সাত কিলোমিটার যেতে ঘুরতে হয় ৪০ কিলোমিটার
নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে পঞ্চগড়ের ভাউলাগঞ্জের দূরত্ব সাত কিলোমিটার। ওই সাত কিলোমিটার সড়ক পাকা হলেও একটি সেতুর অভাবে দুই জেলার মানুষকে অতিরিক্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে।
ভোগডাবুরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ভাউলাগঞ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ হাট; চিলাহাটিও ঐতিহ্যবাহী ব্যবসাকেন্দ্র। অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে চিলাহাটি অনেক পিছিয়ে পড়েছে।
ভোগডাবুরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ভাউলাগঞ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ হাট; চিলাহাটিও ঐতিহ্যবাহী ব্যবসাকেন্দ্র। অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে চিলাহাটি অনেক পিছিয়ে পড়েছে।
আগে ভাউলাগঞ্জ হাট চলত চিলাহাটির ব্যবসায়ীদের নিয়ে। চিলাহাটি থেকে নীলফামারী জেলা সদরের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার আর পঞ্চগড়ের দূরত্ব মাত্র ৩৫ কিলোমিটার। সে কারণে এ অঞ্চলের মানুষ পঞ্চগড়ে বেশি যাতায়াত করে। কিন্তু ব্রিটিশ আমলের লোহার সেতুটা নষ্ট হওয়ায় সাত কিলোমিটার পথ পার হতে ডোমার-দেবীগঞ্জ হয়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ের অসংখ্য মানুষ এখন চিলাহাটি হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে। চিলাহাটি বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম (৪২) বলেন, চিলাহাটিতে রেলস্টেশন থাকায় পঞ্চগড়ের মানুষ এখানে এসে ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এ এলাকার কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য ভাউলাগঞ্জ বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। সড়ক যোগাযোগ ভালো থাকায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে ট্রাকে করে মালামাল নিয়ে যান। কিন্তু সেতু না হওয়ায় ওই সব ব্যবসায়ী চিলাহাটি পর্যন্ত ট্রাক নিয়ে আসতে পারেন না। এ ছাড়া এ অঞ্চলের মানুষকে যানবাহন নিয়ে পঞ্চগড় যাওয়া-আসা করতে চাইলে ডোমার-দেবীগঞ্জ হয়ে অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হয়।
পূর্ব ভোগডাবুরী গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন বলেন, ‘২০-২৫ বছর থাকি পুলটা ভাঙা। ভ্যান-রিকশায় মালামাল নেওয়া যায় না। মাল নামায়ে ভ্যান পার করতে হয়। সে কারণে ১০ টাকার মালের ভাড়া ৫০ টাকা দেওয়ার লাগে।’
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম খান বলেন, ‘ওই রাস্তায় আমাদের অংশে একটি কালভার্ট নির্মাণ করেছি এবং রাস্তা পাকাকরণের কাজ শেষ হয়েছে। লোহার সেতুটি পঞ্চগড় জেলায় পড়েছে। ওটি পঞ্চগড় সড়ক ও জনপথ বিভাগ করবে। এ কাজে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় হবে।’
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়ের অসংখ্য মানুষ এখন চিলাহাটি হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে। চিলাহাটি বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম (৪২) বলেন, চিলাহাটিতে রেলস্টেশন থাকায় পঞ্চগড়ের মানুষ এখানে এসে ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এ এলাকার কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য ভাউলাগঞ্জ বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। সড়ক যোগাযোগ ভালো থাকায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে ট্রাকে করে মালামাল নিয়ে যান। কিন্তু সেতু না হওয়ায় ওই সব ব্যবসায়ী চিলাহাটি পর্যন্ত ট্রাক নিয়ে আসতে পারেন না। এ ছাড়া এ অঞ্চলের মানুষকে যানবাহন নিয়ে পঞ্চগড় যাওয়া-আসা করতে চাইলে ডোমার-দেবীগঞ্জ হয়ে অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হয়।
পূর্ব ভোগডাবুরী গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন বলেন, ‘২০-২৫ বছর থাকি পুলটা ভাঙা। ভ্যান-রিকশায় মালামাল নেওয়া যায় না। মাল নামায়ে ভ্যান পার করতে হয়। সে কারণে ১০ টাকার মালের ভাড়া ৫০ টাকা দেওয়ার লাগে।’
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম খান বলেন, ‘ওই রাস্তায় আমাদের অংশে একটি কালভার্ট নির্মাণ করেছি এবং রাস্তা পাকাকরণের কাজ শেষ হয়েছে। লোহার সেতুটি পঞ্চগড় জেলায় পড়েছে। ওটি পঞ্চগড় সড়ক ও জনপথ বিভাগ করবে। এ কাজে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় হবে।’
No comments