নূরজাহান আলোকিত ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতা ২০১২-বৈচিত্র্যময় ফ্যাশনের বর্ণিল আয়োজন
স্বপ্নপুরীতে একঝাঁক ডানাকাটা খুদে পরী। যেন স্বর্গীয় দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ল আলো ঝলমলে মঞ্চে। হেলেদুলে হেঁটে এল র্যাম্পের শেষ প্রান্তে। ফোকলা দাঁতের ভুবনজয়ী হাসি দিয়ে ছুড়ল উড়ালচুম্বন। ততক্ষণে মিলনায়তনজুড়ে হর্ষধ্বনি, করতালির ঢেউ। করতালি আর অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসল শিশুরা।
নূরজাহান-আলোকিত ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতায় এবারও মুগ্ধতার আবেশ ছড়াল শিশুদের কিউ। গত সোমবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বসেছিল চট্টগ্রামের ফ্যাশন-জগতের সবচেয়ে বড় এ আয়োজনের ১৪তম আসর। প্রথম আলোর আয়োজনে ১২ ক্যাটাগরিতে অংশ নেন চট্টগ্রামের ফ্যাশন ডিজাইনাররা।
শ্রাবণধারায় ঈদের আগমনী বারতা নিয়ে আসা অনুষ্ঠানে এবার ছিল ভিন্নতা। উপস্থাপকের ভূমিকায় এলেন জাদুকর রাজীব বসাক। শোনালেন বাজারে গিয়ে ফুল না পাওয়ার গল্প। অগত্যা কী করা—জাদুর মন্ত্রে আনলেন লাল গোলাপ। দর্শকদের লাল গোলাপ শুভেচ্ছা দিয়েই উত্থাপন করলেন মূল আয়োজনের কথা। প্রথমে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যা কিছু ভালো তার সঙ্গে প্রথম আলো। পত্রিকা প্রকাশের পাশাপাশি প্রথম আলো নানা সামাজিক কাজও করে চলেছে। তেমনি চট্টগ্রামের ফ্যাশন ডিজাইনারদের জন্য তৈরি করেছে এ প্ল্যাটফর্ম। উদ্ভাবনী শক্তিতে এখান থেকে উঠে এসেছেন অনেক ডিজাইনার। আমরা চাই চট্টগ্রামের ডিজাইনারদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ুক সারা দেশে। সবাই জানুক চট্টগ্রামের মানুষ কতটা ফ্যাশন-সচেতন।’
‘আমার পরান যাহা চায়’ রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে বাঙালির চিরায়ত পোশাক শাড়ি দিয়ে শুরু হয় কিউ। এ ছাড়া ছেলে ও মেয়েদের ফতুয়ার কিউতে ‘চল চল চল’ নজরুলসংগীতের মাধ্যমে ক্যাটওয়াক বাঙালিয়ানার ষোলকলা পূর্ণ করে। একে একে চলে পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, যুগল, ফিউশন ও বাচ্চাদের পোশাকের প্রদর্শনী। প্রতিটি কিউই ছিল উপভোগ্য। দেশি পোশাকে অভিজাত নকশার বুনন মন কেড়ে নেয়।
ক্যাটওয়াকের ফাঁকে ফাঁকে চলে নাচ, গান কথামালা আর জাদুর মায়া। এবারের আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী। চট্টগ্রামকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ফ্যাশন ডিজাইনারদের কাজ এখন আন্তর্জাতিক মানের। তাঁরা আর পিছিয়ে নেই। স্বদেশ ছাপিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে তাঁদের খ্যাতি। এর মূলে রয়েছে ডিজাইনারদের সৃজনশীলতা আর এই স্বীকৃতির প্ল্যাটফর্ম, যা করে দিয়েছে প্রথম আলো।’ অনুভূতি জানান স্পনসর প্রতিষ্ঠান নূরজাহান গ্রুপের উপমহাব্যবস্থাপক (বিপণন) কাজী মোতাহের হোসেন। চট্টগ্রামকে তুলে ধরার এ ধরনের উদ্যোগে আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহের কথা জানান তিনি।
ফ্যাশন ডিজাইনাররা সারা বছর মুখিয়ে থাকেন এ অনুষ্ঠানের জন্য। নিজেদের কাজের মান যাচাই এবং দক্ষ করে তোলার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেন এ প্রতিযোগিতাকে। এবার প্রথম এসে তরুণ ডিজাইনার কানিজ ফাতেমার কণ্ঠেও এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। তিনি বলেন, ‘ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ওপর কোর্স করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিলাম। পুরস্কার না পেলেও প্রথমবার এসেই আমার পোশাক যে বাছাইয়ে উঠেছে, তা আমার জন্য বড় পাওয়া। এটিই আমার এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্রণা।’ আরেক ডিজাইনার হারুনুর রহমান বলেন, ‘প্রথম আলোর এ আয়োজন আমাদের জন্য প্রেরণা।’ শুধুই কি ডিজাইনাররা, ফ্যাশন-সচেতন তরুণ-তরুণী থেকে গৃহিণী সবাই অপেক্ষায় থাকেন এ আয়োজনের। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্রী তাসনুভা পারভীন বলেন, ‘ধার করা ফ্যাশনের দিন শেষ। এখন ভরসা নিজেদের ওপর। ঈদে কী ধরনের ফ্যাশন চলবে, তার আগাম ধারণা পাওয়া যায় এখানে।’ এভাবেই ঘুরে ঘড়ির কাঁটা। অবশেষে ডিজাইনারদের চাপা উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে ঘোষণা করা হয় সেরাদের নাম। ১২ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জেতেন ২৪ জন ডিজাইনার।
শ্রাবণধারায় ঈদের আগমনী বারতা নিয়ে আসা অনুষ্ঠানে এবার ছিল ভিন্নতা। উপস্থাপকের ভূমিকায় এলেন জাদুকর রাজীব বসাক। শোনালেন বাজারে গিয়ে ফুল না পাওয়ার গল্প। অগত্যা কী করা—জাদুর মন্ত্রে আনলেন লাল গোলাপ। দর্শকদের লাল গোলাপ শুভেচ্ছা দিয়েই উত্থাপন করলেন মূল আয়োজনের কথা। প্রথমে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যা কিছু ভালো তার সঙ্গে প্রথম আলো। পত্রিকা প্রকাশের পাশাপাশি প্রথম আলো নানা সামাজিক কাজও করে চলেছে। তেমনি চট্টগ্রামের ফ্যাশন ডিজাইনারদের জন্য তৈরি করেছে এ প্ল্যাটফর্ম। উদ্ভাবনী শক্তিতে এখান থেকে উঠে এসেছেন অনেক ডিজাইনার। আমরা চাই চট্টগ্রামের ডিজাইনারদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ুক সারা দেশে। সবাই জানুক চট্টগ্রামের মানুষ কতটা ফ্যাশন-সচেতন।’
‘আমার পরান যাহা চায়’ রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে বাঙালির চিরায়ত পোশাক শাড়ি দিয়ে শুরু হয় কিউ। এ ছাড়া ছেলে ও মেয়েদের ফতুয়ার কিউতে ‘চল চল চল’ নজরুলসংগীতের মাধ্যমে ক্যাটওয়াক বাঙালিয়ানার ষোলকলা পূর্ণ করে। একে একে চলে পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, যুগল, ফিউশন ও বাচ্চাদের পোশাকের প্রদর্শনী। প্রতিটি কিউই ছিল উপভোগ্য। দেশি পোশাকে অভিজাত নকশার বুনন মন কেড়ে নেয়।
ক্যাটওয়াকের ফাঁকে ফাঁকে চলে নাচ, গান কথামালা আর জাদুর মায়া। এবারের আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী। চট্টগ্রামকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ফ্যাশন ডিজাইনারদের কাজ এখন আন্তর্জাতিক মানের। তাঁরা আর পিছিয়ে নেই। স্বদেশ ছাপিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে তাঁদের খ্যাতি। এর মূলে রয়েছে ডিজাইনারদের সৃজনশীলতা আর এই স্বীকৃতির প্ল্যাটফর্ম, যা করে দিয়েছে প্রথম আলো।’ অনুভূতি জানান স্পনসর প্রতিষ্ঠান নূরজাহান গ্রুপের উপমহাব্যবস্থাপক (বিপণন) কাজী মোতাহের হোসেন। চট্টগ্রামকে তুলে ধরার এ ধরনের উদ্যোগে আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহের কথা জানান তিনি।
ফ্যাশন ডিজাইনাররা সারা বছর মুখিয়ে থাকেন এ অনুষ্ঠানের জন্য। নিজেদের কাজের মান যাচাই এবং দক্ষ করে তোলার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেন এ প্রতিযোগিতাকে। এবার প্রথম এসে তরুণ ডিজাইনার কানিজ ফাতেমার কণ্ঠেও এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। তিনি বলেন, ‘ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ওপর কোর্স করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিলাম। পুরস্কার না পেলেও প্রথমবার এসেই আমার পোশাক যে বাছাইয়ে উঠেছে, তা আমার জন্য বড় পাওয়া। এটিই আমার এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্রণা।’ আরেক ডিজাইনার হারুনুর রহমান বলেন, ‘প্রথম আলোর এ আয়োজন আমাদের জন্য প্রেরণা।’ শুধুই কি ডিজাইনাররা, ফ্যাশন-সচেতন তরুণ-তরুণী থেকে গৃহিণী সবাই অপেক্ষায় থাকেন এ আয়োজনের। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্রী তাসনুভা পারভীন বলেন, ‘ধার করা ফ্যাশনের দিন শেষ। এখন ভরসা নিজেদের ওপর। ঈদে কী ধরনের ফ্যাশন চলবে, তার আগাম ধারণা পাওয়া যায় এখানে।’ এভাবেই ঘুরে ঘড়ির কাঁটা। অবশেষে ডিজাইনারদের চাপা উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে ঘোষণা করা হয় সেরাদের নাম। ১২ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জেতেন ২৪ জন ডিজাইনার।
No comments