জ্বালানি ও অবকাঠামো সমস্যা প্রবৃদ্ধি অর্জনে বড় বাধা ॥ মুহিত

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় বাধা জ্বালানি ও অবকাঠামোগত সমস্যা। তবে দীর্ঘমেয়াদে এসব সমস্যা সমাধানে সরকার কাজ করছে। রবিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত ‘আইজিসি সাউথ এশিয়া গ্রোথ কনফারেন্স ২০১২’ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।


সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার (আইজিসি) এবং ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ ।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্ক রোজেনওয়েগ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টনি বেনাবেলস ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অধ্যাপক রবিন বার্জেস প্রমুখ। সেমিনারে সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অর্থনৈতিক গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। আবুল মাল মুহিত বলেন, বিদেশী বিনিয়োগের জন্য দেশে উপযুক্ত জমির স্বল্পতা রয়েছে। পর্যাপ্ত জমির অভাবে বাংলাদেশ বিদেশী বিনিয়োগ থেকে অনেক বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, অনেক বিদেশী বিনিয়োগকারী আমাদের দরজায় কড়া নাড়ে। কিন্তু জমি সঙ্কটের কারণে আমরা তাদের আহ্বানে সাড়া দিতে পারি না।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের দেশে প্রবৃদ্ধি অনেক ভাল। কেননা দিন দিন রফতানি বাড়ছে, প্রবাসীদের রেমিটেন্সের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, মানবসম্পদকে শ্রমশক্তিতে রূপান্তরিত করতে সরকার কাজ করছে। তারপরও কিছু সমস্যা আছে অর্থনীতিতে। একদিনে অর্থনীতির গতি বাড়ানো সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এটি অর্জন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মশিউর রহমান বলেন, এশিয়ার দেশগুলোর দিকে তাকালে পূর্ব এশিয়া বাদ দিলে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম প্রবৃদ্ধির দেশ বাংলাদেশ। সেই প্রবৃদ্ধি এখন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা, সুশাসন ও রাজস্ব সংগ্রহে কিছু সমস্যা রয়েছে। সরকার এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করছে।
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হলে গবেষণা প্রয়োজন। এসব গবেষণা প্রয়োজন উচ্চ মানের। উচ্চমানের এসব গবেষণাকে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে নিয়ে সমন্বয় সাধন ও মিলনের জায়গা প্রস্তুত করতে হবে। এই তাগিদেই এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর বহু দেশে গবেষণা ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সে দেশের উন্নয়ন দ্রুত ঘটেছে।
অনুষ্ঠানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া শিল্পায়ন ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমি ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুত অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন তাঁরা।

No comments

Powered by Blogger.