ততটা মহান নন আলেকজান্ডার!

মহাবীর আলেকজান্ডার বা মহান আলেকজান্ডার—ইতিহাসে আলেকজান্ডারের অবস্থান কোথায়, তা বোঝার জন্য এ প্রত্যয়ই যথেষ্ট। তবে প্রাচীন পারস্যের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে হয়তো আলেকজান্ডারকে ততটা ‘মহান’ ভাবার সুযোগ নেই।


পশ্চিমাদের লেখা ইতিহাস বইয়ের কল্যাণে আলেকজান্ডারের বিশ্বজুড়ে যে অসাধারণ ভাবমূর্তি, তার সঙ্গে স্পষ্টতই পার্থক্য রয়েছে ইরানের লেখকদের। পার্থক্য রয়েছে ইতিহাস বিশ্লেষণেও।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রসারে আলেকজান্ডারকে দেওয়া কৃতিত্ব নিয়েও প্রশ্ন আছে ইরানের ঐতিহাসিকদের। তাঁদের দাবি, আলেকজান্ডারকে যতটা সম্মান দেওয়া হয়েছে, ঠিক ততটাই আড়ালে রাখা হয়েছে প্রাচীন পারস্য সম্রাটদের।
ইরানের ইতিহাসবিদদের দাবি, গ্রিক চিন্তা-চেতনা ও দর্শনে প্রভাবিত হওয়ায় পশ্চিমা ইতিহাসবিদেরা আলেকজান্ডারের কৃতিত্বকে অনেক বড় করে দেখেছেন। যদিও খ্রিষ্টপূর্ব প্রাচীন গ্রিসের অজেয় যোদ্ধা, সেনাপতি ও দোর্দণ্ড প্রতাপশালী রাজা আলেকজান্ডারের বীরত্বের কাহিনি আজও মানুষকে রোমাঞ্চিত করে। তাঁর অসীম সাহস, রণকৌশল, যুদ্ধজয়ের ক্ষমতা, নেতৃত্ব গুণ এখনো মানুষকে বিস্মিত করে।
প্রাচীন পারস্যের আকিমেনিদ সাম্রাজ্যের রাজধানী পারসেপোলিসে তিনটি ঘটনা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। পারসেপোলিসে ধ্বংসাবশেষ এখনো টিকে আছে। সেখানে গেলে পর্যটকেরা তিনটি বিষয় জানতে পারবেন। প্রথমত, পারসেপোলিস গড়ে তুলেছেন সম্রাট দারিউস (দারিয়াস দ্য গ্রেট)। দ্বিতীয়ত, পারসেপোলিস নগরকে দৃষ্টিনন্দন ও ঝলমলে রূপ দিয়েছেন দারিউসের ছেলে জেরোক্সস। তৃতীয়ত, সুন্দর এই নগরটি ধ্বংস করেছেন মহাবীর আলেকজান্ডার! পারসেপোলিস এখন ইরানে তাকত-ই-জামসিদ নামে পরিচিত। ইউনেসকো স্থানটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.