নাসায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা by আশরা রামাইসা খান
আবহাওয়া বাংলাদেশের মতো। চারদিকে বিশাল মাঠ আর খালি জায়গা। এরই মধ্যে পৃথিবীর বিখ্যাত মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সদর দপ্তর। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত বিশাল এই গবেষণাগার। চারদিকে কাঁটাতারের বেষ্টনী। এই বেষ্টনীর চারদিকে পাহারা দিচ্ছে দৈত্যাকার বড় বড় কুমির।
মহাকাশ গবেষণায় কুমিরও ব্যস্ত!
গত জুন মাসে ঢাকার ডিপিএস এসটিএস স্কুলের ১৯ জন শিক্ষার্থী, চারজন শিক্ষকসহ প্রথমবারের মতো পাঁচ দিনের শিক্ষা সফরে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে ঢোকার সুযোগ পাই। স্পেস সেন্টারের পাঁচ দিনের ক্যাম্পিং-জীবন আমাদের মহাকাশ নিয়ে জানার আগ্রহ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নাসার মতো বিশাল একটা জায়গায় মহাকাশ গবেষণার নানা প্রকল্প ও পরীক্ষণ দেখার সুযোগ পায়।
৯ জুন শুরু হওয়া মিশন টু মার্স ক্যাম্পটিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় মানুষের মঙ্গল গ্রহ জয় নিয়ে। লাল গ্রহ মঙ্গলে যেতে মানুষের নভোযানে ২৬০ দিন লাগবে। মঙ্গলযাত্রায় খেয়াযানে নভোচারীদের দুই বছরের বেশি সময় অবস্থান করতে হবে। এ জন্য নাসার নভোচারীদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ধরনের ডিহাইড্রেট করা খাবার গ্রহণ, মঙ্গলের অভিকর্ষের সঙ্গে মানিয়ে চলা এবং গ্রহের আবহাওয়া পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। ক্যাম্পাররা নিয়েছে পৃথিবী থেকে মঙ্গলে ছুটে যাওয়ার প্রশিক্ষণ, শুনেছে অভিযাত্রী দস্যাম ডেনজদর অসাধারণ অভিজ্ঞতা, দম বন্ধ করা বিভিন্ন অভিযানে রকেটে অভিযাত্রীরা কীভাবে সময় কাটান সেসব রোমাঞ্চকর গল্প।
সত্যিকারের মহাকাশ প্রশিক্ষণের মতোই ছিল শিক্ষার্থীদের জিরো গ্র্যাভিটির মধ্যে অবস্থান, খেয়াযানের ভেতর অবস্থান। খুদে নভোচারীদের রকেট বানানোর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়। আমাদের দলের তৈরি রকেটের নাম ছিল এসটি-৯৮।
মা-বাবাকে ছেড়ে এত দূরে বড় বড় মহাকাশযান দেখতে দেখতে কখন যে সময় ফুরিয়ে যায়, তা মনেই ছিল না। তার পরও নাসার এই ক্যাম্পে সব সময়ই বাবা (ক্রিকেটার আকরাম খান) ও মায়ের কথা, সেই সঙ্গে দেশের কথা মনে পড়েছে সব সময়।
বয়সভিত্তিক এই ক্যাম্পে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের গ্রুপভিত্তিক নানা আয়োজন ছিল। ক্যাম্পারদের নিয়ে যাওয়া হয় নাসার জাদুঘরেও। জাদুঘরে চাঁদে পা দেওয়া মানুষ নিল আর্মস্ট্রং, প্রথম মার্কিন নভোচারী অ্যালেন শেপার্ডসহ আরও অনেক নভোচারীর সঙ্গে পরিচিত হয় ক্যাম্পাররা। তাঁদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নাসার বিভিন্ন প্রকল্পের গবেষকদের। চন্দ্রজয়ের জন্য পাঠানো অ্যাপোলো-১৭-এর দুর্ঘটনা সম্পর্কেও জানার সুযোগ পেয়েছে ক্যাম্পাররা। সেই দুর্ঘটনার পর অব্যবহূত নভোযান অ্যাপোলো-১৮-এর ইঞ্জিনও ঘুরে দেখার সুযোগ পায় সবাই। পাঁচ দিনের ক্যাম্প-জীবনে মহাকাশ নিয়ে গভীর চিন্তা করার নানা উপকরণ পেয়ে যায় ক্যাম্পাররা। পাঁচ দিনের জন্য একেকজন ক্যাম্পার যেন হয়ে উঠেছিল সত্যিকারের নভোচারী।
পাঁচ দিনের মিশন টু মার্স ক্যাম্পের সমাপনী দিনে ক্যাম্পারদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নাসার গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট। ক্যাম্পাররা সবাই পেয়ে যায় মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার অনুমতি। এখন সবারই শুধু দরকার মা-বাবার অনুমতি আর যথাযথ বয়স। তারপর হয়তো দেখা যাবে, মঙ্গল গ্রহে প্রথম পা রাখা মানুষের একজন আমাদের বাংলাদেশেরই।
গত জুন মাসে ঢাকার ডিপিএস এসটিএস স্কুলের ১৯ জন শিক্ষার্থী, চারজন শিক্ষকসহ প্রথমবারের মতো পাঁচ দিনের শিক্ষা সফরে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে ঢোকার সুযোগ পাই। স্পেস সেন্টারের পাঁচ দিনের ক্যাম্পিং-জীবন আমাদের মহাকাশ নিয়ে জানার আগ্রহ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নাসার মতো বিশাল একটা জায়গায় মহাকাশ গবেষণার নানা প্রকল্প ও পরীক্ষণ দেখার সুযোগ পায়।
৯ জুন শুরু হওয়া মিশন টু মার্স ক্যাম্পটিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় মানুষের মঙ্গল গ্রহ জয় নিয়ে। লাল গ্রহ মঙ্গলে যেতে মানুষের নভোযানে ২৬০ দিন লাগবে। মঙ্গলযাত্রায় খেয়াযানে নভোচারীদের দুই বছরের বেশি সময় অবস্থান করতে হবে। এ জন্য নাসার নভোচারীদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ধরনের ডিহাইড্রেট করা খাবার গ্রহণ, মঙ্গলের অভিকর্ষের সঙ্গে মানিয়ে চলা এবং গ্রহের আবহাওয়া পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। ক্যাম্পাররা নিয়েছে পৃথিবী থেকে মঙ্গলে ছুটে যাওয়ার প্রশিক্ষণ, শুনেছে অভিযাত্রী দস্যাম ডেনজদর অসাধারণ অভিজ্ঞতা, দম বন্ধ করা বিভিন্ন অভিযানে রকেটে অভিযাত্রীরা কীভাবে সময় কাটান সেসব রোমাঞ্চকর গল্প।
সত্যিকারের মহাকাশ প্রশিক্ষণের মতোই ছিল শিক্ষার্থীদের জিরো গ্র্যাভিটির মধ্যে অবস্থান, খেয়াযানের ভেতর অবস্থান। খুদে নভোচারীদের রকেট বানানোর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়। আমাদের দলের তৈরি রকেটের নাম ছিল এসটি-৯৮।
মা-বাবাকে ছেড়ে এত দূরে বড় বড় মহাকাশযান দেখতে দেখতে কখন যে সময় ফুরিয়ে যায়, তা মনেই ছিল না। তার পরও নাসার এই ক্যাম্পে সব সময়ই বাবা (ক্রিকেটার আকরাম খান) ও মায়ের কথা, সেই সঙ্গে দেশের কথা মনে পড়েছে সব সময়।
বয়সভিত্তিক এই ক্যাম্পে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের গ্রুপভিত্তিক নানা আয়োজন ছিল। ক্যাম্পারদের নিয়ে যাওয়া হয় নাসার জাদুঘরেও। জাদুঘরে চাঁদে পা দেওয়া মানুষ নিল আর্মস্ট্রং, প্রথম মার্কিন নভোচারী অ্যালেন শেপার্ডসহ আরও অনেক নভোচারীর সঙ্গে পরিচিত হয় ক্যাম্পাররা। তাঁদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নাসার বিভিন্ন প্রকল্পের গবেষকদের। চন্দ্রজয়ের জন্য পাঠানো অ্যাপোলো-১৭-এর দুর্ঘটনা সম্পর্কেও জানার সুযোগ পেয়েছে ক্যাম্পাররা। সেই দুর্ঘটনার পর অব্যবহূত নভোযান অ্যাপোলো-১৮-এর ইঞ্জিনও ঘুরে দেখার সুযোগ পায় সবাই। পাঁচ দিনের ক্যাম্প-জীবনে মহাকাশ নিয়ে গভীর চিন্তা করার নানা উপকরণ পেয়ে যায় ক্যাম্পাররা। পাঁচ দিনের জন্য একেকজন ক্যাম্পার যেন হয়ে উঠেছিল সত্যিকারের নভোচারী।
পাঁচ দিনের মিশন টু মার্স ক্যাম্পের সমাপনী দিনে ক্যাম্পারদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নাসার গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট। ক্যাম্পাররা সবাই পেয়ে যায় মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার অনুমতি। এখন সবারই শুধু দরকার মা-বাবার অনুমতি আর যথাযথ বয়স। তারপর হয়তো দেখা যাবে, মঙ্গল গ্রহে প্রথম পা রাখা মানুষের একজন আমাদের বাংলাদেশেরই।
No comments