নাগরিক শোকসভা-মাজহারুল ইসলামের ভাবনার কেন্দ্রে ছিল দেশ ও মানুষ
‘দেশেকে তিনি সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সাজাতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন দেশের সব মানুষ সমতার ভিত্তিতে সমান অধিকার ও সুযোগ নিয়ে বেঁচে থাক। অনেক বড় মাপের স্থপতি ছিলেন তিনি। তবে তাঁর দেশপ্রেম ছিল আরও বড় মাপের। সব ভাবনার কেন্দ্রে ছিল দেশ ও দেশের মানুষ।
তাঁর এই আদর্শের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই তাঁর প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে ।’ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরে দেশের পথিকৃৎ স্থপতি মুক্তিযোদ্ধা মাজহারুল ইসলামের নাগরিক শোকসভায় বক্তারা তাঁর সম্পর্কে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট এই নাগরিক শোকসভার আয়োজন করে।
সভায় প্রথাগতভাবে কোনো সভাপতি বা বিশেষ অতিথি ছিলেন না। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সভার কাজ শুরু হয়। স্থপতি শামসুল ওয়ারেস আলোচনার সূত্রপাত করেন। তিনি স্থপতি মাজহারুল ইসালমকে গত শতকের পঞ্চশ-ষাট দশকে পূর্ব পাকিস্তানের ‘রেনাসাঁ মানব’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
লেখক সৈয়দ শামসুল হক বলেন, তিনি মৃত্যুকে জয় করে অমরত্বের স্বর্ণ আসনে পৌঁছে গেছেন। স্থাপত্যশিল্পের এই মহান প্রবর্তক আলো ও বাতাসকে তাঁর কাজের মধ্যে আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লা তাঁর সঙ্গে কাজ করার দীর্ঘদিনের স্মৃতিচারণা করে বলেন, তিনি সুকুমার শিল্পকলার সব শাখা সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন।
শিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীর তাঁর ব্যক্তিগত জীবনাচার সম্পর্কে আলোকপাত করে বলেন, অত্যন্ত প্রাণবন্ত, উদ্দীপনাময় সহূদয় ব্যক্তিত্ব ছিল তাঁর।
জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক প্রকাশ চন্দ্র দাশ বলেন, জাদুঘর পরিচালনা পর্ষদের দুই মেয়াদে তিনি সদস্য ছিলেন। এ সময় তিনি পর্ষদের ৯০ ভাগ সভায় উপস্থিত থেকে মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন।
শিল্পী হাশেম খান বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রকৃতি এবং জনজীবনের ষড়ঋতুর প্রভাব সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। তাঁর সব স্থাপত্যকর্মে এই ঋতু-প্রকৃতির প্রভাব এবং তাঁর সমন্বয়ের বিষয়টি রয়েছে।’
অভিনয়শিল্পী আলী যাকের বলেন, ‘আমাদের মাথার ওপর সব সময় তাঁর একটি প্রসারিত হাত ছিল। আমরা নির্ভরতা বোধ করতাম। সেই হাতটি সরে গেছে।’
মফিদুল হক ১৯৬৯ এবং ’৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পরে ত্রাণ তৎপরতায় তাঁর উদ্যোগী ভূমিকার স্মৃতিচারণা করে বলেন, তিনি ছিলেন গভীর মানবিকবোধে পরিপূর্ণ এক মানুষ। তাঁর বাড়িটি ছিল সে সময় বাম রাজনীতির অনেক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র।
পরিবারের পক্ষে তাঁর মেয়ে রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ডালিয়া নওশীন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে পিতৃস্মৃতিচারণা করেন। তিনি স্থপতি মাজহারুল ইসলামের কাজগুলো সংরক্ষণের আহ্বান জানান।
স্থপতি খালেদ আশরাফ বলেন, তাঁর নানামুখী ব্যক্তিত্বকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
স্থপতি রাবিউল হুসাইন জাতীয় সংসদ ভবন তথা শেরেবাংলা নগরের স্থাপনার কাজ তিনি নিজে না করে কী করে স্থপতি লুই আই কানকে দিয়ে করিয়েছিলেন সেই বিষয়টি সবিস্তারে তুলে ধরেন।
এ ছাড়া আলোচনা করেন স্থপতি ইকবাল হাবিব, নাবিলা বিনতে নাসির। সমাপনী বক্তবে স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, তাঁর স্থাপনা কর্মের অনেকগুলোই নষ্ট হচ্ছে। তাঁকে সত্যিকারের শ্রদ্ধা জানাতে হালে তাঁর কাজকে সংরক্ষণ করতে হবে।
আলোচনা পর্বের আগে স্থপতি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে স্থপতি মাজহারুল ইসলামের জীবন ও কর্মের ওপর এনামুল কবিরের নির্মিত তিনি প্রামাণ্যচিত্রটি দেখানো হয়।
সভায় প্রথাগতভাবে কোনো সভাপতি বা বিশেষ অতিথি ছিলেন না। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সভার কাজ শুরু হয়। স্থপতি শামসুল ওয়ারেস আলোচনার সূত্রপাত করেন। তিনি স্থপতি মাজহারুল ইসালমকে গত শতকের পঞ্চশ-ষাট দশকে পূর্ব পাকিস্তানের ‘রেনাসাঁ মানব’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
লেখক সৈয়দ শামসুল হক বলেন, তিনি মৃত্যুকে জয় করে অমরত্বের স্বর্ণ আসনে পৌঁছে গেছেন। স্থাপত্যশিল্পের এই মহান প্রবর্তক আলো ও বাতাসকে তাঁর কাজের মধ্যে আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লা তাঁর সঙ্গে কাজ করার দীর্ঘদিনের স্মৃতিচারণা করে বলেন, তিনি সুকুমার শিল্পকলার সব শাখা সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন।
শিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীর তাঁর ব্যক্তিগত জীবনাচার সম্পর্কে আলোকপাত করে বলেন, অত্যন্ত প্রাণবন্ত, উদ্দীপনাময় সহূদয় ব্যক্তিত্ব ছিল তাঁর।
জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক প্রকাশ চন্দ্র দাশ বলেন, জাদুঘর পরিচালনা পর্ষদের দুই মেয়াদে তিনি সদস্য ছিলেন। এ সময় তিনি পর্ষদের ৯০ ভাগ সভায় উপস্থিত থেকে মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন।
শিল্পী হাশেম খান বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রকৃতি এবং জনজীবনের ষড়ঋতুর প্রভাব সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। তাঁর সব স্থাপত্যকর্মে এই ঋতু-প্রকৃতির প্রভাব এবং তাঁর সমন্বয়ের বিষয়টি রয়েছে।’
অভিনয়শিল্পী আলী যাকের বলেন, ‘আমাদের মাথার ওপর সব সময় তাঁর একটি প্রসারিত হাত ছিল। আমরা নির্ভরতা বোধ করতাম। সেই হাতটি সরে গেছে।’
মফিদুল হক ১৯৬৯ এবং ’৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পরে ত্রাণ তৎপরতায় তাঁর উদ্যোগী ভূমিকার স্মৃতিচারণা করে বলেন, তিনি ছিলেন গভীর মানবিকবোধে পরিপূর্ণ এক মানুষ। তাঁর বাড়িটি ছিল সে সময় বাম রাজনীতির অনেক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র।
পরিবারের পক্ষে তাঁর মেয়ে রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ডালিয়া নওশীন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে পিতৃস্মৃতিচারণা করেন। তিনি স্থপতি মাজহারুল ইসলামের কাজগুলো সংরক্ষণের আহ্বান জানান।
স্থপতি খালেদ আশরাফ বলেন, তাঁর নানামুখী ব্যক্তিত্বকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
স্থপতি রাবিউল হুসাইন জাতীয় সংসদ ভবন তথা শেরেবাংলা নগরের স্থাপনার কাজ তিনি নিজে না করে কী করে স্থপতি লুই আই কানকে দিয়ে করিয়েছিলেন সেই বিষয়টি সবিস্তারে তুলে ধরেন।
এ ছাড়া আলোচনা করেন স্থপতি ইকবাল হাবিব, নাবিলা বিনতে নাসির। সমাপনী বক্তবে স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, তাঁর স্থাপনা কর্মের অনেকগুলোই নষ্ট হচ্ছে। তাঁকে সত্যিকারের শ্রদ্ধা জানাতে হালে তাঁর কাজকে সংরক্ষণ করতে হবে।
আলোচনা পর্বের আগে স্থপতি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে স্থপতি মাজহারুল ইসলামের জীবন ও কর্মের ওপর এনামুল কবিরের নির্মিত তিনি প্রামাণ্যচিত্রটি দেখানো হয়।
No comments