পাহাড়ে দু’দফা বন্দুক যুদ্ধে চারজন নিহত, গুলিবিদ্ধ ১২
খাগড়াছড়ি ॥ দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবদমান দু’পাহাড়ী আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু লারমা গ্রুপের মধ্যে দু’দফা বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে বলে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে।
একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৪ জন নিহত ও ১২ জনের অধিক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে সংঘর্ষে নিহত কিংবা আহতের সংবাদ নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। সূত্রটি জানিয়েছে, শনিবার বিকেল এবং রবিবার সকালে থেমে থেমে কয়েক দফা বন্দুকযুদ্ধে দীঘিনালার নাড়াইছড়িস্থ তালুকদারপাড়া ও মধ্যমৌন পাড়া এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল অত্যন্ত দুর্গম ও বর্ষাস্নাত মাটি হওয়ায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে যেতে না পারলেও একাধিক অসমর্থিত সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন। ফলে নিহত ও আহতদের কারও নাম এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ইউনাইটেড পিপল্্স ডেমোক্র্যটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিরন চাকমা জানান, এ রকম ঘটনা আমি শুনিনি।
তবে অপর একটি সূত্র সংঘর্ষের এলাকা নাড়াইছড়ির ননাধন কার্বারীর বরাত দিয়ে জানান, ইউপিডিএফের ৪ জন কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত এবং উভয় গ্রুপের ১২ জনের অধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
যার মধ্যে ইউপিডিএফ কর্মীই বেশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু লারমা গ্রুপের এক কর্মী জানান, জেএসএস ও ইউপিডিএফের সংঘর্ষে ইউপিডিএফের একাধিক কর্মী আহত হয়েছে।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন টিটু বলেন, বিবাদমান দু’পাহাড়ী গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু এলাকাটি অতি দুর্গম হওয়ায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকার কারণে সেখানে আমরা যেতে পারিনি, তবে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে ঘটনাটিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পাহাড়ী সংগঠনের মধ্যে দফায় দফায় সশস্ত্র সংঘর্ষ-হত্যা-অপহরণ লেগেই আছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেমন অবনতি ঘটছে সেই সঙ্গে জিম্মি হয়ে পড়েছে পাহাড়ী-বাঙালী জনসাধারণ।
ইউনাইটেড পিপল্্স ডেমোক্র্যটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিরন চাকমা জানান, এ রকম ঘটনা আমি শুনিনি।
তবে অপর একটি সূত্র সংঘর্ষের এলাকা নাড়াইছড়ির ননাধন কার্বারীর বরাত দিয়ে জানান, ইউপিডিএফের ৪ জন কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত এবং উভয় গ্রুপের ১২ জনের অধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
যার মধ্যে ইউপিডিএফ কর্মীই বেশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু লারমা গ্রুপের এক কর্মী জানান, জেএসএস ও ইউপিডিএফের সংঘর্ষে ইউপিডিএফের একাধিক কর্মী আহত হয়েছে।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন টিটু বলেন, বিবাদমান দু’পাহাড়ী গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু এলাকাটি অতি দুর্গম হওয়ায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকার কারণে সেখানে আমরা যেতে পারিনি, তবে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে ঘটনাটিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পাহাড়ী সংগঠনের মধ্যে দফায় দফায় সশস্ত্র সংঘর্ষ-হত্যা-অপহরণ লেগেই আছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেমন অবনতি ঘটছে সেই সঙ্গে জিম্মি হয়ে পড়েছে পাহাড়ী-বাঙালী জনসাধারণ।
No comments