বন্যার আশঙ্কা-এখনই সর্বোচ্চ প্রস্তুতির প্রয়োজন
প্রায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বন্যার সম্মুখীন হয় দেশ। কখনো পাহাড়ি ঢল, কখনো অবিরাম বৃষ্টি আবার কখনো বা নদীর পানি স্ফীত হওয়ার কারণেই বন্যা হয়। নদীর পানি উপচে যে বন্যা হয় তা হয় সবচেয়ে ভয়াবহ। বিশেষ করে নদী উপচে প্লাবিত হওয়ার সঙ্গে যখন পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিজনিত বন্যা দেখা দেয়, তা সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে।
এ ধরনের বন্যা সমতলভূমির গোটা দেশ গ্রাস করে ফেলে। সে বন্যা হয় অপেক্ষাকৃত দীর্ঘস্থায়ী। এতে জনজীবন বিপন্ন হয়ে ওঠে। এবারও তেমন বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একদিকে পাহাড়ি ঢল, মৌসুমি বৃষ্টি; অন্যদিকে নদী অববাহিকায় ফুঁসে উঠছে পানি। পত্রিকার সংবাদ থেকে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের অভ্যন্তরে, অর্থাৎ উজানের দেদা-মোহনী পয়েন্ট থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি বাংলাদেশের ভাটির দিকে ধাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে আসামের বরাক নদের ঢল ও প্রবল বর্ষণে বাংলাদেশের সিলেট-সুনামগঞ্জ এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ফলে এখনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বন্যা একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়। মানুষের কৃতকর্মের কারণে এর মাত্রা কমবেশি হতে পারে বা হয়ে থাকে, কিন্তু বন্যা ফেরানোর ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু করা যায় না। তবে যা করা যায় সেটা হলো বন্যার জন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ। যেমন- পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ, বন্যার কারণে সৃষ্ট রোগব্যাধির জন্য ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি। এসব ব্যাপারে সরকারের আগাম সতর্ক থাকা জরুরি কাজের একটি। সেই সঙ্গে দেশে অসংখ্য এনজিও কাজ করছে, যাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিতে হবে। আমাদের দেশে যখনই বড় ধরনের বন্যা হয়েছে, তখনই সাধারণ মানুষকে সহায়তা দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে আনা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সমন্বয়ের জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন হয়। তাই আগে থেকে তাদের প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে সমন্বয়ের জন্য বিলম্ব না হয়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সর্বস্তরের স্থানীয় প্রশাসনকে প্রস্তুত করা সরকারের জন্য এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশের অসংখ্য মানুষ হতদরিদ্র। বন্যায় এই বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। তাদের দিকে দৃষ্টি দেওয়া একটি অপরিহার্য দায়িত্ব। সর্বোপরি দেশের সব শ্রেণীর মানুষকে এখনই বন্যা-পূর্ব প্রস্তুতির ব্যাপারে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন।
বন্যা একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়। মানুষের কৃতকর্মের কারণে এর মাত্রা কমবেশি হতে পারে বা হয়ে থাকে, কিন্তু বন্যা ফেরানোর ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু করা যায় না। তবে যা করা যায় সেটা হলো বন্যার জন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ। যেমন- পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ, বন্যার কারণে সৃষ্ট রোগব্যাধির জন্য ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি। এসব ব্যাপারে সরকারের আগাম সতর্ক থাকা জরুরি কাজের একটি। সেই সঙ্গে দেশে অসংখ্য এনজিও কাজ করছে, যাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিতে হবে। আমাদের দেশে যখনই বড় ধরনের বন্যা হয়েছে, তখনই সাধারণ মানুষকে সহায়তা দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে আনা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সমন্বয়ের জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন হয়। তাই আগে থেকে তাদের প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে সমন্বয়ের জন্য বিলম্ব না হয়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সর্বস্তরের স্থানীয় প্রশাসনকে প্রস্তুত করা সরকারের জন্য এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশের অসংখ্য মানুষ হতদরিদ্র। বন্যায় এই বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। তাদের দিকে দৃষ্টি দেওয়া একটি অপরিহার্য দায়িত্ব। সর্বোপরি দেশের সব শ্রেণীর মানুষকে এখনই বন্যা-পূর্ব প্রস্তুতির ব্যাপারে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন।
No comments