ইথিওপিয়ায় দুই সুদানের প্রেসিডেন্টের বৈঠক
তেলক্ষেত্রের মালিকানা, সীমানা চিহ্নিতকরণসহ অমীমাংসিত বিষয়ের সুরাহার লক্ষ্যে আলোচনা করেছেন সুদান ও দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্টরা। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) সম্মেলনের ফাঁকে গত শনিবার রাতে এ বৈঠক হয়।
গত এপ্রিলে হেগলিগ তেলক্ষেত্র নিয়ে দুই দেশ সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার পর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এটাই প্রথম বৈঠক। বৈঠকের বিস্তারিত জানা না গেলেও উপস্থিত প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।
গত বছর জুলাইয়ে সুদান থেকে এর দক্ষিণাংশ আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান নামে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর মধ্যদিয়ে দুই অংশের দীর্ঘ ৫০ বছরের বৈরিতার আপাত অবসান হলেও বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যে উত্তেজনা লেগেই রয়েছে। কারণ, দুই দেশের সীমানা চূড়ান্তকরণ, তেলক্ষেত্রগুলোর মালিকানা, পরিবহন ও জাতীয় ঋণের ভাগবাটোয়ারাসহ বেশ কিছু বিষয়ের চূড়ান্ত ফায়সালা করা হয়নি। এসব বিষয়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সীমান্তে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত এপ্রিলে হেগলিগ তেলক্ষেত্র নিয়ে এই সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ দেশ দুটিকে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে একটি সময়সীমা বেঁধে দেয়। ওই সময়সীমা আগামী ২ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এইউ সম্মেলনে আফ্রিকান নেতারা খার্তুম ও জুবার প্রতি সীমানা চিহ্নিতকরণ ও তেলক্ষেত্রের মালিকানা-সংক্রান্তসহ তাদের অমীমাংসিত বিষয়গুলো জাতিসংঘ ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে দ্রুত সুরাহার আহ্বান জানান।
শনিবার আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলনের ফাঁকে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির এবং দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির বৈঠক করেন। এর আগে গত জানুয়ারিতে আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলনে এই দুই নেতার বৈঠক হয়।
প্রতিনিধিরা গতকাল জানান, প্রথমে প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও পরে দুই নেতা একান্তে আলোচনা করেন। তাঁদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হলেও এর বিস্তারিত জানা যায়নি। সাংবাদিকরা জানান, বৈঠক শেষে দুই নেতা পরস্পরের সঙ্গে হাসিমুখে হাত মেলান। আলোচনার প্রধান মধ্যস্থতাকারী পাগান আমুম সাংবাদিকদের বলেন, 'দুই নেতা আজ (শনিবার) বৈঠক করেছেন এবং তাঁদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।' আমুম জানান, জাতিসংঘ ঘোষিত নির্ধারিত সময়ের আগেই দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
গত বছর জুলাইয়ে সুদান থেকে এর দক্ষিণাংশ আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান নামে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর মধ্যদিয়ে দুই অংশের দীর্ঘ ৫০ বছরের বৈরিতার আপাত অবসান হলেও বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যে উত্তেজনা লেগেই রয়েছে। কারণ, দুই দেশের সীমানা চূড়ান্তকরণ, তেলক্ষেত্রগুলোর মালিকানা, পরিবহন ও জাতীয় ঋণের ভাগবাটোয়ারাসহ বেশ কিছু বিষয়ের চূড়ান্ত ফায়সালা করা হয়নি। এসব বিষয়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সীমান্তে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত এপ্রিলে হেগলিগ তেলক্ষেত্র নিয়ে এই সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ দেশ দুটিকে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে একটি সময়সীমা বেঁধে দেয়। ওই সময়সীমা আগামী ২ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এইউ সম্মেলনে আফ্রিকান নেতারা খার্তুম ও জুবার প্রতি সীমানা চিহ্নিতকরণ ও তেলক্ষেত্রের মালিকানা-সংক্রান্তসহ তাদের অমীমাংসিত বিষয়গুলো জাতিসংঘ ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে দ্রুত সুরাহার আহ্বান জানান।
শনিবার আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলনের ফাঁকে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির এবং দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির বৈঠক করেন। এর আগে গত জানুয়ারিতে আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলনে এই দুই নেতার বৈঠক হয়।
প্রতিনিধিরা গতকাল জানান, প্রথমে প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও পরে দুই নেতা একান্তে আলোচনা করেন। তাঁদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হলেও এর বিস্তারিত জানা যায়নি। সাংবাদিকরা জানান, বৈঠক শেষে দুই নেতা পরস্পরের সঙ্গে হাসিমুখে হাত মেলান। আলোচনার প্রধান মধ্যস্থতাকারী পাগান আমুম সাংবাদিকদের বলেন, 'দুই নেতা আজ (শনিবার) বৈঠক করেছেন এবং তাঁদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।' আমুম জানান, জাতিসংঘ ঘোষিত নির্ধারিত সময়ের আগেই দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments