জাবি উপাচার্য অবরুদ্ধ, প্যানেল নির্বাচন ঠেকাতে ফের উত্তাপ-আজ থেকে লাগাতার অবরোধ সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের ॥ নির্বাচন হবেই- ড. আনোয়ার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন ঠেকাতে এবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক অফিস ও উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিএনপি-জামায়াতপন্থী ও প্রগতিশীল আওয়ামী শিক্ষকদের একাংশ নিয়ে গঠিত সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের শিক্ষকরা।
শনিবার সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বেরিকেড দিয়ে শিক্ষকরা অবস্থান নেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তাঁর রুমে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে সমাজ বিজ্ঞান ও কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে একাডেমিক কাজে যেতে চাইলে তাঁর রাস্তা অবরোধ করেন শিক্ষকরা। এ সময় তাঁদের রাস্তা অবরোধ তুলে নিতে বললে তাঁর সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই শিক্ষক। এ সময় এ দুই শিক্ষক উপাচার্যকে স্বৈরাচার বলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। উপাচার্যের সঙ্গে থাকা প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগর সভপতি ড. সোহেল আহমেদ উপাচার্যের সঙ্গে এমন আচরণ না করার কথা বললে, তাঁর সঙ্গে কথাকাটির এক পর্যায়ে দুই শিক্ষক চরম দুর্ব্যবহার করেন ও মারতে উদ্যত হন। পরে শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত তাদের আন্দোলনের দাবি সংবলিত কর্মসূচীর ব্যানার ঝুলিয়ে রাখেন।
এদিকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন ঠেকাতে আন্দোলনে নামা শিক্ষকদের দাবি, উপাচার্যের সঙ্গে কোন আলোচনা নয়। তাকে অবশ্যই নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। শনিবার সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদ উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন বন্ধে অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেয়। শনিবার তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচী করে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। এদিকে আজ রবিবার থেকে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন নির্বাচন ঠেকাতে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচী পালন করবে বিএনপি-জামায়াতপন্থী ও প্রগতিশীল আওয়ামী শিক্ষকদের একাংশ নিয়ে গঠিত সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আগামী ২০ জুলাই বিশেষ সিনেটে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন নির্বাচন স্থগিত করার কোন সুযোগ নেই। ঘোষিত ২০ জুলাই সিনেটে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন নির্বাচন হবেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষকদের সব অংশের মধ্যে বিরাজমান দলাদলির কারণে বিভেদ ভুলে সবাই নির্বাচন নিয়ে একাট্টা হবেন এটাই প্রত্যাশিত। সবার সম্মলিত দাবির বিষয়টি বিবেচনা করেই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছি। তিনি বলেন, ’৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুসারেই নির্বাচন হবে। আমি ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতিকে বিষয়টি অবগত করেছি। তিনি বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তিনি আরও বলেছেন, আমি আশা করি খুব শীঘ্রই এ নির্বাচন নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিরোধিতা নির্বাচন নিয়ে আস্থাহীনতা, ধীরে হলেও তাঁরা তাঁদের এমন অবস্থান থেকে সরে আসবেন। নির্বাচনে যেসকল সিনেটরের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ আছে তাঁরা তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করবেন।
সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক এমএ মতিন বলেন, আমরা চেয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম যেন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেজন্য আমরা বার বার আমাদের গণতান্ত্রিক দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছি প্রশাসনের প্রতি । কিন্তু প্রশাসনের বর্তমান মনোভাব আমাদের কঠোর হতে বাধ্য করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরাও ভিসি প্যানেল নির্বাচন চাই। তবে এ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য আগে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, ডিন, সিন্ডিকেট ও সিনেট নির্বাচন জরুরী বলে মনে করি। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, উপাচার্য নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া হয়ে ওঠা ‘সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারের শিক্ষকরা একের পর এক সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচী দিয়ে চলেছেন। উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের বিরোধী অবস্থানের কারণে আবারও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়ছে। স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।
সূত্র থেকে জানা যায়, শিক্ষক রাজনীতির কারণে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন ইস্যুতে কোন পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। সূত্র জানায়, অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের পদত্যাগের পর ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেয়ায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি কোন গ্রুপই। এ কারণে নানা ইস্যুতে জটিলতা বাড়ছে। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে আসছে সিনেটের সভায় উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্ত ও অচল করে দেয়ার নতুন করে পাঁয়তারা চলছে। বাড়ছে নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ।
এদিকে রাত পৌনে আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অফিসের কাউন্সিল কক্ষে উপাচার্যের সভাপতিত্বে¡ এক জরুরী সিন্ডিকেট সভা চলছিল। তবে এ সিন্ডিকেট সভায় কি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এ ব্যাপারে এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি। সন্ধ্যা সাতটার পর এ সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।
এদিকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন ঠেকাতে আন্দোলনে নামা শিক্ষকদের দাবি, উপাচার্যের সঙ্গে কোন আলোচনা নয়। তাকে অবশ্যই নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। শনিবার সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদ উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন বন্ধে অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেয়। শনিবার তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচী করে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। এদিকে আজ রবিবার থেকে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন নির্বাচন ঠেকাতে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচী পালন করবে বিএনপি-জামায়াতপন্থী ও প্রগতিশীল আওয়ামী শিক্ষকদের একাংশ নিয়ে গঠিত সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আগামী ২০ জুলাই বিশেষ সিনেটে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন নির্বাচন স্থগিত করার কোন সুযোগ নেই। ঘোষিত ২০ জুলাই সিনেটে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন নির্বাচন হবেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষকদের সব অংশের মধ্যে বিরাজমান দলাদলির কারণে বিভেদ ভুলে সবাই নির্বাচন নিয়ে একাট্টা হবেন এটাই প্রত্যাশিত। সবার সম্মলিত দাবির বিষয়টি বিবেচনা করেই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছি। তিনি বলেন, ’৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুসারেই নির্বাচন হবে। আমি ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতিকে বিষয়টি অবগত করেছি। তিনি বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তিনি আরও বলেছেন, আমি আশা করি খুব শীঘ্রই এ নির্বাচন নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিরোধিতা নির্বাচন নিয়ে আস্থাহীনতা, ধীরে হলেও তাঁরা তাঁদের এমন অবস্থান থেকে সরে আসবেন। নির্বাচনে যেসকল সিনেটরের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ আছে তাঁরা তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করবেন।
সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক এমএ মতিন বলেন, আমরা চেয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম যেন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সেজন্য আমরা বার বার আমাদের গণতান্ত্রিক দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছি প্রশাসনের প্রতি । কিন্তু প্রশাসনের বর্তমান মনোভাব আমাদের কঠোর হতে বাধ্য করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরাও ভিসি প্যানেল নির্বাচন চাই। তবে এ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য আগে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, ডিন, সিন্ডিকেট ও সিনেট নির্বাচন জরুরী বলে মনে করি। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, উপাচার্য নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া হয়ে ওঠা ‘সম্মিলিত শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারের শিক্ষকরা একের পর এক সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচী দিয়ে চলেছেন। উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের বিরোধী অবস্থানের কারণে আবারও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়ছে। স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।
সূত্র থেকে জানা যায়, শিক্ষক রাজনীতির কারণে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন ইস্যুতে কোন পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। সূত্র জানায়, অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের পদত্যাগের পর ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেয়ায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি কোন গ্রুপই। এ কারণে নানা ইস্যুতে জটিলতা বাড়ছে। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে আসছে সিনেটের সভায় উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্ত ও অচল করে দেয়ার নতুন করে পাঁয়তারা চলছে। বাড়ছে নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ।
এদিকে রাত পৌনে আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অফিসের কাউন্সিল কক্ষে উপাচার্যের সভাপতিত্বে¡ এক জরুরী সিন্ডিকেট সভা চলছিল। তবে এ সিন্ডিকেট সভায় কি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এ ব্যাপারে এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি। সন্ধ্যা সাতটার পর এ সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।
No comments