নতুন গ্যাসক্ষেত্র

বিদ্যুতের পাশাপাশি সারাদেশে গ্যাস সঙ্কট তীব্র হয়েছে। এর কারণ নগরীর আবাসিক এলাকা ও কলকারখানায় গ্যাসের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রাজধানীর বহু নতুন এ্যাপার্টমেন্ট ভবন, বাসাবাড়ি ও কলকারখানায় গ্যাসের সংযোগ বন্ধ রয়েছে।


এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকাও রয়েছে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছে। এমন এক সঙ্কটময় মুহূর্তে কুমিল্লার শ্রীকাইলে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, বাপেক্স গত বছরের আগস্টে নোয়াখালীর সুন্দলপুরে একটি গ্যাস কূপের সন্ধান পেয়েছিল। মাত্র ১১ মাসের ব্যবধানে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির সাহায্যে দুটি নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান লাভ অবশ্যই প্রতিষ্ঠানটির জন্য গৌরব ও কৃতিত্বের বিষয়। জানা গেছে, নব আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রটি হবে দেশের ২৫তম গ্যাসক্ষেত্র। এ গ্যাস ক্ষেত্র থেকে দৈনিক ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড’ (বাপেক্স) গত এক বছর ধরে তিনটি নতুন গ্যাসক্ষেত্রে অনুসন্ধান কূপ করেছে; এর মধ্যে দুটি কূপে তারা সফল হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ গ্যাস ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ রয়েছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিজস্ব জনবল ও প্রযুক্তিতে গ্যাসের অনুসন্ধান চালানো বিচক্ষণতার কাজ হবে। গ্যাস আমাদের জাতীয় সম্পদ। গ্যাস আমাদের জ্বালানী খাতে বিশেষ চাহিদা পূরণ করছে। জন-অধ্যুষ্ঠিত এ দেশে রান্নার কাজে লাকড়ি ব্যবহার করা হলে দেশের বিপুল বৃক্ষসম্পদ বিনষ্ট হতো। শ্রীকাইলে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হতে পারে।
গ্যাসের অপচয় কঠোরভাবে রোধ করা দরকার। গ্যাসের ন্যূনতম অপচয় যাতে কেউ করতে না পারে সেই লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা দরকার। একই সঙ্গে গ্যাসের পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করা হোক।
সিএনজিচালিত যানবাহনের বিষয়েও নতুনভাবে ভাবা দরকার। নয়া গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য বাপেক্সকে অভিনন্দন।

No comments

Powered by Blogger.