পদ্মা সেতু by মাহফুজ রহমান
মা-বাবাকে বিরক্ত না করে ঘরে বসে নিজেই তুমি বানাতে পারো অনেক কিছু। এসব বানাতে ব্যবহার করতে পারো হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন জিনিসপত্র। আজ তোমাদের শেখাব পদ্মা সেতু বানানো। যেভাবে বানাবে পদ্মা সেতু
১ প্রথমেই মা-বাবা এবং বাসার সবার কাছে গিয়ে বলো, ‘আমি একটা পদ্মা সেতু বানাব, তাই কিছু টাকা দরকার।
১ প্রথমেই মা-বাবা এবং বাসার সবার কাছে গিয়ে বলো, ‘আমি একটা পদ্মা সেতু বানাব, তাই কিছু টাকা দরকার।
’ এ কথা শুনে আম্মু হয়তো বলবেন, ‘এভাবে টাকা তোলার কী দরকার, বাপু! তুমি বরং মাটির ব্যাংকটা থেকে কিছু টাকা বের করে নাও না।’ খবরদার, ভুলেও এ কথা কানে তুলবে না তুমি! কারণ, ব্যাংক থেকে সাঁড়াশি দিয়ে অনেক কায়দা-কসরত করে টাকা বের করতে হয়।
২
টাকা তোলা হলে পাড়ার মোড়ের দোকানে যাও। কিনে নাও তোমার প্রিয় চুইংগাম আর দুই বোতল কোমল পানীয়। পানীয় কিনবে, কারণ পানীয় না কিনলে তো দোকানি তোমাকে এমনি এমনি দুটি স্ট্র দেবে না। তবে তোমার সঙ্গে ভালো খাতির থাকলে দিলেও দিতে পারে। আর এলাকায় তোমার ভাইয়ার যদি ‘বড় ভাই’ হিসেবে সুনাম থাকে, তাহলে তো কিছুই লাগবে না। স্ট্র পেলে চুইংগাম চিবুতে চিবুতে বাসায় চলে এসো।
৩
বাসায় এসেই মানচিত্রটা নিয়ে বসো। এখন কথা হলো মানচিত্র পাবে কোথায়? খুব সহজ, খুঁজে পেতে দেখো বড় ভাইয়া বা আপুর সুন্দর সুন্দর ডায়েরি আছে। ডায়েরি খুলতে শুরুতেই দেখবে বাংলাদেশের নদ-নদীর সুন্দর সুন্দর মানচিত্র দেওয়া আছে। চারপাশে সাবধানে নজর রেখে সেখান থেকে পদ্মা নদীর মানচিত্র ছিঁড়ে নাও যত্নের সঙ্গে! মানুষ করে পুকুর চুরি, তুমি না হয় নদী চুরি করলে!
৪
মানচিত্র পেয়েছ, এবার সেটা একটা সমতল জায়গায় বসাও। দুটি স্ট্রকে কাঁচি দিয়ে মাঝ বরাবর কেটে চার অংশে ভাগ করো। চারটি স্ট্রকে নদীর দুই তীরে দাঁড় করিয়ে দাও। কিন্তু কীভাবে? সমাধান হলো চুইংগাম। স্ট্রগুলো যেখানে দাঁড় করাবে, সেখানে চারটি চিবানো চুইংগাম বসিয়ে নাও। সেই চুইংগামের মাঝে স্ট্রগুলো চেপে বসিয়ে দিলেই দেখবে দিব্যি দাঁড়িয়ে থাকবে।
৫
এবার নাও তিনটি শক্ত কাগজের টুকরা। একটাকে দাও স্ট্র চারটির ওপর বসিয়ে। বাকি দুটিকে হেলান দিয়ে রাখো স্ট্রর ওপর রাখা কাগজটির দুই পাশে।
৬
ব্যস, এবার একটা হাত ঝাড়া দাও। আর তাকিয়ে দেখো, কী সুন্দর একটা পদ্মা সেতু হয়ে গেল! বাসার সবাইকে ডেকে এনে দেখাও তোমার বানানো সেতুটা। তখন দেখবে সবাই আনন্দে চিৎকার করে বলে উঠবে, ‘ও মাই গাড! মাটির ব্যাংক থেকে টাকা না নিয়েই তুমি এত্ত সুন্দর একটা পদ্মা সেতু কী করে বানালে!’
২
টাকা তোলা হলে পাড়ার মোড়ের দোকানে যাও। কিনে নাও তোমার প্রিয় চুইংগাম আর দুই বোতল কোমল পানীয়। পানীয় কিনবে, কারণ পানীয় না কিনলে তো দোকানি তোমাকে এমনি এমনি দুটি স্ট্র দেবে না। তবে তোমার সঙ্গে ভালো খাতির থাকলে দিলেও দিতে পারে। আর এলাকায় তোমার ভাইয়ার যদি ‘বড় ভাই’ হিসেবে সুনাম থাকে, তাহলে তো কিছুই লাগবে না। স্ট্র পেলে চুইংগাম চিবুতে চিবুতে বাসায় চলে এসো।
৩
বাসায় এসেই মানচিত্রটা নিয়ে বসো। এখন কথা হলো মানচিত্র পাবে কোথায়? খুব সহজ, খুঁজে পেতে দেখো বড় ভাইয়া বা আপুর সুন্দর সুন্দর ডায়েরি আছে। ডায়েরি খুলতে শুরুতেই দেখবে বাংলাদেশের নদ-নদীর সুন্দর সুন্দর মানচিত্র দেওয়া আছে। চারপাশে সাবধানে নজর রেখে সেখান থেকে পদ্মা নদীর মানচিত্র ছিঁড়ে নাও যত্নের সঙ্গে! মানুষ করে পুকুর চুরি, তুমি না হয় নদী চুরি করলে!
৪
মানচিত্র পেয়েছ, এবার সেটা একটা সমতল জায়গায় বসাও। দুটি স্ট্রকে কাঁচি দিয়ে মাঝ বরাবর কেটে চার অংশে ভাগ করো। চারটি স্ট্রকে নদীর দুই তীরে দাঁড় করিয়ে দাও। কিন্তু কীভাবে? সমাধান হলো চুইংগাম। স্ট্রগুলো যেখানে দাঁড় করাবে, সেখানে চারটি চিবানো চুইংগাম বসিয়ে নাও। সেই চুইংগামের মাঝে স্ট্রগুলো চেপে বসিয়ে দিলেই দেখবে দিব্যি দাঁড়িয়ে থাকবে।
৫
এবার নাও তিনটি শক্ত কাগজের টুকরা। একটাকে দাও স্ট্র চারটির ওপর বসিয়ে। বাকি দুটিকে হেলান দিয়ে রাখো স্ট্রর ওপর রাখা কাগজটির দুই পাশে।
৬
ব্যস, এবার একটা হাত ঝাড়া দাও। আর তাকিয়ে দেখো, কী সুন্দর একটা পদ্মা সেতু হয়ে গেল! বাসার সবাইকে ডেকে এনে দেখাও তোমার বানানো সেতুটা। তখন দেখবে সবাই আনন্দে চিৎকার করে বলে উঠবে, ‘ও মাই গাড! মাটির ব্যাংক থেকে টাকা না নিয়েই তুমি এত্ত সুন্দর একটা পদ্মা সেতু কী করে বানালে!’
No comments