আদালত থেকে-অবহেলা সইতে না পেরে...
বিয়ের পর ফারুক হাসান (ছদ্মনাম) তাঁর স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিনের (ছদ্মনাম) প্রতি দায়িত্বশীল ছিলেন না। পদে পদে স্বামীর অবহেলা পেয়েছেন ফারজানা। যদিও ফারুকের বাবা ও মা তাঁকে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু স্বামীর অবহেলার কারণে ফারজানা সিদ্ধান্ত নেন সংসার ভেঙে দেওয়ার।
চিঠি দেন সালিসি পরিষদের কাছে। চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের তৎকালীন হাকিম ও সালিসি পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটান। আদেশের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
ফারুক হাসান (ছদ্মনাম) জানান, ‘স্যার, আমাদের মধ্যে তেমন কিছুই হয়নি। ও (ফারজানা) শুধু শুধু তালাক চাইছে।’ জবাবে ফারজানা বলেন, ‘স্যার, বিয়ের পর থেকেই কেবল অবহেলা পেয়েছি। ও (ফারুক) কোনো যত্ন নেয়নি। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ভালো। তাঁরা আমাকে অনেক আদর করেছেন। কিন্তু যার সঙ্গে সংসার করব, সে যদি অবহেলা করে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
কথা টেনে নিয়ে ফারুক বলেন, ‘স্যার, আমি কোনো অবহেলা করিনি। বিয়ের সময় আমার জ্বর ছিল। পরে জেনেছি আমার নিউমোনিয়া হয়েছিল।’ ফারজানা সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, ‘স্যার, ও-ই তো আমাকে তালাক দিতে বলেছে। আর এখন বলছে, সংসার করবে। ওর কোনো মতিগতির ঠিক নেই। অনেক রাত ও সোফায় ঘুমিয়েছে আমাকে একা ফেলে।’
আবার কথা টেনে নিয়ে ফারুক বলেন, ‘স্যার, অসুস্থতা ও গরমের জন্য সোফায় ঘুমিয়েছি।’ এ সময় ফারজানাকে কিছুটা বিরক্ত দেখা যায়। কিন্তু নীরব থাকেন। ফারুকও দাঁড়িয়ে থাকেন হতাশার ভঙ্গিতে। নীরবতা ভেঙে ফারজানা বলেন, ‘স্যার, ওর সঙ্গে আমার আর হবে না। আমার তালাক কার্যকর করা হোক। আমি অত কিছু বলতে চাই না। গত তিন মাসেও ওরা যোগাযোগ করেনি। সব কিছু খোলামেলা আলোচনা করা কারোর জন্যই সম্মানজনক নয়।’
এরপর দুজনেই শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। সালিসি কক্ষজুড়ে দুঃখ, কষ্ট আর বেদনা যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। মনে করিয়ে দেয় বিদ্রোহী কবির কিছু পঙিক্ত ‘শুধু অনাদর শুধু অবহেলা শুধু অপমান!/ ভালবাসা-সে শুধু কথার কথা রে!/ অপমান কিনা শুধু! প্রাণ দিলে পায়ে দলে যাবে তোর প্রাণ!/ শুধু অনাদর, শুধু অবহেলা, শুধু অপমান!’ আদেশে বলা হয়, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই সম্পর্ক আর জোড়া লাগার নয়। আকাশসম দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গেছে দুটি হূদয়ের মধ্যে। ইতিমধ্যে বিধিবদ্ধ সময় ৯০ দিন পার হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তালাক কার্যকর করা হলো।
ফারুক হাসান (ছদ্মনাম) জানান, ‘স্যার, আমাদের মধ্যে তেমন কিছুই হয়নি। ও (ফারজানা) শুধু শুধু তালাক চাইছে।’ জবাবে ফারজানা বলেন, ‘স্যার, বিয়ের পর থেকেই কেবল অবহেলা পেয়েছি। ও (ফারুক) কোনো যত্ন নেয়নি। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ভালো। তাঁরা আমাকে অনেক আদর করেছেন। কিন্তু যার সঙ্গে সংসার করব, সে যদি অবহেলা করে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
কথা টেনে নিয়ে ফারুক বলেন, ‘স্যার, আমি কোনো অবহেলা করিনি। বিয়ের সময় আমার জ্বর ছিল। পরে জেনেছি আমার নিউমোনিয়া হয়েছিল।’ ফারজানা সরাসরি জবাব না দিয়ে বলেন, ‘স্যার, ও-ই তো আমাকে তালাক দিতে বলেছে। আর এখন বলছে, সংসার করবে। ওর কোনো মতিগতির ঠিক নেই। অনেক রাত ও সোফায় ঘুমিয়েছে আমাকে একা ফেলে।’
আবার কথা টেনে নিয়ে ফারুক বলেন, ‘স্যার, অসুস্থতা ও গরমের জন্য সোফায় ঘুমিয়েছি।’ এ সময় ফারজানাকে কিছুটা বিরক্ত দেখা যায়। কিন্তু নীরব থাকেন। ফারুকও দাঁড়িয়ে থাকেন হতাশার ভঙ্গিতে। নীরবতা ভেঙে ফারজানা বলেন, ‘স্যার, ওর সঙ্গে আমার আর হবে না। আমার তালাক কার্যকর করা হোক। আমি অত কিছু বলতে চাই না। গত তিন মাসেও ওরা যোগাযোগ করেনি। সব কিছু খোলামেলা আলোচনা করা কারোর জন্যই সম্মানজনক নয়।’
এরপর দুজনেই শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। সালিসি কক্ষজুড়ে দুঃখ, কষ্ট আর বেদনা যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। মনে করিয়ে দেয় বিদ্রোহী কবির কিছু পঙিক্ত ‘শুধু অনাদর শুধু অবহেলা শুধু অপমান!/ ভালবাসা-সে শুধু কথার কথা রে!/ অপমান কিনা শুধু! প্রাণ দিলে পায়ে দলে যাবে তোর প্রাণ!/ শুধু অনাদর, শুধু অবহেলা, শুধু অপমান!’ আদেশে বলা হয়, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই সম্পর্ক আর জোড়া লাগার নয়। আকাশসম দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গেছে দুটি হূদয়ের মধ্যে। ইতিমধ্যে বিধিবদ্ধ সময় ৯০ দিন পার হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তালাক কার্যকর করা হলো।
No comments