে পড়ি। এবারে অনেক সময় নিয়ে ডিজাইন করেছি। এত পরিশ্রম করেছি যে অসুস্থ হয়ে তিন দিন হাসপাতালে ছিলাম। ডাক্তারের পরামর্শ ছিল সম্পূর্ণ বিশ্রামের। আমার এই পরিশ্রম আজ সার্থক হলো।’
সাফল্যের পেছনে পরিবারের ভূমিকাও আছে। শাহীন বলেন, ‘স্বামী-সন্তান, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব—সবাই খুশি আমার এই সাফল্যে। তাদের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া আজ এত দূর আসা হতো না।’
ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করতে চান শাহীন আক্তার। পরিশ্রম আর সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে বহুদূর যেতে চান তিনি।
No comments