মার্শাল পদ গ্রহণ করলেন কিম জং উন

উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ ‘মার্শাল’ পদ কিম জং উনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে তাঁর প্রয়াত বাবা ও সাবেক নেতা কিম জং ইলও এই পদে ছিলেন। পিয়ংইয়ং গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিজের নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।


উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে সেনাপ্রধানের পদ থেকে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রি ইয়ং হোকে অপসারণ ও এর এক দিন পর ভাইস মার্শাল পদে তুলনামূলক স্বল্প পরিচিত হিয়ন ইয়ং চোকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ভাইস মার্শাল পদে নিয়োগের ফলে হিয়ন ইয়ংয়ের সেনাপ্রধান হওয়ার পথ সুগম হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, কোরিয়ান পিপলস আর্মির সর্বোচ্চ কমান্ডার কিম জং উনকে উত্তর কোরিয়ার মার্শাল পদে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার শীর্ষ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল ছাড়াও তাঁর দাদা ও উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং এই পদে ছিলেন।
বিশ্লেষকেরা বলেন, পূর্বসূরিদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে মার্শাল পদটি গ্রহণের মধ্য দিয়ে কিম জং উন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চাইছেন। একই সঙ্গে এ পদক্ষেপ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আঁকড়ে রাখারও একটি লক্ষণ।
সেজং ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক চেয়ং সেয়ং চ্যাং বলেন, গত সোমবার হিয়ন ইয়ং চোকে ভাইস মার্শাল পদে উন্নীত করে দৃশ্যত কিম জং উন সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার হিসেবে নতুন একটি পদবি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলেন। ইতিপূর্বে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে জং উন জেনারেল পদ গ্রহণ করেন।
চেয়ং সেয়ং চ্যাং আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দল ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ সব পদে বসার পর জং উনের জন্য এ পদটি গ্রহণ করাই কেবল অবশিষ্ট ছিল। এএফপি ও বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.