এইচএসসির ফল-সুগম হোক উচ্চশিক্ষার পথ
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। উন্নতির ধারাবাহিকতায় এবারও আগের বছরের চেয়ে ভালো ফল হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। গত এপ্রিলে শুরু হয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ হয় মে মাসে।
এরপর শিক্ষার্থীদের অপেক্ষার পালা শুরু হয়। সে অপেক্ষার দিন শেষ হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে কাঙ্ক্ষিত ফল।
দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম ও কারিগরি বোর্ডের এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৭৮.৬৭ শতাংশ। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ৯ লাখ ২৬ হাজার ৮১৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে সাত লাখ ২১ হাজার ৯৭৯ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার ও জিপিএ ৫ দুটোই বেড়েছে। গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৫.০৮ শতাংশ। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬১ হাজার ১৬২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৩৯ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থী। এবার দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৬.৫০ শতাংশ। আর জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫১ হাজার ৪৬৯ জন শিক্ষার্থী। পাসের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। এ বছর মেয়েদের পাসের হার ৭৯.১৯ এবং ছেলেদের পাসের হার ৭৮.২৩ শতাংশ। এবার পাসের হার ঢাকা বোর্ডে ৮১.৮৯, চট্টগ্রামে ৭২.২৯, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮.৪৪, সিলেটে ৮৫.৩৭, বরিশালে ৬৬.৯৮, কুমিল্লায় ৭৪.৫৬, যশোরে ৬৭.৮৭, দিনাজপুরে ৭৫.৪১ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডে ৯১.৭৭ ও কারিগরি বোর্ডে ৮৪.৩২ শতাংশ।
আজ কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে পারা শিক্ষার্থীদের হাস্যোজ্জ্বল ছবি যেমন দেখা যাচ্ছে, তেমনি কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে না পারা অনেক শিক্ষার্থীও আছে। তবে পরীক্ষার ফলের ওপর যে মেধা নির্ভর করে না, সেটা এখন নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার ও জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু তাতে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার কোনো অবকাশ নেই। সংখ্যা নয়, শিক্ষার মান বেড়েছে, এ নিশ্চয়তা কি দিতে পারছি আমরা? উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যার ওপর কি নির্ভর করছে শিক্ষার মান? এসব প্রশ্নই এখন মুখ্য। পাসের হার কিংবা অধিক জিপিএ যখন পরবর্তী উচ্চশিক্ষার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যায়, তখনই হতাশাব্যঞ্জক চেহারাটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আজ যারা এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলো, তাদের প্রত্যেকের চিন্তা এখন পরবর্তী উচ্চশিক্ষা নিয়ে। এই শিক্ষার্থীদের এখন অবতীর্ণ হতে হবে আরেক যুদ্ধে। উচ্চশিক্ষার ভর্তিযুদ্ধে টিকে থাকাটাই এখন অধিকতর কঠিন কাজ। এসএসসি ও এইচএসসির ভালো ফলের পাশাপাশি ভর্তিযুদ্ধে এ শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ হওয়াটাই এখন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ। এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফল করার পরও অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের পছন্দের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ভর্তি হতে পারে না। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হতে না পেরে অনেককেই হতাশায় ভুগতে দেখা যায়। অনেকের কর্মজীবনে প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন ব্যাহত হয়। অনেকের শিক্ষাজীবন এইচএসসিতেই শেষ হয়ে যায়। প্রথম শ্রেণী থেকে উচ্চশিক্ষার স্তর পর্যন্ত শত ভাগ শিক্ষার্থীকে ধরে রাখার কৃতিত্ব আমাদের অর্জন করতে হবে। সেই সঙ্গে অধিক সংখ্যক উত্তীর্ণ ও অধিক জিপিএ ৫-এর পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষার মান। মুখস্থ বিদ্যা নয়, মেধার প্রকাশ ঘটবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়- এটাই এখন আমাদের আশা।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আমরা অভিনন্দন জানাই। শিক্ষাজীবনের পরবর্তী স্তরেও তাদের সাফল্য কামনা করি আমরা। অন্যদিকে যারা এবার উত্তীর্ণ হতে পারেনি বা যাদের ফল আশানুরূপ হয়নি, তাদের জন্য আমরা বলতে চাই, এটাই জীবনের শেষ পরীক্ষা নয়। আগামী দিনে তারা নিশ্চয় তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারবে।
দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম ও কারিগরি বোর্ডের এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৭৮.৬৭ শতাংশ। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ৯ লাখ ২৬ হাজার ৮১৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে সাত লাখ ২১ হাজার ৯৭৯ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার ও জিপিএ ৫ দুটোই বেড়েছে। গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৫.০৮ শতাংশ। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬১ হাজার ১৬২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৩৯ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থী। এবার দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৬.৫০ শতাংশ। আর জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫১ হাজার ৪৬৯ জন শিক্ষার্থী। পাসের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। এ বছর মেয়েদের পাসের হার ৭৯.১৯ এবং ছেলেদের পাসের হার ৭৮.২৩ শতাংশ। এবার পাসের হার ঢাকা বোর্ডে ৮১.৮৯, চট্টগ্রামে ৭২.২৯, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮.৪৪, সিলেটে ৮৫.৩৭, বরিশালে ৬৬.৯৮, কুমিল্লায় ৭৪.৫৬, যশোরে ৬৭.৮৭, দিনাজপুরে ৭৫.৪১ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডে ৯১.৭৭ ও কারিগরি বোর্ডে ৮৪.৩২ শতাংশ।
আজ কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে পারা শিক্ষার্থীদের হাস্যোজ্জ্বল ছবি যেমন দেখা যাচ্ছে, তেমনি কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে না পারা অনেক শিক্ষার্থীও আছে। তবে পরীক্ষার ফলের ওপর যে মেধা নির্ভর করে না, সেটা এখন নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার ও জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু তাতে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার কোনো অবকাশ নেই। সংখ্যা নয়, শিক্ষার মান বেড়েছে, এ নিশ্চয়তা কি দিতে পারছি আমরা? উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যার ওপর কি নির্ভর করছে শিক্ষার মান? এসব প্রশ্নই এখন মুখ্য। পাসের হার কিংবা অধিক জিপিএ যখন পরবর্তী উচ্চশিক্ষার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যায়, তখনই হতাশাব্যঞ্জক চেহারাটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আজ যারা এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলো, তাদের প্রত্যেকের চিন্তা এখন পরবর্তী উচ্চশিক্ষা নিয়ে। এই শিক্ষার্থীদের এখন অবতীর্ণ হতে হবে আরেক যুদ্ধে। উচ্চশিক্ষার ভর্তিযুদ্ধে টিকে থাকাটাই এখন অধিকতর কঠিন কাজ। এসএসসি ও এইচএসসির ভালো ফলের পাশাপাশি ভর্তিযুদ্ধে এ শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ হওয়াটাই এখন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ। এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফল করার পরও অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের পছন্দের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ভর্তি হতে পারে না। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হতে না পেরে অনেককেই হতাশায় ভুগতে দেখা যায়। অনেকের কর্মজীবনে প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন ব্যাহত হয়। অনেকের শিক্ষাজীবন এইচএসসিতেই শেষ হয়ে যায়। প্রথম শ্রেণী থেকে উচ্চশিক্ষার স্তর পর্যন্ত শত ভাগ শিক্ষার্থীকে ধরে রাখার কৃতিত্ব আমাদের অর্জন করতে হবে। সেই সঙ্গে অধিক সংখ্যক উত্তীর্ণ ও অধিক জিপিএ ৫-এর পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষার মান। মুখস্থ বিদ্যা নয়, মেধার প্রকাশ ঘটবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়- এটাই এখন আমাদের আশা।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আমরা অভিনন্দন জানাই। শিক্ষাজীবনের পরবর্তী স্তরেও তাদের সাফল্য কামনা করি আমরা। অন্যদিকে যারা এবার উত্তীর্ণ হতে পারেনি বা যাদের ফল আশানুরূপ হয়নি, তাদের জন্য আমরা বলতে চাই, এটাই জীবনের শেষ পরীক্ষা নয়। আগামী দিনে তারা নিশ্চয় তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারবে।
No comments