তানতাওয়ির সঙ্গে বৈঠকে হিলারি-বেসামরিক সরকারের কাছে পূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর করুন
মিসরে বেসামরিক সরকারের কাছে সম্পূর্ণ ক্ষমতা ছেড়ে দিতে সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিলের (স্কাফ) প্রধানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। মিসরের রাজধানী কায়রোয় গতকাল রোববার স্কাফের প্রধান ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাওয়ির সঙ্গে বৈঠক করেন হিলারি।
এর আগে গত শনিবার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সঙ্গে বৈঠকে হিলারি মিসরের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় দৃঢ় সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, হিলারির সঙ্গে হুসেইন তানতাওয়ির বৈঠকে নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে সম্পূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর ও প্রেসিডেন্ট মুরসির সঙ্গে সুপ্রিম কাউন্সিলের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নানা আলোচনা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা এই আলোচনা চলে। বৈঠকে হিলারির প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক প্যাকেজ নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে তানতাওয়ি বলেন, এ সময়ে মিসরের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো অর্থনীতিকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়া।
মুরসির সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে হিলারি বলেন, বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি সমর্থন করে। তিনি বলেন, মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে গণ-আন্দোলনের সময় সেনাবাহিনী জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছে।
হিলারি সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিসরের সেনাবাহিনীর তুলনা করে বলেন, সিরিয়ার সেনাবাহিনী সরকারের নির্দেশে নিজের জনগণকে হত্যা করছে। কিন্তু মিসরের সেনাবাহিনী তাদের দেশের জনগণকে রক্ষা করেছে। শুধু তা-ই নয়, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছে। হিলারি বলেন, তবে এখনই শেষ নয়, আরও কাজ করতে হবে। পার্লামেন্ট ও সংবিধান নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করতে হবে। এটা মিসরের জনগণকেই করতে হবে।
হিলারি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র অর্জন ও তা ধরে রাখা কঠিন। এ জন্য সংলাপ, সমঝোতা ও প্রকৃত রাজনীতির প্রয়োজন হয়। প্রকৃত গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য আমরা মিসরকে সহযোগিতা করতে চাই। আর সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র নয়, মিসরের জনগণকেই নিতে হবে।’
হিলারি জানান, মিসরের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্র কায়রোকে সহযোগিতা দেবে। এ সময় তিনি জানান, মিসরের মাঝারি ও ক্ষুদ্র বাণিজ্যে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-মিসর এন্টারপ্রাইজ ফান্ড নামে ছয় কোটি ডলারের একটি তহবিল খোলা হবে।
মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মিনা জানায়, হিলারির সফরের প্রতিবাদে শনিবার মিসরে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়। হিলারির হোটেলের সামনেও বিক্ষোভকারীরা মার্কিনবিরোধী স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র মিসরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। এএফপি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, হিলারির সঙ্গে হুসেইন তানতাওয়ির বৈঠকে নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে সম্পূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর ও প্রেসিডেন্ট মুরসির সঙ্গে সুপ্রিম কাউন্সিলের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নানা আলোচনা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা এই আলোচনা চলে। বৈঠকে হিলারির প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক প্যাকেজ নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে তানতাওয়ি বলেন, এ সময়ে মিসরের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো অর্থনীতিকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়া।
মুরসির সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে হিলারি বলেন, বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি সমর্থন করে। তিনি বলেন, মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে গণ-আন্দোলনের সময় সেনাবাহিনী জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছে।
হিলারি সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিসরের সেনাবাহিনীর তুলনা করে বলেন, সিরিয়ার সেনাবাহিনী সরকারের নির্দেশে নিজের জনগণকে হত্যা করছে। কিন্তু মিসরের সেনাবাহিনী তাদের দেশের জনগণকে রক্ষা করেছে। শুধু তা-ই নয়, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছে। হিলারি বলেন, তবে এখনই শেষ নয়, আরও কাজ করতে হবে। পার্লামেন্ট ও সংবিধান নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করতে হবে। এটা মিসরের জনগণকেই করতে হবে।
হিলারি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র অর্জন ও তা ধরে রাখা কঠিন। এ জন্য সংলাপ, সমঝোতা ও প্রকৃত রাজনীতির প্রয়োজন হয়। প্রকৃত গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য আমরা মিসরকে সহযোগিতা করতে চাই। আর সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র নয়, মিসরের জনগণকেই নিতে হবে।’
হিলারি জানান, মিসরের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্র কায়রোকে সহযোগিতা দেবে। এ সময় তিনি জানান, মিসরের মাঝারি ও ক্ষুদ্র বাণিজ্যে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-মিসর এন্টারপ্রাইজ ফান্ড নামে ছয় কোটি ডলারের একটি তহবিল খোলা হবে।
মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মিনা জানায়, হিলারির সফরের প্রতিবাদে শনিবার মিসরে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়। হিলারির হোটেলের সামনেও বিক্ষোভকারীরা মার্কিনবিরোধী স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র মিসরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। এএফপি।
No comments