দায় এড়াতে পারে না ক্ষমতাসীন দল-রাবিতে সোহেল হত্যা
পদ্মা সেতুর টাকা তোলা নিয়ে কথিত দ্বন্দ্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসান ওরফে সোহেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা হিংসাশ্রয়ী দলীয় ছাত্র অপরাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখা যাবে না। রেষারেষি ও টেন্ডার-চাঁদাবাজির যে রাজনীতি রাবি ছাত্রলীগকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল, সম্প্রতি তা আরও প্রকট রূপ নেয়।
সোহেল হত্যাকাণ্ড যে তারই পরিণতি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপে বিভক্ত। নিহত সোহেল সেক্রেটারি গ্রুপে ছিলেন। প্রায় আট মাস আগে ঢাকা থেকে চাপিয়ে দেওয়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ঘিরে উত্তেজনা চলছিল। গত ২৬ জুন একই অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিবাহিত ও বয়স্কদের সমন্বয়ে ১৫২ সদস্যের কথিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। বোধগম্য কারণেই এ ধরনের কমিটি সাধারণ কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কেন্দ্র থেকে যারা এ কমিটি চাপাল, তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের যৌক্তিকতাও প্রশ্নবিদ্ধ।
রাবি ক্যাম্পাসের সহিংসতায় রড, রামদা, পিস্তলের ব্যবহার আকাশ থেকে পড়েনি। পুলিশ যথারীতি পিস্তলযুদ্ধের পরে নিষ্ফল তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু শান্তিকালে এ ধরনের অস্ত্র উদ্ধারের তৎপরতা আর দেখা যায় না। এটা সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও তার ইজ্জত রক্ষার মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। অথচ বিরোধী ছাত্রসংগঠনের উপস্থিতিহীন ক্যাম্পাসে কারা অস্ত্রের মহড়া চালায়, তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অজানা নয়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীকে অনুশোচনা করতে দেখা যায় না।
রাবি ছাত্রলীগের প্রতিদ্বন্দ্বীরা গোলাগুলি করেছে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন দুই কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। এই হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের যে ১৪ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোহেল হত্যার বিহিত কতটুকু হবে, সেটা সত্যিই এক বড় প্রশ্ন। স্বাধীনতার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ২৩ খুনের বিচার না হওয়ার কৈফিয়ত ক্ষমতাসীনেরা নাইবা দিলেন। গত সাড়ে তিন বছরে চার ছাত্র খুনের বিচার না হওয়ার দায় তাঁরা এড়াবেন কী করে? শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ছাত্রলীগের কর্মী ফারুকের হত্যা মামলাসহ কোনোটির অভিযোগপত্র দাখিল না করাও রহস্যজনক। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা মার্জনা করা যায় না। ছেলেহারা বাবা-মায়েরা জনস্বার্থে উচ্চ আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন। প্রশ্ন থাকবে, কেন তাঁরা বিচারবঞ্চিত?
অন্যদিকে আমরা দেখি, বিএনপি-জামায়াতসমর্থিত জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম বুধবার রাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিবাদ অবশ্যই হতে হবে। কিন্তু ছাত্রদের পড়াশোনার ক্ষতি করে—এ প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য নয়। উপরন্তু ক্যাম্পাসে ফোরামবাজি করে সম্মানিত শিক্ষকেরা নানা সুযোগ-সুবিধা আদায় করলেও শিক্ষার যে দুর্গতি বাড়াচ্ছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পদ্মা সেতুর টাকা তোলার দ্বন্দ্বে সোহেল খুন হয়েছেন কি না, সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। তবে রাবির ভিসি স্বয়ং ৫০০ টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর বিষয়ে ক্যাম্পাসভিত্তিক চাঁদা সংগ্রহের যে অভিযান শুরু করেছেন, তা আমরা গ্রহণযোগ্য মনে করি না।
রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপে বিভক্ত। নিহত সোহেল সেক্রেটারি গ্রুপে ছিলেন। প্রায় আট মাস আগে ঢাকা থেকে চাপিয়ে দেওয়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ঘিরে উত্তেজনা চলছিল। গত ২৬ জুন একই অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিবাহিত ও বয়স্কদের সমন্বয়ে ১৫২ সদস্যের কথিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। বোধগম্য কারণেই এ ধরনের কমিটি সাধারণ কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কেন্দ্র থেকে যারা এ কমিটি চাপাল, তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের যৌক্তিকতাও প্রশ্নবিদ্ধ।
রাবি ক্যাম্পাসের সহিংসতায় রড, রামদা, পিস্তলের ব্যবহার আকাশ থেকে পড়েনি। পুলিশ যথারীতি পিস্তলযুদ্ধের পরে নিষ্ফল তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু শান্তিকালে এ ধরনের অস্ত্র উদ্ধারের তৎপরতা আর দেখা যায় না। এটা সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও তার ইজ্জত রক্ষার মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। অথচ বিরোধী ছাত্রসংগঠনের উপস্থিতিহীন ক্যাম্পাসে কারা অস্ত্রের মহড়া চালায়, তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অজানা নয়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীকে অনুশোচনা করতে দেখা যায় না।
রাবি ছাত্রলীগের প্রতিদ্বন্দ্বীরা গোলাগুলি করেছে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন দুই কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। এই হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের যে ১৪ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোহেল হত্যার বিহিত কতটুকু হবে, সেটা সত্যিই এক বড় প্রশ্ন। স্বাধীনতার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ২৩ খুনের বিচার না হওয়ার কৈফিয়ত ক্ষমতাসীনেরা নাইবা দিলেন। গত সাড়ে তিন বছরে চার ছাত্র খুনের বিচার না হওয়ার দায় তাঁরা এড়াবেন কী করে? শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ছাত্রলীগের কর্মী ফারুকের হত্যা মামলাসহ কোনোটির অভিযোগপত্র দাখিল না করাও রহস্যজনক। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা মার্জনা করা যায় না। ছেলেহারা বাবা-মায়েরা জনস্বার্থে উচ্চ আদালতে প্রতিকার চাইতে পারেন। প্রশ্ন থাকবে, কেন তাঁরা বিচারবঞ্চিত?
অন্যদিকে আমরা দেখি, বিএনপি-জামায়াতসমর্থিত জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম বুধবার রাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিবাদ অবশ্যই হতে হবে। কিন্তু ছাত্রদের পড়াশোনার ক্ষতি করে—এ প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য নয়। উপরন্তু ক্যাম্পাসে ফোরামবাজি করে সম্মানিত শিক্ষকেরা নানা সুযোগ-সুবিধা আদায় করলেও শিক্ষার যে দুর্গতি বাড়াচ্ছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পদ্মা সেতুর টাকা তোলার দ্বন্দ্বে সোহেল খুন হয়েছেন কি না, সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। তবে রাবির ভিসি স্বয়ং ৫০০ টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর বিষয়ে ক্যাম্পাসভিত্তিক চাঁদা সংগ্রহের যে অভিযান শুরু করেছেন, তা আমরা গ্রহণযোগ্য মনে করি না।
No comments