যুবলীগের কংগ্রেসে শেখ হাসিনা-‘তাদের সেই দুর্নীতির বদনাম এখনো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ই বিশ্বব্যাংক ঋণ বন্ধ করে দিয়েছিল। ২০০৫ সালে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতির জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ বন্ধ হয়। তাদের সেই দুর্নীতির বদনাম এখনো দেশবাসীকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।


গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের প্রাঙ্গণে আওয়ামী যুবলীগের ষষ্ঠ কংগ্রেসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় পতাকা, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দুই পর্বের কংগ্রেস অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে আসা কাউন্সিলর ও ডেলিগেট ছাড়াও দেশের বাইরে থেকে অনেক প্রতিনিধি অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন মানুষের জীবনে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে আসে। তবে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকলে একজন থাকেন অশান্তিতে। তিনি কে, তা দেশের মানুষ জানে। অশান্তির আগুনে দেশকে পুড়িয়ে ছারখার করার চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক, এটা তারা চায় না। এ জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘অনেক কষ্টে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি। বারবার গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে। ভবিষ্যতে আর কেউ যেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করতে না পারে, নতুন করে খেলায় মাততে না পারে, সে জন্য প্রতিটি পাড়া, মহল্লা ও গ্রামগঞ্জে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো সতর্ক থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনা বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘এরা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা মানে বাংলাদেশ সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের দেশ হবে। মানুষের পেটে ভাত থাকবে না। দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী কালোটাকা সাদা করে, তার ছেলেরা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে, অর্থমন্ত্রী কালোটাকা সাদা করে। তাদের কাছ থেকে দেশের মানুষ কী আশা করবে।’ তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশকে ভালোবাসতে হবে, মানুষকে ভালোবাসতে হবে। নিজে কী পেলাম, কী পেলাম না, তা না ভেবে মানুষকে কী দিতে পারলাম, সেই চিন্তা করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন, অর্থাৎ প্রথম কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শুভেচ্ছা প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেওয়ার স্মৃতিচারণা করেন। ৩৯ বছর পর গতকাল যুবলীগের ষষ্ঠ কংগ্রেসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি দলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান।
যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের নেতা আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুবলীগের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম।

No comments

Powered by Blogger.