মিসরে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ মসৃণ করার আহবান হিলারির
মিসরে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন গতকাল রবিবার ক্ষমতাসীন সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদের প্রধান ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মাদ হোসেন তানতাউয়ির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তিনি পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার উত্তরণের পথ মসৃণ করতে সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
দুই দিনের সফরে গত শনিবার রাজধানী কায়রোয় পৌঁছান হিলারি। ওই দিনই তিনি মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
গত বছর হোসনি মুবারকের পতনের পর থেকে সামরিক পরিষদ মিসরের ক্ষমতায় রয়েছে। মুবারক পরবর্তী সময়ে দায়িত্বের সঙ্গে দেশ পরিচালনা করায় সামরিক পরিষদের প্রশংসা করেন হিলারি। গতকাল আলেকজান্দ্রিয়া শহরে বৈঠক করেন হিলারি ও তানতাউয়ি। বৈঠকের আগে হিলারি বলেন, মিসরের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতকরণে সামরিক বাহিনীর দায়িত্বশীল ভূমিকা এবং গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করবেন। এর মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, মিসরের সামরিক বাহিনীকে সামরিক ভূমিকাতেই দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
নির্বাচিত পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট মুরসি ও সামরিক পরিষদের মধ্যে যখন উত্তেজনা চলছে, ঠিক তখনই মিসর সফর করছেন হিলারি। নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত সামরিক পরিষদের- এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরই গুরুত্বারোপ করেছেন। এ দিকে, মিসরের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে শনিবার হিলারি ও মুরসির বৈঠক হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মুরসি বলেন, 'আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। আজ আপনাকে এখানে পেয়ে আমরা খুবই খুশি।' মুরসি মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হিলারির সঙ্গে এটাই তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই নেতা অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।
বৈঠক শেষে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আমরের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন হিলারি। তিনি বলেন, 'মিসরের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার উত্তরণ এবং এখানকার জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন জানাতেই আমি কায়রো এসেছি। আমরা দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে চাই। ত্যাগের মধ্য দিয়ে মিসরের জনগণ যে গণতন্ত্র অর্জন করেছে, তার প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। এ জন্য প্রয়োজন আলোচনা, সমঝোতা ও প্রকৃত রাজনীতি। মিসরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।'
গতকাল সামরিক পরিষদের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর হিলারি দেখা করেন নারী আন্দোলনকর্মী ও কপটিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এক নেত্রীর সঙ্গে। এ ছাড়া মিসরের সরকারি ও সেনা কর্মকর্তা, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
হিলারির সফরের বিরোধিতা করে শনিবার কায়রোতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। কয়েক শ বিক্ষোভকারী হিলারি যে হোটেলে অবস্থান করছেন, তার সামনেও বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা ইসলামপন্থী ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা।
গত বছর হোসনি মুবারকের পতনের পর থেকে সামরিক পরিষদ মিসরের ক্ষমতায় রয়েছে। মুবারক পরবর্তী সময়ে দায়িত্বের সঙ্গে দেশ পরিচালনা করায় সামরিক পরিষদের প্রশংসা করেন হিলারি। গতকাল আলেকজান্দ্রিয়া শহরে বৈঠক করেন হিলারি ও তানতাউয়ি। বৈঠকের আগে হিলারি বলেন, মিসরের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতকরণে সামরিক বাহিনীর দায়িত্বশীল ভূমিকা এবং গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করবেন। এর মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, মিসরের সামরিক বাহিনীকে সামরিক ভূমিকাতেই দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
নির্বাচিত পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট মুরসি ও সামরিক পরিষদের মধ্যে যখন উত্তেজনা চলছে, ঠিক তখনই মিসর সফর করছেন হিলারি। নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত সামরিক পরিষদের- এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরই গুরুত্বারোপ করেছেন। এ দিকে, মিসরের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে শনিবার হিলারি ও মুরসির বৈঠক হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মুরসি বলেন, 'আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। আজ আপনাকে এখানে পেয়ে আমরা খুবই খুশি।' মুরসি মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হিলারির সঙ্গে এটাই তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই নেতা অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।
বৈঠক শেষে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আমরের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন হিলারি। তিনি বলেন, 'মিসরের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার উত্তরণ এবং এখানকার জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন জানাতেই আমি কায়রো এসেছি। আমরা দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে চাই। ত্যাগের মধ্য দিয়ে মিসরের জনগণ যে গণতন্ত্র অর্জন করেছে, তার প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। এ জন্য প্রয়োজন আলোচনা, সমঝোতা ও প্রকৃত রাজনীতি। মিসরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।'
গতকাল সামরিক পরিষদের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর হিলারি দেখা করেন নারী আন্দোলনকর্মী ও কপটিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এক নেত্রীর সঙ্গে। এ ছাড়া মিসরের সরকারি ও সেনা কর্মকর্তা, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
হিলারির সফরের বিরোধিতা করে শনিবার কায়রোতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। কয়েক শ বিক্ষোভকারী হিলারি যে হোটেলে অবস্থান করছেন, তার সামনেও বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা ইসলামপন্থী ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা।
No comments