হলিউড মুভি- আইস এজ ॥ কন্টিনেন্টাল ড্রিফ্ট

‘আইস এজ’ ছবি মানে সত্যিকারের সম্পূর্ণ বিনোদন। আর এর সত্যতা প্রমাণেই যেন গত ১৩ জুলাই ২০১২ আমেরিকার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ব্লুু স্কাই স্টুডিও এবং টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরী ফক্সের- আইস এজ এনিমেটেড ছবির ৪র্থ কিস্তি ‘আইস এজ : কন্টিনেন্টাল ড্রিফ্ট।’ সম্পূর্ণ থ্রি-ডি এনিমেটেড এই ছবিটি মুক্তির পর থেকেই আইস এজ সিরিজের


পূর্ববর্তী ছবিগুলোর মতো বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। ছবির শুরু সেই পুরনো তিন বিশ্বস্ত সহচর ম্যানি, সিড ও ডিয়েগোকে নিয়ে। ছবিতে দেখা যায় তারা যে মহাদেশে বসবাস করছে হঠাৎ একদিন সেটি দ্বিখ-িত হতে শুরু করে। আর হঠাৎ এরকম ঘটনায় তারা হতবিহবল হয়ে পড়ে। সবাই নিরাপদ স্থানে সরে যেতে থাকে। কিন্তু ম্যানি, সিড ও ডিয়েগো তাদের থেকে আলাদা হয়ে যায়। বাঁচার জন্য তারা একটি বিশাল বরফের চাইয়ের ওপর আশ্রয় নেয়। কিন্তু হঠাৎ করে তারা আবিষ্কার করে বরফের চাইটি তাদের সমুদ্র পথে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এমনই সময় তারা যখন স্থলভাগের খোঁজ করছে তখনই তাদের সঙ্গে দেখা হয় একদল জলদস্যুর। এই জলদস্যুদের নেতা এক গরিলা। নাম তার ক্যাপ্টেন গাট। বরফের তৈরি বিশাল এক জাহাজে চড়ে তার দলবল নিয়ে সমুদ্রে লুট করে বেড়ায়। গাট, ম্যানি, সিড ও ডিয়েগোকে বাধ্য করে তাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতে। এক পর্যায়ে জলদস্যু দলের এক সদস্য-শিরাকে, ডিয়েগো ভালবেসে ফেলে। শিরা, ডিয়েগোর জন্য জলদস্যুদের দল ছেড়ে দেয়। এক সময় তাদের দল স্থলভাগের দেখা পায়। তারা সেখানে আশ্রয় নেয়। এখানে তাদের সঙ্গে পরিচয হয় কাঠবিড়ালীদের মতো দেখতে এক ধরনের প্রাণীদের। ম্যানিদের দলের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব হয়। একদিকে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার বাসনা, আরেকদিকে জলদস্যুদের সঙ্গে যুদ্ধ সব মিলিয়ে পুরো ছবি জুড়ে রোমাঞ্চকর ও উত্তেজনাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন ছবির পরিচালকদ্বয় স্টিভ মার্টিনো এবং মাইক থার্মিয়ার। রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, প্রেম, হাস্যরস সব এমনভাবে তারা ঢেলে দিয়েছেন যে- এই ছবি দর্শককে থিয়েটারের পর্দার সামনে ছবি শেষ না পর্যন্ত ধরে রাখতে সক্ষম। ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট দৈর্ঘ্যরে এবং ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের এই এনিমেটেড ছবিটি মুক্তির পর থেকে হলিউড টপ চার্টের শীর্ষন্থানটি দখল করার পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ২৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে সক্ষম হয়েছে। ছবিটিতে উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন রয় রামানো (ম্যানি), জন লিগুইজমো (সিড), ড্যানিস ল্যারী (ডিয়েগো), কুইন লতিফা (এ্যালি), শন উইলিয়াম স্কট (ক্রাশ), জশ পেক (এডি), ক্রিস ওয়েজ (স্কাট), ক্যারেন ডিসার (স্ক্রাটি), জেনিফার লোপেজ (শিরা), পিটার ডিন্কলেজ (ক্যাপ্টেন গাট), কিকি পালমার (ম্যানি ও এ্যালির মেয়ে) এবং ওয়ান্ডা সাইকেস (সিডের দাদী) । পুরো ছবিটির চিত্রনাট্য তৈরিতে ছিলেন মাইকেল বার্গ, জেসন ফুক্স ও মাইক রিস এবং আবহ সঙ্গীত তৈরিতে ছিলেন জন পাওয়েল। গেমারদের জন্যও আছে সুখবর। ব্লু স্কাই স্টুডিও এবং টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরী ফক্স তাদের জন্য আইস এজ : কন্টিনেন্টাল ড্রিফ্ট ছবিটির গেমিং সংস্করণ বের করেছে। নিন্টেনডু, এক্স বক্স-৩৬০, নিন্টেনডু থ্রিডিএস, নিন্টেনডু ডিএস এবং উইই-তে এটি পাওয়া যাচ্ছে।
নাজিম খালেদ

No comments

Powered by Blogger.