আবার ছাত্র হত্যা
আবার মায়ের বুক খালি হলো। পিতার কাঁধে চাপল সন্তানের লাশ। যে সন্তানকে পিতামাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন লেখাপাড়া শিখে মানুষ হওয়ার জন্য। কিন্তু অপরাজনীতির শিকার হয়ে লাশ হয়ে ফিরতে হলো তাকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল হাসান সোহেল রানার মৃত্যুকে কোন্ ভাষা বর্ণনা করব।
কেন একজন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরতে হবে? কে দেবে এর উত্তর?
রবিবার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মারাত্মক আহত হন রানা। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার তার মৃত্যু হয়।
রানা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন্দলের জের ধরে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হলে রানা মারাত্মক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আমরা ভেবে পাই না ছাত্র রাজনীতির নামে এভাবে আর কত বেপরোয়া সন্ত্রাস চলবে? কত ছাত্রকে এভাবে জীবন দিতে হবে। বার বার হুঁশিয়ার করার পরও ছাত্রলীগকে কেন সামলানো যাচ্ছে না। ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির কিছু নেতাকর্মী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যা করছে তা কিছুতেই ছাত্রলীগের ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আসলে অপরাধ করে পার পেয়ে গেলে তার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকে। এমনকি হত্যা-খুনের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থেকেও অপরাধীরা রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক ক্ষেত্রে পার পেয়ে যায়। আর এসব কারণেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। খুনের বিচার না হওয়াটা আইনের প্রতি দায়বদ্ধ কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অকল্পনীয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের দেশে বিশেষ করে ছাত্র হত্যার কোন বিচার হয় না বললেই চলে। প্রতিটি ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। নিয়মমাফিক মামলাও হয়। কিন্তু এরপর কিছুদিন পরই তা হিমাগারে চলে যায়। রাজনৈতিক খুনোখুনি রাজনৈতিক ডামাডোলেই হারিয়ে যায়। নিহত ছাত্রের স্বজনরা ন্যায় বিচার না পাবার বেদনাকে তাদের নিয়তি হিসেবে মেনে নেয়। রাবির হত্যাকা-ে নিহত ছাত্রের বাবা যেমনটি বলেছেন, তিনি হত্যার বিচার চান না, এজন্য কোন মামলাও করবেন না। কারণ অতীত ইতিহাসটা তো তার ভাল করেই জানা আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হত্যার ঘটনা নতুন নয়। সামরিক সরকারগুলো তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করতে শুরু করে। এরপর থেকেই ছাত্র রাজনীতি তার আদর্শিক অবস্থান হারাতে থাকে। ছাত্র রাজনীতির নামে কেউ কেউ বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়ে যায় রাতারাতি। স্বৈরশাসনের অবসান হলেও ছাত্র রাজনীতির সেই কলঙ্কজনক ধারাটি রয়ে যায়। যার ফলে এখনও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সন্ত্রাসমুক্ত করা যাচ্ছে না।
ছাত্র নেতাদের মনে রাখতে হবে হত্যা-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি তাদের কাজ নয়। একটি আদর্শভিত্তিক সংগঠনকে আদর্শ দ্বারাই পরিচালিত হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে কঠোর ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। রাজশাহীর ঘটনায় ৮ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু এতেই শেষ হলে চলবে না। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ব্যাপারে তৎপর হতে হবে। এ ধরনের অপমৃত্যুর পুনরাবৃত্তি কেউ দেখতে চায় না।
রবিবার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মারাত্মক আহত হন রানা। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার তার মৃত্যু হয়।
রানা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন্দলের জের ধরে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হলে রানা মারাত্মক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আমরা ভেবে পাই না ছাত্র রাজনীতির নামে এভাবে আর কত বেপরোয়া সন্ত্রাস চলবে? কত ছাত্রকে এভাবে জীবন দিতে হবে। বার বার হুঁশিয়ার করার পরও ছাত্রলীগকে কেন সামলানো যাচ্ছে না। ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির কিছু নেতাকর্মী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যা করছে তা কিছুতেই ছাত্রলীগের ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আসলে অপরাধ করে পার পেয়ে গেলে তার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকে। এমনকি হত্যা-খুনের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থেকেও অপরাধীরা রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক ক্ষেত্রে পার পেয়ে যায়। আর এসব কারণেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। খুনের বিচার না হওয়াটা আইনের প্রতি দায়বদ্ধ কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অকল্পনীয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের দেশে বিশেষ করে ছাত্র হত্যার কোন বিচার হয় না বললেই চলে। প্রতিটি ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। নিয়মমাফিক মামলাও হয়। কিন্তু এরপর কিছুদিন পরই তা হিমাগারে চলে যায়। রাজনৈতিক খুনোখুনি রাজনৈতিক ডামাডোলেই হারিয়ে যায়। নিহত ছাত্রের স্বজনরা ন্যায় বিচার না পাবার বেদনাকে তাদের নিয়তি হিসেবে মেনে নেয়। রাবির হত্যাকা-ে নিহত ছাত্রের বাবা যেমনটি বলেছেন, তিনি হত্যার বিচার চান না, এজন্য কোন মামলাও করবেন না। কারণ অতীত ইতিহাসটা তো তার ভাল করেই জানা আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হত্যার ঘটনা নতুন নয়। সামরিক সরকারগুলো তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করতে শুরু করে। এরপর থেকেই ছাত্র রাজনীতি তার আদর্শিক অবস্থান হারাতে থাকে। ছাত্র রাজনীতির নামে কেউ কেউ বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়ে যায় রাতারাতি। স্বৈরশাসনের অবসান হলেও ছাত্র রাজনীতির সেই কলঙ্কজনক ধারাটি রয়ে যায়। যার ফলে এখনও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সন্ত্রাসমুক্ত করা যাচ্ছে না।
ছাত্র নেতাদের মনে রাখতে হবে হত্যা-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি তাদের কাজ নয়। একটি আদর্শভিত্তিক সংগঠনকে আদর্শ দ্বারাই পরিচালিত হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে কঠোর ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। রাজশাহীর ঘটনায় ৮ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু এতেই শেষ হলে চলবে না। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ব্যাপারে তৎপর হতে হবে। এ ধরনের অপমৃত্যুর পুনরাবৃত্তি কেউ দেখতে চায় না।
No comments