তারল্য সঙ্কটেই দরপতন পুঁজিবাজারে
তারল্য সঙ্কটের কারণেই দেশের পুজিবাজারে দরপতনের ঘটনা ঘটছে। কিছুটা আস্থার সঙ্কটে দরপতন হলেও সম্প্রতি তারল্য সঙ্কট বা নগদ টাকার অভাবেই বাজারে গতি ফিরছে না বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। পুজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা স্টক একচেঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী বলেন, তারল্য সঙ্কটেই বাজারে দরপতন ঘটছে।
বাজার স্থিতিশীল করতে নগদ অর্থের প্রবাহ বা তারল্য সঙ্কট মেটানোর বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি।
আহমেদ রশীদ লালী বলেন, পুঁজিবাজারে ৩২ বছরের ইতিহাসে কোন অর্থবছরেই সরকার এত প্রণোদনা বা পুঁজিবাজারবান্ধব বাজেট ঘোষণা করেনি। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। সরকার, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (এসইসি), স্টক একচেঞ্জগুলো ও বাজার সংশ্লিষ্টরা সবাই একযোগে কাজ করলেও শুধু টাকার অভাবে তা কাজে আসছে না। তিনি মনে করেন, গত তিন বছরে দেশের মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। সংকোচনমুখী নীতির কারণে দেশে সার্বিক অর্থনীতিতে নগদ অর্থের অভাব দেখা যাচ্ছে। তাই শুধু পুঁজিবাজার নয়, সামগ্রিক অর্থনীতি বাঁচাতে টাকার প্রবাহ বাড়ানো প্রয়োজন। আর এ জন্য আগামী ১৮ জুলাই নতুন মুদ্রানীতিতে কিছুটা নীতিগত পরিবর্তনও জরুরী বলে তিনি মনে করেন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত কয়েক মাসে আস্থাহীনতার চেয়ে তারল্য সঙ্কটই বাজারের বেশি ক্ষতি করেছে। গত ১০ জুলাই লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ১৫৬ পয়েন্ট কমে যায়। এই সময়ে ডিএসইর সার্বিক সূচক চার হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আসে। এর আগে চার হাজারের নিচে পয়েন্ট ছিল গত ৮ ফেব্রুয়ারি। সূচক কমার সঙ্গে ওই দিন লেনদেনও কমে আশঙ্কাজনক হারে। ৮ জুলাই ডিএসইতে লেনদেন হয় মাত্র ১১৫ কোটি টাকার। যা গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সেখানে ১০৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল ২০০৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর। তারল্য সঙ্কটের কারণে মূল্যস্ফীতি কমলেও ব্যাংকগুলোর কলমানি রেট বেড়েছে বলে আহমেদ রশীদলাল মনে করেন। দেশের অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহ কমায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এছাড়া ব্যাংকগুলোতে তারল্য সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে তারা দাবি করেছেন। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে বাজারে তারল্য নেই। কিন্তু ব্যাংকগুলোতে বেশিরভাগ টাকাই বন্ড আকারে রয়েছে। গত বছর মে ও জুনে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ১০.২০ এবং ১০.১৭ শতাংশ। এবছর মে ও জুনে তা ছিল যথাক্রমে ৯.১৫ এবং ৮.৫৬। এদিকে টাকার অভাবেই ব্যাংকের কলমানি রেট বেড়েছে বলে রশীদলাল জানান। গত বছর মে, জুন ও জুলাই মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত কলমানি রেট ছিল যথাক্রমে ৮.৬৪, ১০.৯৩ এবং ৯.৩৭ শতাংশ। এ বছর একই সময়ে তা যথাক্রমে ১৫.০৫, ১৪.৯৭ এবং ১৪.১১ শতাংশ। এতেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে দেশের সবক্ষেত্রে আগের চেয়ে তারল্য প্রবাহ কমেছে। তাই পুঁজিবাজারে কোন প্রণোদনা কাজে আসছে না। বাজারের পতন ঘটছে। এটি থেকে উত্তরণে মুদ্রানীতি শিথিল করার কোন বিকল্প নেই।
আহমেদ রশীদ লালী বলেন, পুঁজিবাজারে ৩২ বছরের ইতিহাসে কোন অর্থবছরেই সরকার এত প্রণোদনা বা পুঁজিবাজারবান্ধব বাজেট ঘোষণা করেনি। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। সরকার, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (এসইসি), স্টক একচেঞ্জগুলো ও বাজার সংশ্লিষ্টরা সবাই একযোগে কাজ করলেও শুধু টাকার অভাবে তা কাজে আসছে না। তিনি মনে করেন, গত তিন বছরে দেশের মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। সংকোচনমুখী নীতির কারণে দেশে সার্বিক অর্থনীতিতে নগদ অর্থের অভাব দেখা যাচ্ছে। তাই শুধু পুঁজিবাজার নয়, সামগ্রিক অর্থনীতি বাঁচাতে টাকার প্রবাহ বাড়ানো প্রয়োজন। আর এ জন্য আগামী ১৮ জুলাই নতুন মুদ্রানীতিতে কিছুটা নীতিগত পরিবর্তনও জরুরী বলে তিনি মনে করেন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত কয়েক মাসে আস্থাহীনতার চেয়ে তারল্য সঙ্কটই বাজারের বেশি ক্ষতি করেছে। গত ১০ জুলাই লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ১৫৬ পয়েন্ট কমে যায়। এই সময়ে ডিএসইর সার্বিক সূচক চার হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আসে। এর আগে চার হাজারের নিচে পয়েন্ট ছিল গত ৮ ফেব্রুয়ারি। সূচক কমার সঙ্গে ওই দিন লেনদেনও কমে আশঙ্কাজনক হারে। ৮ জুলাই ডিএসইতে লেনদেন হয় মাত্র ১১৫ কোটি টাকার। যা গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সেখানে ১০৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল ২০০৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর। তারল্য সঙ্কটের কারণে মূল্যস্ফীতি কমলেও ব্যাংকগুলোর কলমানি রেট বেড়েছে বলে আহমেদ রশীদলাল মনে করেন। দেশের অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহ কমায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এছাড়া ব্যাংকগুলোতে তারল্য সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে তারা দাবি করেছেন। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে বাজারে তারল্য নেই। কিন্তু ব্যাংকগুলোতে বেশিরভাগ টাকাই বন্ড আকারে রয়েছে। গত বছর মে ও জুনে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ১০.২০ এবং ১০.১৭ শতাংশ। এবছর মে ও জুনে তা ছিল যথাক্রমে ৯.১৫ এবং ৮.৫৬। এদিকে টাকার অভাবেই ব্যাংকের কলমানি রেট বেড়েছে বলে রশীদলাল জানান। গত বছর মে, জুন ও জুলাই মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত কলমানি রেট ছিল যথাক্রমে ৮.৬৪, ১০.৯৩ এবং ৯.৩৭ শতাংশ। এ বছর একই সময়ে তা যথাক্রমে ১৫.০৫, ১৪.৯৭ এবং ১৪.১১ শতাংশ। এতেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে দেশের সবক্ষেত্রে আগের চেয়ে তারল্য প্রবাহ কমেছে। তাই পুঁজিবাজারে কোন প্রণোদনা কাজে আসছে না। বাজারের পতন ঘটছে। এটি থেকে উত্তরণে মুদ্রানীতি শিথিল করার কোন বিকল্প নেই।
No comments